নিপ্রো-জেএমআই ও ধানমন্ডি জেনারেল হাসপাতালের চুক্তি সই

নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিসের সঙ্গে ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনী হাসপাতালের চুক্তি সই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কিডনি রোগীদের জন্য সব ধরণের সেবা নিশ্চিত করতে একযোগে সেবা দিবে অভিজ্ঞ দুই প্রতিষ্ঠান নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার লিমিটেড এবং ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনী হাসপাতাল লিমিটেড।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে চুক্তিতে সই করেন নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক এবং ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনী হাসপাতাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ ইউসুফ হোসেন নূর।

এসময় জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরেই আলাদাভাবে কিডনি রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান দুটি। সেবার মান আরও বাড়াতেই দুই প্রতিষ্ঠানের এক হওয়া। চুক্তির আওতায় হাসপাতালের জায়গা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা ব্যবহার করে জাপানি যন্ত্রপাতি, কারিগরি দক্ষতা আর দক্ষ চিকিৎসক-নার্সদের মাধ্যমে কিডনি রোগীদের জন্য ওয়ানস্টপ সেবার ব্যবস্থা করবে নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার।

এ বিষয়ে জেএমআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, “নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার বাংলাদেশ-জাপান যৌথ বিনিয়োগের একটি প্রতিষ্ঠান। বিগত বছরগুলোতে আমরা জাপানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডায়ালাইসিস সেবা দিয়ে আসছি। একইসঙ্গে ডায়ালাইসিস ছাড়াও অন্যান্য সেবা রোগীদের নাগালে সরবরাহ করার লক্ষ্যে আজ (মঙ্গলবার) আমরা ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনী হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি সই করলাম।”

নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কুনিও (কেনি) তাকামিদো বলেন, “বাংলাদেশে কিডনি চিকিৎসায় পথিকৃৎ ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনী হাসপাতাল। পাশাপাশি কিডনির চিকিৎসায় ব্যবহার হওয়া সরঞ্জামসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে জেএমআই গ্রুপ। এই দুই প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশের কিডনি রোগের চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আমার বিশ্বাস। এই উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে নিপ্রো কর্পোরেশন গর্বিত।”

নিপ্রো-জেএমআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনি হাসপাতালে কিডনি রোগীদের চিকিৎসার মান কয়েক ধাপ উন্নতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ ইউসুফ হোসেন নূর। তিনি জানান, “এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সাড়ে নয় বছর পর্যন্ত একজন রোগী বেঁচে ছিলেন। রোগ শনাক্তের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে কিডনির রোগীদের আরও বেশিদিন বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে।”

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিপ্রো-জেএমআই ডায়ালাইসিস সেন্টার লিমিটেডের কনসালট্যান্ট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নজরুল ইসলাম, ধানমন্ডি জেনারেল এন্ড কিডনী হাসপাতাল লিমিটেডের ভাইস-চেয়ারম্যান সৈয়দ হারুন অর রশিদ, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাহবুব উল ইসলাম, পরিচালক (অর্থ) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পরিচালক (মানসম্পদদ উন্নয়ন) মো. সফিকুল করিম এবং পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন ও মো. তারেক মাহমুদ খান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

৬ প্রতিবন্ধীর জীবন বদলে দিলেন ওয়ালটনের এমডি

ওয়ালটনে নিয়োগ পাওয়া ৬ শারীরিক প্রতিবন্ধীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মানবিকতার আরেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পেলেন ৬ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ নিয়েছেন সর্বোত্তম বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’। ওই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ওয়ালটনে ৬ জন সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি নিয়োগ পেলেন। পর্যায়ক্রমে এরকম আরো অনেককে প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করবে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (০১ নভেম্বর, ২০২১) রাজধানীর বসুন্ধরায় করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ৬ ব্যক্তি ওয়ালটনে যোগ দেন। ‘পিপল ম্যাটার মোর ঃ ফিনান্সিয়াল এমানসিপেশন ফর এভরিওয়ান’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে ওয়ালটনে বরণ করে নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ তাদেরকে ওয়ালটন পরিবারে স্বাগত জানান।
ওয়ালটনে নিয়োগ পাওয়া ওই ৬ শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেন সাবিনা খাতুন, সবিতা রাণী দাশ, সুসান দে, অরবিন্দু চাকমা, লুৎফর রহমান এবং আবু বকর সিদ্দিক। তারা ওয়ালটনের করপোরেট অফিস, সার্ভিস সেন্টারসহ বিভিন্ন বিভাগে কাজ করবেন। সাভারের সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান সিআরপির মাধ্যমে ওয়ালটন তাদের নিয়োগ দেয়।

১ নভেম্বর ৬ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে নিয়োগ দেয় ওয়ালটন। অনুষ্ঠানে কথা বলছেন প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।

ওই ৬ ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে গোলাম মুর্শেদ বলেন, আপনারা নিজেদেরকে দুর্বল ভাববেন না। আপনাদের মধ্যে অনেক প্রতিভা, সম্ভাবনা আছে। আমাদের সৌভাগ্য যে আপনাদেরকে ওয়ালটন পরিবারে পেয়েছি। আপনারা ৬ জন ওয়ালটনের ৩০ হাজার সদস্যের সঙ্গে যুক্ত হলেন। আমরা যে স্বপ্ন দেখছি, আপনারা তার সঙ্গে একাত্ম হয়ে বাস্তবায়ন করবেন। দেশ-বিশ্ব পরিবর্তন হবেই। এটা আমাদের দ্বারাই সম্ভব। আজকে ৬ জনকে দিয়ে ওয়ালটন শুরু করলো। এরপর ৬০০ জন হবে। পরে ৬ হাজার জন হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য সিআরপিকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি পরিবর্তন আসবেই। যদি উদ্দেশ্য ভালো থাকে, ভালো কিছু করতে চাইলে বাধা আসবে। কিন্তু সেজন্য পিছিয়ে গেলে চলবে না। বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ সবক্ষেত্রেই ভালো করছে। যার অন্যতম উদাহরণ ওয়ালটন। বাংলাদেশের উন্নয়ন যদি কেউ দেখতে চায়, তবে তার শোকেস ওয়ালটন।

গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমাদের সবার জন্ম নেয়ার স্বার্থকতা পূরণ করতে হবে। আমরা কোনো না কোনো দায়িত্ব নিয়ে এই পৃথিবীতে এসেছি। আমাদের বুদ্ধি আছে, বিবেক, মূল্যবোধ আছে। সেই বিচার-বুদ্ধি ব্যবহার করে মূল্যবোধ অক্ষুণœ রেখে সবসময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। কাজ করতে গেলে ভুল হবে। ভুল থেকে আমরা শিখবো। আমরা একে অন্যকে ভুলগুলো ধরিয়ে দেবো। ভুলগুলো সুন্দর ও সাবলিলভাবে শুধরে নেবো।

ওয়ালটনের মতো মাল্টিন্যাশাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভীষণ আপ্লুত ওই ৬ শারীরিক প্রতিবন্ধী। তারা প্রতিষ্ঠান ও দেশের প্রতি সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তাদের মধ্যে লুৎফর রহমান বলেন, ওয়ালটন পরিবারে সম্পৃক্ত হতে পেরে খুবই আনন্দিত। ওয়ালটন আজ আমাদের যে সম্মান দেখালো, তাতে আমরা অভিভূত।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা নিলু, ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, এমদাদুল করিম, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোজাহিদুল ইসলাম, তানভীর আঞ্জুম, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ছয় দফা দাবিতে পোল্ট্রি খামারিদের মানববন্ধন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম কমানো, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম কমানো ও বাচ্চার মান বৃদ্ধি এবং রেডি মুরগির উৎপাদন বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠন।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি।

সমাবেশে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মানা না হয় তাহলে ৬০ লাখ খামারি যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমি সকলকে অনুরোধ করবো, দাবি না মানলে ১০ নভেম্বরের পর থেকে কোনো মুরগি আর তুলবেন না, বিক্রিও করবেন না।

এসময় ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মামুনুর রহমান (পলাশ)। দাবিগুলো হলো- ব্রয়লার মুরগির ৫০ কেজি পরিমাণ প্রতিবস্তা খাদ্যের দাম কমিয়ে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ১০০ টাকার মধ্যে করা। ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ২০-২৫ টাকার মধ্যে আনা ও বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে। রেডি মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। কোনো প্রণোদনা নয়, প্রতিটি উপজেলায় ৩০০ জন নিবন্ধিত খামারিকে যারা কমপক্ষে এক হাজার মুরগি পালন করে তাদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা ঋণ দিতে হবে। একজন খামারি ১০ হাজার মুরগির ওপরে কোনো প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করতে পারবে না। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রান্তিক খামারিদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে।

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ফুজাউর রহমানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

শেয়ারবাজারের আলাদিন আবুল খায়ের হিরু!

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বছর দুয়েক আগেও শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে আবুল খায়ের হিরুর নামটি খুব একটা পরিচিত ছিল না। তবে এ অল্প সময়ের মধ্যেই বর্তমানে শেয়ারবাজারে রীতিমতো তারকা খ্যাতি পেয়ে গিয়েছেন তিনি। এ মুহূর্তে দেশের শেয়ারবাজারের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বড় বিনিয়োগকারী হয়ে উঠেছেন সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের হিরু।

শেয়ারবাজারে এখন আবুল খায়ের হিরুর ভূমিকাকে তুলনা দেয়া হচ্ছে আরব্য রজনীর আলাদিনের সঙ্গে। বাজারে তার এতটাই প্রভাব, তিনি যে শেয়ারে হাত দিচ্ছেন, মুহূর্তের মধ্যে সেটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে তিনি রাতারাতি একজন বড় তারকা হয়ে উঠেছেন। তিনি কোন কোম্পানির শেয়ার কিনছেন, সেটি জানার জন্যও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহের কমতি নেই।

দেশের শেয়ারবাজারে এর আগেও বেশকিছু ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারী আলোচিত হয়েছেন। তবে তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন ৩১তম বিসিএস সমবায়ের কর্মকর্তা আবুল খায়ের হিরু। শেয়ারবাজারের পুরনো বিনিয়োগকারী ও বিনিয়োগ ব্যাংকাররাও তার এ উত্থানকে বর্ণনা করছেন বিস্ময়কর ও অভূতপূর্ব হিসেবে।

আবুল খায়ের হিরু প্রথম পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন গত বছর বীমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে। সেই সময় এক দফায় বীমা খাতের, বিশেষ করে সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর, শেয়ারদরে উল্লম্ফন ঘটে। সেবারই প্রথম একজন বড় বিনিয়োগকারী হিসেবে তার নাম সামনে আসে। এর পর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যে শেয়ারেই তিনি হাত দিয়েছেন, সেটিরই দাম বেড়েছে।

শুরুর দিকে সমবায়ের তহবিল শেয়ারবাজারে খাটানো শুরু করেছিলেন হিরু। তবে দ্রুতই তহবিল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঈর্ষণীয় মুনাফা অর্জনের বিষয়টি বাজারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী তার সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি কখন কোন শেয়ার কিনছেন সেটির খবর জানার চেষ্টায় থাকেন তারা। এমনকি বাজারে জনশ্রুতি রয়েছে, বিত্তশালী অনেকেই তাদের তহবিল পুঁজিবাজারে খাটানোর জন্য হিরুকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনিও সফলভাবে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

আবুল খায়ের হিরুর কয়েকশ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রভাবে সাধারণ বীমা খাতের বেশকিছু কোম্পানির শেয়ারদর আকাশচুম্বী হয়ে যায়। অবশ্য হিরু একা নন, এক্ষেত্রে তার সঙ্গে আরো কয়েকজন ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারী সঙ্গ দিয়েছেন। ওটিসি থেকে আসা কোম্পানি সোনালী পেপার, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিস, ব্যাংক খাতের এনআরবিসি, বীমা খাতের ডেল্টা লাইফ, ট্যানারি খাতের ফরচুন সুজ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ন্যাশনাল ফিড এবং বস্ত্র খাতের মালেক স্পিনিং ও হামিদ ফ্যাব্রিকসের শেয়ারদর উত্থানের পেছনে হিরুর বড় অংকের বিনিয়োগের প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

কোনো শেয়ারে হিরুর বিনিয়োগের প্রভাব কেমন, সেটি বুঝতে সেই শেয়ারের দামের দিকে নজর দিলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ওটিসি থেকে আসা কোম্পানি সোনালী পেপারের শেয়ারদর এ বছরের ২৭ জুন ছিল ১৯৭ টাকা ৪০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল এটি ৬৭৫ টাকা ৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারদর এ বছরের ১২ মে ছিল ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা। গতকাল শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ১৩৬ টাকা ১০ পয়সায়। এ বছর তালিকাভুক্ত হওয়া এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারদর গত ২২ মার্চ ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল এ শেয়ারটির দর হয়েছে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার এ বছরের ৫ এপ্রিল ছিল ৬৪ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারটির দর বেড়ে সর্বশেষ গতকাল ২১৫ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ফরচুন সুজের শেয়ারদর এ বছরের ১৯ এপ্রিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা ছিল। গতকাল শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ১১৭ টাকা ১০ পয়সায়। ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ার গত ১১ এপ্রিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা ছিল। সেখান থেকে বেড়ে ২০ জুন শেয়ারটি ৪১ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়ায়। অবশ্য এর পর থেকে শেয়ারটির দর কমতে থাকে এবং সর্বশেষ গতকাল ২২ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর এ বছরের ১২ এপ্রিল ছিল ১৪ টাকা ২০ পয়সা। আর গতকাল শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকায়।

গত ২৮ অক্টোবর হামিদ ফ্যাব্রিকসের শেয়ারদর একদিনেই ৬৭ শতাংশ বেড়ে ১৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ৬০ পয়সায় উন্নীত হয়। সর্বশেষ গতকাল শেয়ারটির দর দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৩০ পয়সায়।

আবুল খায়ের হিরুর বিনিয়োগ কৌশল ও মুনাফার বিষয়ে একজন বিনিয়োগ ব্যাংকারের সঙ্গে কথা হয় বণিক বার্তার। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে তিনি বলেন, করোনার আগেও হিরু কিছুই ছিলেন না। কিন্তু করোনার মধ্যে গত বছর তার বিস্ময়কর উত্থান দেখলাম। মনে হয় তিনি কোনো আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। তিন দশক ধরে শেয়ারবাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরও হিরুর মতো এত বড় তহবিল ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা আমি এখন পর্যন্ত অর্জন করতে পারিনি। এ সময় একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে হিরুর পক্ষে কীভাবে এত বড় তহবিল সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করা সম্ভব হয়েছে সে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিভিন্ন জায়গা থেকে হিরু তহবিল সংগ্রহ করে যেভাবে শেয়ারে বিনিয়োগ করে দাম বাড়াচ্ছেন, সেটিকে পনজি স্কিমের সঙ্গে তুলনা দিচ্ছেন অনেকেই। এ মুহূর্তে শেয়ারবাজারে হিরুর বিনিয়োগ কত, এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে জল্পনাকল্পনার অন্ত নেই। কারো কারো মতে, ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ তার নিয়ন্ত্রণে। কারো মতে তার নিয়ন্ত্রণাধীন বিনিয়োগের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকাও হতে পারে। তবে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ থেকে তার আয় যে ভালোই স্ফীত হয়েছে, সেটি স্পষ্ট। এরই মধ্যে তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান মোনার্ক হোল্ডিংস নামে একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছেন। ব্রোকারেজটির চেয়ারম্যানের হিসেবে রয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সাকিবের সঙ্গেও হিরুর ভালো সখ্যতা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুজনকে একসঙ্গেও দেখা গিয়েছে। এমনকি হিরু ও সাকিব একসঙ্গে শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে বিনিয়োগও করেছেন।

শেয়ারবাজারে বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল খায়ের হিরু বণিক বার্তাকে বলেন, মানুষ তো কত কথাই বলে। সেই সব কি বিশ্বাসযোগ্য। পুঁজিবাজারে তার ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরনের ইন্টারমিডিয়ারিজ রয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে কেন এতদিন এ ধরনের ইন্টারমিডিয়ারিজ গড়ে ওঠেনি, সেটি আমার প্রশ্ন।

ডেল্টা লাইফের বিপুল পরিমাণ শেয়ার তিনি কিনেছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, হ্যাঁ আমি কোম্পানিটির কিছু শেয়ার কিনেছি। কিন্তু তা এত বেশি নয়। সূত্র : বণিক বার্তা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ইউরোপ যাচ্ছে প্রতিনিধিদল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইউরোপে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আগামী ৯ থেকে ১৭ নভেম্বর এই দুই দেশ সফর করবেন প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বরার্ট চ্যাটারসন ডিকশনের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের শাক-সবজি, ফলমূল, তেল-ডাল, পেঁয়াজ সব কিছুরই উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছি কৃষকের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়। সেটি করতে হলে আমাদের বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে। বাণিজ্যিক কৃষিতে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তুলনামূলকভাবে কম।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা যদি রপ্তানি বাড়াতে পারি, তবে আমাদের কৃষকদের আয়ও বাড়বে। স্থানীয় বাজারেও মানুষের কেনার ক্ষমতা বাড়বে। এজন্য আমার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে। ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি আগামী ৯ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দু’টি দেশ সফর করবেন। প্রতিনিধি দলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, ফ্রেস গ্রুপের মোস্তফা কামাল, এসিআইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এফ এইচ আনসারী এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিনিধি দলে থাকছেন। লিডিং বিজনেস হাউজগুলোর প্রায় সবাই যাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলে সরকারি কর্মকর্তারা থাকবেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই সফরে আমরা চাচ্ছি বড় বড় কোম্পানির সিও, পরিবেশ ও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা লিংকেজ সৃষ্টি করতে। যাতে আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারি। এ বিষয় নিয়ে আলোচনা (রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে) করেছি, রাষ্ট্রদূত আমাদের সহযোগিতা করবেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাক-সবজি ও ফলমূলের উৎপাদন বেড়েছে তাই এগুলো রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। আমরা চাচ্ছি ইউরোপীয় দেশের মূল মার্কেটে যাওয়ার জন্য। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড যেভাবে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয় করে শুধু কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। এজন্য মানের বিষয়েও জানার জন্য আমরা যাচ্ছি। মানুষ নিরাপদ খাদ্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা কীভাবে নিরাপদ খাদ্য দিতে পারি। সেগুলো নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহযোগিতা চায় জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাই। ফান্ডিং সাপোর্ট এখন চাচ্ছি না। ইনশাআল্লাহ আমাদের ফান্ড আছে। এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিও আমরা সেটআপ করতে পারবো। কিন্তু কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এই ব্যাপারেই সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি আমাদের বলেছেন, কারিগরি ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা তারা দেবেন।

মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলে একটি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২ একর জমি দিয়েছেন। সেখানে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অ্যাক্রেডিয়েটেড ল্যাব করবো। যেখানে থেকে আমাদের কৃষিপণ্য সার্টিফাইড করা হবে। সেখানে প্যাকেজিং করে বিভিন্ন পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কোল্ড স্টোরেজ থাকবে। সেখানে থেকে পণ্য এয়াপোর্টে চলে যাবে। এজন্য তাদের ল্যাবগুলো দেখার জন্য যাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে আসছে। আমি এইটুকু বলবো যে বাংলাদেশকে আমরা সার্বিকভাবে উন্নতি করে দিচ্ছি।’ দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তার ওপর প্রণোদনা দেওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২ শতাংশ প্রণোদনার দাবি কেউ উঠাননি। এটা কোনোদিন কারো মাথায়ও আসেনি। স্বেচ্ছায় আমি নিজে থেকে দিয়েছিলাম।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের চিংড়ি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি। সনদ পেলে বাড়বে এ পণ্যের দাম। এতে লাভবান হবে এই পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানিকারকরা।

পাশাপাশি বাগদা চিংড়ির উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে বাংলাদেশ। সুস্বাদু, তাই বিশ্বে কদর আছে বাগদা চিংড়ির। গুণগত মানের কারণে ৮০’এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বাগদা রপ্তানি হচ্ছে দেশে-দেশে।

চাহিদার কারণে ২০১৭ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রনালয়ে পেটেন্ট ডিজাইন এবং ট্রেড মার্ক বিভাগে বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের আবেদন করে। আর এই আবেদনের স্বীকৃতি পেলে অর্থকরী এই পণ্যের আর্ন্তজাতিক বাজারে জিআই সনদ মিলবে।

খুলনা ক্রিমসন রোজেলা সি ফুড লিমিটেড’র পরিচালক মোহম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জিআই পাওয়া আমাদের জন্য খুবই সাফল্যের ব্যাপার। আপনারা জানেন ইউরোপ-আমেরিকাতে জিএসপি ফেসালিটি আছে। জিএসপি ফেসালিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে জিআই আরও সহায়ক হবে।’

এরই মধ্যে বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে। এ পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে আপত্তি না জানানোয় জিআই অনুমোদনের দ্বারপ্রান্তে বাগদা চিংড়ি।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার অ্যাসোসিয়েশন’র সহ সভাপতি এস হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এটা পেয়ে গেলে এটা আমাদের নিজেস্ব পণ্য হিসাবে বিশ্ববাজারে পরিচিত হবে। আমরা এটাকে ব্যান্ড হিসেবে বিশ্ববাজারে অধিক দামে বিক্রি করতে পারবো।’

জিআই সনদ পেলে আর্ন্তজাতিক বাজারে নিজস্ব ট্যাগ মিলবে বাগদা চিংড়ির। এতে অন্যকোন দেশ আর বাগদা চিংড়িকে নিজের বলে দাবি করতে পারবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

কৃষিবিদ ফিডের ২য় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কমেছে।

এই প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর,২০) কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর আগের বছর এই মুনাফা ছিল ২ কোটি ১ লাখ টাকা।

এই প্রান্তিকের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬৩পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৭৩ পয়সা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

প্রবাসীদের দেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্কটল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রতিবন্ধকতাগুলো (আরো যদি থাকে) খুঁজে বের করব এবং আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি, সেগুলোর সমাধান করার মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশকে আরো সুবিধাজনক করব।’

কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে সেসব নির্দেশনা অনলাইনে পাওয়া যাবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিভাবে বিনিয়োগ করতে হবে বা করলে আপনাদের অসুবিধা হবে না ইতোমধ্যে বিডাতে (বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আপনারা বিডাতে অনলাইনে গেলে সব পেয়ে যাবেন।’

দেশে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আসছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে আসছে। আমি এইটুকু বলবো যে বাংলাদেশকে আমরা সার্বিকভাবে উন্নতি করে দিচ্ছি।’ দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তার ওপর প্রণোদনা দেওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২ শতাংশ প্রণোদনার দাবি কেউ উঠাননি। এটা কোনোদিন কারো মাথায়ও আসেনি। স্বেচ্ছায় আমি নিজে থেকে দিয়েছিলাম।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক বোর্ড সভা আগামী ৬ নভেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৫টায় রাজধানীর উত্তরায় নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. আইএফআইসি ব্যাংক
  3. আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ
  4. ম্যাকসন স্পিনিং মিলস
  5. ওরিয়ন ফার্মা
  6. মালেক স্পিনিং মিলস
  7. বেক্স ফার্মা
  8. বিএটিবিসি
  9. সাইফ পাওয়ারটেক
  10. লাফার্জ হোলসিম বিডি লিমিটেড।