এসএমই ­প্লাটফর্মের উদ্বোধন : নিয়ালকো অ্যালয়সের লেনদেন শুরু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজারে প্রথম অনুমোদন পাওয়া এসএমই খাতের কোম্পানি নিয়ালকো অ্যালয়স লিমিটেডের লেনদেন শুরুর মাধ্যমে আজ ১০ জুন উম্মোচিত হলো সিএসইর এসএমই ­প্লাটফর্ম । এসএমই বোর্ড এ কোম্পানিটির প্রথম লেনদেনের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (সিএসই)ও এসএমই প্লাটফর্মের জন্য শেয়ারবাজারের ইতিহাসে স্থান করে নিল।

আজ বৃহস্পতিবার সিএসই এর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কাযালয়ে এই নতুন কোম্পানীটির ট্রেডিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম । এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএসইর সম্মানিত বোর্ড সদস্যগণ, নিয়ালকো অ্যালয়স এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ও পরিচালক, ইস্যু ম্যানেজমেন্ট কোম্পানীর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং সিএসই এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচাল মামুন -উর -রশিদ. স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “সিএসই, সূচনালগ্ন থেকেই জবাবদিহিতামূলক, স্বচ্ছ, এবং স্টেট অব দা আর্ট প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে এবং ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পৃথীবীর অন্যান্য স্টক এক্সচেঞ্জের মতো ডিম্যাটারিয়ালাইজড সেটেলমেন্টের জন্য সিডিবিএল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও প্রথম স্বয়ং-ক্রিয় রিয়েল-টাইম ট্রেডিং সিস্টেম চালু করে এবং বিনেয়োগকারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য বিআইসিএম স্থাপনের ক্ষেত্রেও অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথমবারের মত নিয়ালকো অ্যালয়স লিমিটেডের লেনদেন শুরুর মাধ্যমে পুঁজিবাজার তথা সিএসইর এসএমই ­প্লাটফর্ম উন্মোচিত এই প্ল্যাটর্ফম এর মাধ্যমে এসএমই কোম্পানীগুলো একদিকে স্বীকৃতি পাবে, অন্যদিকে ব্যবসা সম্প্রসারণের সযোগ সৃষ্টি হবে। এতে এসএমই খাতের উন্নতি ত্বরান্বিত এবং একই সঙ্গে এই খাত দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন ।”

প্রধান অতিথি জনাব আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, অর্থায়নের উৎস হবে শেয়ারবাজার এই স্লোগানকে সামনে রেখে, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেত্রিত্তে আমরা সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি । এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছি । ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উন্নিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি । এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন অত্যন্ত দক্ষ ও বলিষ্ঠ শক্তিশালী শেয়ারবাজার । সামনে সব ধরনের বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগের সিংহভাগ উৎস শেয়ারবাজার হতে হবে।

বিএসইসিএর বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর শেয়ারবাজারের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে। তাঁরা তাদের প্রজ্ঞা, মেধা ও দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এই সময়ে কমিশনের বেশকিছু উদ্যোগ বিনিয়োগকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারেদের আস্থা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে । ইতিমধ্যে কমিশনারদের অসামান্য এবং গতিশীল সিদ্ধান্তের ফলে আমরা শেয়ারবাজারের ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করেছি এবং এই নিরলস প্রচষ্টা সামনের দিনগুলোতে বাজারে আরও অধিকতার টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে বলে আশা করছি।

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (এসএসই)গুলো দেশের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্বল্প মূলধনী কোম্পানীগুলোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অনস্বীকার্য । এ খাতটি শ্রমঘন এবং এর উৎপাদন সময়কাল স্বল্প হওয়ায় জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্খান সৃষ্টিতে দ্রুত অবদান রাখতে সক্ষম । জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বিশেষ করে দারিদ্র্যতা ‍নিমূর্ল করা এবং নারী এবং নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে এ খাত ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

নিয়ালকো অ্যালয়েজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোকাররম আলী চেীধুরী, আমরা প্রথম কোম্পানী হিসেবে সিএসই এর এস্এমই বোর্ডে লিস্টেড হতে পেরে আনন্দিত এবং সিএসই ,বিএসইসি ও সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।”

পরিশেষে রিং দি বেল (ঘন্টা বাদন) এর মাধ্যমে নিয়ালকো এলয়েজ লিমিটেড এর ট্রেডিং কার্যক্রম এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। ফুল এবং ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আমদানিতে নীতি সহায়তার সময়সীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া নীতিসহায়তার সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আমদানিতে নীতিসহায়তা দেয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব অনুমোদিত ডিলার বরাবর পাঠিয়েছে।

আমদানি নীতি সহায়তার সময়সীমা চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত থাকলেও তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুযোগ দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বস্তি দেয়ার জন্য ছয় মাসের এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।

জারি সার্কুলার অনুযায়ী, ‘৩০ জুন পর্যন্ত বলবত আমদানি বাণিজ্যিক লেনদেন বিষয়ক নীতিসহায়তার সময়সীমা ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নীতিসহায়তার অংশ হিসেবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী প্রভৃতি বিদেশি রি-পেমেন্ট গ্যারান্টি কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই আমদানি মূল্য বাবদ অগ্রিম ৫ লাখ মার্কিন ডলার পরিশোধ করা যাবে। শিল্পের কাঁচামালের আমদানি মূল্য ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৩৬০ দিন মেয়াদে পরিশোধের সুযোগ থাকছে। একই সুযোগ থাকছে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সার আমদানির ক্ষেত্রেও।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাজেট বাস্তবায়নই কঠিন চ্যালেঞ্জ : বিসিআই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাকালে দেশে বিনিয়োগ আগের তুলনায় কমবে। এর মধ্যে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়ে এমন উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক হলেও বাস্তবায়নে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে সরকারকে।

বৃহস্পতিবার বিসিআই বোর্ডরুমে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

সংগঠনটির সভাপতি অনোয়ার-উল আলম চৌধুরি (পারভেজ) এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন তার দিকনির্দেশনা চায় বিসিআই। কারণ বিগত কয়েক বছরে বেসরকারি বিনিয়াগ ২৩ শতাংশের কাছাকাছি আছে।

তিনি বলেন, বাজেটে রাজস্ব আহরণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। যা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১০.৬৫% বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা বিগত বছরের তুলনায় ৯.৬৩% বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানের অনুরোধ করছি।

অনোয়ার-উল আলম চৌধুরি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে হবে। তারা ভাবে বেসরকারি খাত সব চুষে খাচ্ছে। তাদের উপর জুলুম করা হয়। এমন ভাবলে হবে না। বেসরকারি খাত বিনিয়োগ আনছে, কর্মসংস্থান করছে। তাদের সহায়তা করে মিলে মিশে এগিয়ে যেতে হবে।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিসিআই। এর মধ্যে কোনো করদাতা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ১০% তৃতীয় লিঙ্গের শ্রমিক অথবা শতাধিক কর্মী নিয়োগ সাপেক্ষে ৫ শতাংশ কর রেয়াতের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা খুবই কার্যকরী। এছাড়া দেশীয় পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পে ২০ বছর, হোম অ্যাপ্লায়েন্স শিল্পে ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ১০ বছর কর অব্যাহতি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে যন্ত্রাংশ উৎপাদনে ১০ বছর কর অব্যাহতি প্রদান করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে বিসিআই।

এদিকে কিছু সুপারিশও করছে বিসিআই। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকার টার্নওভারে ন্যূনতম কর হার ০.৫০% থেকে কমিয়ে ০.২৫ % করা হয়েছে। তবে টার্নওভারের ন্যূনতম হার ৪ কোটিতে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর ১৫% কর আরোপের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। তারা বলছে, এ কর আরোপে দেশে উচ্চশিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার দাবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা ও ট্যুর অপারেটরদের বাঁচানোর লক্ষ্যে পর্যটন কেন্দ্রগুলো স্বাস্থ্যবিধি ও এসওপি মেনে খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টোয়াবের পরিচালক মোহাম্মদ সাহেদ উল্লাহ। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম পর্যটন খাত। করোনার প্রভাবে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প। করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর দেশের পর্যটন শিল্প অভ্যন্তরীণ পর্যটনের মাধ্যমে কিছুটা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার প্রচেষ্টায় ছিল কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পর্যটন আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

সাহেদ উল্লাহ বলেন, গত বছর করোনার কারণে পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের সবার ক্ষতির পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু টোয়াব সদস্যদের ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার সাতশ’ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ থেকে সবকিছু স্থবির হওয়ায় পর্যটন খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ে। চলমান পরিস্থিতি আগামী ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত হলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির মেম্বার মো. রাফেউজ্জামান বলেন, পর্যটন এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ২০১৯ সালের জিডিপিতে পর্যটন চার দশমিক চার শতাংশ যোগ করেছিল। মহামারির কারণে পর্যটন খাতকে গত বছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়েছে। এ শিল্পে জড়িত প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই হতাশ হয়ে অন্য ব্যবসায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আমারা টোয়ারেব পক্ষ থেকে গত বছর করোনা ভাইরাস মাহমারির শুরু থেকেই ট্যুর অপারেটর ও পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছি, যা আজও সফলতার মুখ দেখেনি। এমনকি সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রকার ব্যাংক লোন গ্রহণ করতে পারেনি। এবারের প্রস্তাবিত বাজটে এ খাতে চার হাজার বত্রিশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা আগের বাজেটের চেয়ে ৩৪৪ কোটি টাকা বেশি। আমি মনে করি এ বরাদ্দ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য খুবই যৎসামান্য। বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের কথা বলেছেন কিন্তু খাতটিকে আর্থিক সংকট থেকে বের করে আনার বিষয়ে কোনো প্রকার দিকনিদের্শনা খুঁজে পায়নি।

টোয়াবের দাবিগুলো- বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের থেকে দ্রুত উত্তরণে ও দেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের হাত রক্ষার জন্য পর্যটন স্পটগুলো স্বাস্থবিধি মেনে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে দ্রুত খুলে দেয়া। টোয়াবেরের পক্ষ থেকে ট্যুর অপারেটরদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। টোয়াব সদস্যদের জন্য পরবর্তী বছরের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি মওকুফ করা। টোয়াব সদস্যদের ও তাদের পরিবার এবং টোয়াবের সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনার টিকা গ্রহণ করতে দিতে হবে। দেশের পর্যটন শিল্পের যথাযথ উন্নয়ন ও বিকাশে পর্যটনের জন্য সরকারের কাছে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয়ের দাবি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- টোয়াবের পরিচালক, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়া তুষার, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জমাদ্দার, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাজেটে শ্রমিকের রেশন, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য অর্থ বরাদ্দ দাবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় বাজেটে শ্রমিকের রেশন, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জাতীয় সংসদ অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। নগরীর কদমফুল ফোয়ারার কাছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশি বাধার মুখে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করতে যায়।

এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসি’র সভাপতি মন্টু ঘোষ। বক্তৃতা করেন সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি কাজী রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাদেকুর রহমান শামীম, জিয়াউল কবীর খোকন, এম এ শাহীন, সাইফুল আল মামুন, মঞ্জুর মঈন, জয়নাল আবেদীন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সকল খাতের শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারি সংক্রমণ এড়াতে ছুটি ভোগ করলেও গার্মেন্ট শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই অন্যান্য জরুরি পরিষেবার মত কারখানায় কাজ করেছে। বিনিময়ে ঝুঁকি ভাতা প্রাপ্তি দূরের কথা উপরন্তু মালিকরা অর্ডার বাতিলের অযুহাতে শ্রমিকদের ৪০ শতাংশ বেতন ও ঈদের বোনাস কর্তন করেছে। ফ্রন্ট লাইনাররা সবাই ইতোমধ্যে করোনার টিকা পেলেও গার্মেন্ট শ্রমিকরা কবে টিকা পাবে সেটা কেউ জানে না।

বক্তারা আরো বলেন, গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকরা বর্তমানে তীব্র দমন-পীড়ন-নির্যাতন ও শোষণের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছে। এ অবস্থায় ইতোমধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব আকারে সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বাজেটে পোশাক শ্রমিকদের জন্য কোন ধরনের বরাদ্দ রাখা হয়নি। উল্টো মালিকদের অনুকূলে রাষ্ট্রীয় নানান সুযোগ সুবিধা ও রেয়াত ইত্যাদি বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ দেশের গার্মেন্ট শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে রেশন, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। শ্রমিকের জন্য বা শ্রমশক্তি উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে কোন বরাদ্দ না থাকা এই প্রস্তাবিত বাজেটের গণবিরোধী রূপকেই প্রকাশ করে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হলেও বিশ্বে সর্বনিম্ন মজুরিদাতা। বর্তমানে বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। আজকের বাজারে গার্মেন্ট শ্রমিকরা যে মজুরি পায় সেটা দিয়ে কোনভাবেই তাদের জীবন চলে না। যৌক্তিক কারণেই আজ গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য জাতীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাই গার্মেন্ট শ্রমিকদের রেশন, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য জাতীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দুই কোম্পানির লভ্যাংশ বিতরণ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২টি কোম্পানি সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর ঘোষিত নগদ লভ্যাংশটি নিজ নিজ ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) মাধ্যমে জমা দিয়েছে এবং লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা দিয়েছে।

সমাপ্ত হিসাব বছরে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ও প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৭.৫ শতাংশ বোনাস।

স্টকমার্কেবিডি.কম/রি

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের সময় ৪১ দফা বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি পিপলস লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার সময় আবারও বেড়েছে। কোম্পানিটিকে আগামী ১১ জুন থেকে ৪১ দফায় আরও ১৫ দিন শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের ঘোষণা করে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ৯৩২তম বোর্ড সভায় সেই স্থগিতাদেশই বর্ধিত করে গত ১৩ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট করা হয়।

এরপর আবারো দ্বিতীয় দফায় ২৮ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, চতুর্থ দফায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর, পঞ্চম দফায় ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ৬ষ্ঠ দফায় ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর, সপ্তম দফায় ১১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর অষ্টম দফায় ২৬ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, নবম দফায় ১১ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর, দশম দফায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি, ১১ দফায় ১২ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি, ১২ দফায় ২৭ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৩ দফায় ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৪ দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ, ১৫ দফায় ১৩ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ, ১৬ দফায় ৩১ মে থেকে ১৪ জুন, ১৭ দফায় ১৫ জুন থেকে ২৯ জুন ১৮ দফায় ৩০ জুন থেকে ১৪ জুলাই, ১৯ দফায় ১৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই, ২০ দফায় ৩০ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট, ২১ দফায় ১৪ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট এবং ২২ দফায় ২৯ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর, ২৩ দফায় ১৩ সেপ্টেম্বর হতে ২৭ সেপ্টেম্বর আর ২৪ দফায় ২৮ সেপ্টেম্বর হতে ১২ অক্টোবর আর ২৫ দফার ১৩ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর, ২৬ দফায় ২৮ অক্টোবর হতে ১২ নভেম্বর, ২৭ দফায় ১৪ নভেম্বর হতে ২৬ নভেম্বর, ২৮ দফায় ২৭ নভেম্বর হতে ১১ ডিসেম্বর, ২৯ দফায় ১১ ডিসেম্বর হতে ২৬ ডিসেম্বর, ৩০ দফায় ২৭ ডিসেম্বর হতে ১১ জানুয়ারি আর ৩১ দফায় ১২ জানুয়ারি হতে ২৭ জানুয়ারি, ৩২ দফায় ২৮ জানুয়ারি হতে ১০ ফেব্রুয়ারি, ৩৩ দফায় ১১ ফেব্রুয়ারি হতে ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ৩৪ দফায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ১২ মার্চ, ৩৫ দফায় ১৩ মার্চ হতে ২৫ মার্চ, ৩৬ দফায় ২৮ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল ও ৩৭ দফায় ১৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল, ৩৮ দফায় ২৮ এপ্রিল থেকে ১১ মে, ৩৯ দফায় ১২ মে থেকে ২৭ মে, ৪০ দফায় ২৮ মে থেকে ১০ জুন ও ৪১ দফায় ১১ জুন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ৫৪ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ব্লক মার্কেটে মোট ৪৯ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ১ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ২৭৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি টাকার লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটি ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মা ৫ কোটি ৭৫ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এবি ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বে লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট, বিডি থাই, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, ডোমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফরচুন সুজ, জিবিবি পাওয়ার, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশানস, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ইনডেক্স এগ্রো, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ, কাট্টালি টেক্সটাইল, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, এল আর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান, মীর আক্তার, নিউ লাইন ক্লোথিংস, ন্যাশনাল ফিড মিল, নর্দার্ণ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবিসি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ফিনিক্স ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টস, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, আরডি ফুড, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সায়হাম কটন মিলস, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, সোনালি পেপার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, এসএস স্টীল, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা

 

হল-মার্কের জেসমিন ইসলামের জামিনের শুনানি ৭ জুলাই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের ওপর আগামী ৭ জুলাই হাইকোর্টে শুনানি।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করে আদেশ দেন। জেসমিন ইসলামের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা করে দুদক। ওইদিনই বিকেলে রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, হলমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভূক্ত কর্মচারি মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জনতা ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬শ ১৬ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ১৭ আগষ্ট বিচারিক আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে। এরপর তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট একই বছরের ৫ নভেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ জেসমিন ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। এই জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদন করে। এ আবেদনে আপিল বিভাগ ওই বছরের ১৬ জুন এক আদেশে জেসমিন ইসলামের জামিন স্থগিত করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। এরপর তিনি আত্মসমর্পন করেন। এ অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে এবছর আবেদন করেন। এ আবেদনে আদালত রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর আগামী ৭ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দ্যা সিটি ব্যাংকের ২০২০ সালের ঋণমান প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ঋণমান প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি এই রেটিং প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং এসেন্সি (ক্রাব)। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্রটি জানায়, উক্ত সময় ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এএ২’। আর স্বল্প মেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এসটি-২’।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে ক্রাব।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/রিমা