কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ইউরোপ যাচ্ছে প্রতিনিধিদল

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইউরোপে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। আগামী ৯ থেকে ১৭ নভেম্বর এই দুই দেশ সফর করবেন প্রতিনিধিদল।

মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বরার্ট চ্যাটারসন ডিকশনের সঙ্গে বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের শাক-সবজি, ফলমূল, তেল-ডাল, পেঁয়াজ সব কিছুরই উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এখন চিন্তা করছি কৃষকের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়। সেটি করতে হলে আমাদের বাণিজ্যিক কৃষিতে যেতে হবে। বাণিজ্যিক কৃষিতে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তুলনামূলকভাবে কম।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা যদি রপ্তানি বাড়াতে পারি, তবে আমাদের কৃষকদের আয়ও বাড়বে। স্থানীয় বাজারেও মানুষের কেনার ক্ষমতা বাড়বে। এজন্য আমার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে। ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি আগামী ৯ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দু’টি দেশ সফর করবেন। প্রতিনিধি দলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, ফ্রেস গ্রুপের মোস্তফা কামাল, এসিআইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এফ এইচ আনসারী এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রতিনিধি দলে থাকছেন। লিডিং বিজনেস হাউজগুলোর প্রায় সবাই যাচ্ছেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলে সরকারি কর্মকর্তারা থাকবেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই সফরে আমরা চাচ্ছি বড় বড় কোম্পানির সিও, পরিবেশ ও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা লিংকেজ সৃষ্টি করতে। যাতে আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারি। এ বিষয় নিয়ে আলোচনা (রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে) করেছি, রাষ্ট্রদূত আমাদের সহযোগিতা করবেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের শাক-সবজি ও ফলমূলের উৎপাদন বেড়েছে তাই এগুলো রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। আমরা চাচ্ছি ইউরোপীয় দেশের মূল মার্কেটে যাওয়ার জন্য। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড যেভাবে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয় করে শুধু কৃষিপণ্য রপ্তানি করে। এজন্য মানের বিষয়েও জানার জন্য আমরা যাচ্ছি। মানুষ নিরাপদ খাদ্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা কীভাবে নিরাপদ খাদ্য দিতে পারি। সেগুলো নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহযোগিতা চায় জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাই। ফান্ডিং সাপোর্ট এখন চাচ্ছি না। ইনশাআল্লাহ আমাদের ফান্ড আছে। এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিও আমরা সেটআপ করতে পারবো। কিন্তু কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এই ব্যাপারেই সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি আমাদের বলেছেন, কারিগরি ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা তারা দেবেন।

মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলে একটি প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২ একর জমি দিয়েছেন। সেখানে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অ্যাক্রেডিয়েটেড ল্যাব করবো। যেখানে থেকে আমাদের কৃষিপণ্য সার্টিফাইড করা হবে। সেখানে প্যাকেজিং করে বিভিন্ন পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কোল্ড স্টোরেজ থাকবে। সেখানে থেকে পণ্য এয়াপোর্টে চলে যাবে। এজন্য তাদের ল্যাবগুলো দেখার জন্য যাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে আসছে। আমি এইটুকু বলবো যে বাংলাদেশকে আমরা সার্বিকভাবে উন্নতি করে দিচ্ছি।’ দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তার ওপর প্রণোদনা দেওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২ শতাংশ প্রণোদনার দাবি কেউ উঠাননি। এটা কোনোদিন কারো মাথায়ও আসেনি। স্বেচ্ছায় আমি নিজে থেকে দিয়েছিলাম।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *