রাশিয়ায় এবার সেবা বন্ধ করছে ভিসা ও মাস্টারকার্ড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মিছিলে এবার যোগ দিল ভিসা ও মাস্টারকার্ড।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, আমেরিকার এ দুটি কোম্পানি শনিবার সন্ধ্যায় ঘোষণা দিয়েছে, আপাতত রাশিয়ায় সেবা বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।

এর ফলে রুশ ব্যাংকগুলো থেকে ইস্যু করা ভিসা বা মাস্টারকার্ড দিয়ে অন্য দেশে লেনদেন করা যাবে না। অন্য কোনো দেশে ইস্যু করা কার্ডের মাধ্যমে রাশিয়ার কোনো কোম্পানিগুলো থেকে পণ্য বা সেবাও কেনা যাবে না।

তবে এসব কার্ড দিয়ে রাশিয়ায় অন্যান্য লেনদেন এখনও চলতে পারে। রুশ ব্যাংকগুলো থেকে মাস্টারকার্ড বা ভিসার লোগো সম্বলিত যে কার্ডগুলো গ্রাহকদের হাতে আছে, সেগুলো দেশের ভেতরে কাজ করতে পারে, কারণ সেগুলো দিয়ে স্থানীয়ভাবে, স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইন্ট্রাকোর ৫ লাখ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও শক্তি খাতের কোম্পানি ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেডের এক প্লেসমেন্ট শেয়ার হোল্ডার শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইন্ট্রাকো প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে কোম্পানিটির এই শেয়ারহোল্ডার ৫ লাখ শেয়ার শেয়ার চলমান বাজার দরে বিক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের হাতে মোট ৫ লাখ ২২ হাজার ৩৬টি শেয়ার রয়েছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার বিক্রয় করা হবে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

তবে এ শেয়ারহোল্ডার এসব শেয়ার চলমান বাজার দরে পাবলিক মার্কেটে বিক্রয় করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম.

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় বিএসসি

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৭০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফরচুন সুজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার।

২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিএটিবিসি লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)র ২১ কোটি ২০ লাখ, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ডের ২১ কোটি ১৬ লাখ, কেয়া কসমেটিকসের ১৩ কোটি ৫৫ লাখ, রেনেটা লিমিটেডের ১২ কোটি ৩১ লাখ, ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১১ কোটি ৬৬ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ১১ কোটি ২৪ লাখ ও কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেডের ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. ফরচুন সুজ
  3. বিএটিবিসি
  4. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  5. সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড
  6. কেয়া কসমেটিকস
  7. রেনেটা লিমিটেড
  8. ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স
  9. ওরিয়ন ফার্মা
  10. কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন সামান্য বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের পতন হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমে সামান্য বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৬৩৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১০.৯৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৪৩৮ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৯৮টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৪৭টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩৪টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, ফরচুন সুজ, বিএটিবিসি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড, কেয়া কসমেটিকস, রেনেটা লিমিটেড, ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা ও কুইন সাউথ টেক্সটাইল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১২৭.৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৯৪৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৫৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস ও বিএটিবিসি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ভোজ্য তেল তেল আমদানিকারকদের তথ্য চায় সরকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তেলের প্রকৃত মজুদ এবং সরবরাহ সংকটের প্রকৃত চিত্র জানতে পদশের ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানিকারকদের কাছে আমদানির তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কোম্পানিগুলোকে আগামী ৭ মার্চ রবিবারের মধ্যে এসব তথ্যসংবলিত কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এতে ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো গত তিন মাসে কী পরিমাণ তেল আমদানি করেছে, কী পরিমাণ তেল পরিশোধন করা হয়েছে, কী পরিমাণ তেল মজুদ আছে—কাস্টমস পেপারসহ এসবের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো কত পরিমাণ তেলের ডিও বা এসও দিয়েছে, কত পরিমাণের তেল সরবরাহ (ডেলিভারি) করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত কতটা মজুদ আছে, সরকারের পক্ষ থেকে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, অভিযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে হঠাৎ করেই বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রিফাইনারি কোম্পানিগুলো। এতে বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রবি আজিয়াটার বাৎসরিক বোর্ড সভার দিন পূণ:নির্ধারণ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভার দিন পূণ:নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র থেকে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ বেলা ২:৪৫ টায় রাজধানীর গুলশানে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে তা স্থগিত করা হয়।

এই বোর্ড সভার নতুন দিন ও সময় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

কৃষিবিদ সিডের সাবস্ক্রিপশন শুরু ২০ মার্চ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাতের কোম্পানি কৃষিবিদ সিড লিমিটেড শেয়ারবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির ইলেক্ট্রোনিক্স সাবক্রিপশন শুরু হবে আগামী ২০ মার্চ থেকে। কোয়ালিফাইড প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এই সাবস্ক্রিপশন শেষ হবে ২৪ মার্চ।

কৃষিবিদ ফিড লিমিটেডের প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ১.১৬ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১১.৬০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮০৯তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির কিউআইও অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা যায়, কোম্পানির পুঁজি উত্তোলন করে কোল্ড স্টোরেজ, স্টোরেজ বিল্ডিং, বীজ গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৬০ টাকা এবং পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২.৬০ টাকা। এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

কৃষিবিদ সিড লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ই-প্লাজায় ওয়ালটন এসিতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অনলাইনে এয়ার কন্ডিশনার কেনায় ব্যাপক মূল্যছাড় দিচ্ছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। প্রতিষ্ঠানটির ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ওয়ালটন ই-প্লাজায় নির্দিষ্ট মডেলের এসিতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাচ্ছেন গ্রাহক। ‘সারপ্রাইজিং সামার ডিল’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এই ডিসকাউন্ট দিচ্ছে ওয়ালটন। এক্ষেত্রে ই-প্লাজা থেকে জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই (ইক্যুয়াল মান্থ্যলি ইনস্টলমেন্ট) সুবিধায় এসি কেনার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটন এসিতে গ্রাহক পাচ্ছেন ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা।

জানা গেছে, ‘ই-প্লাজা ডট ওয়ালটনবিডি ডটকম’ (https://eplaza.waltonbd.com) থেকে ইনভার্টারসহ বিভিন্ন মডেলের এসি কেনায় গ্রাহকরা এসব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন চলতি মার্চ মাসের ৫ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত। অনলাইন পেমেন্ট কিংবা ক্যাশ অন ডেলিভারি উভয় ক্ষেত্রেই ‘সারপ্রাইজিং সামার ডিল’ ক্যাম্পেইনের ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।

ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, গাজীপুরে ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হচ্ছে ইউরোপীয়ান স্ট্যান্ডার্ড এসি। এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন এসি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর-৪১০এ এবং আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড, ডুয়েল ডিফেন্ডার এবং আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠা-া করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ওয়ালটন এসির ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।

তিনি জানান, সম্প্রতি বিশ্বে প্রথম বাংলা ভয়েস কন্ট্রোল এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। ওয়ালটন প্রকৌশলীদের নিজস্ব উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তির এসি রিমোট ব্যবহার ছাড়াই বাংলায় কথা বলে চালু বা বন্ধ করা যায়। পাশাপাশি ওয়ালটনের আইওটি স্মার্ট কন্ট্রোল এসি ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে।

ওয়ালটন এসির প্রোডাক্ট ম্যানেজার এস এম সাকিবুর রহমান জানান, গরমের শুরুতেই করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ঘরে বসে এসি কেনার সুযোগ দিতেই বিশেষ ছাড় দেয়া হচ্ছে। ই-প্লাজায় মুহূর্তের মধ্যেই অনলাইনে এসি অর্ডার করতে পারছেন ক্রেতারা। ই-প্লাজা থেকে ২৮টি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এসি কিনতে পারেন গ্রাহকরা। রয়েছে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই সুবিধা। ই-প্লাজায় নির্দিষ্ট মডেলে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ছাড়ের পাশাপাশি ওয়ালটনের ভেনচুরি ও বেভেলিন সিরিজের এসিতে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। এছাড়া ১৫ শতাংশ ছাড়ে কেনা যাবে ডায়মন্ড সিরিজের ওয়ালটন এসি।

ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ‘সারপ্রাইজিং সামার ডিল’ ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৪ চালাচ্ছে ওয়ালটন। এ কার্যক্রমের আওতায় দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ওয়ালটন এসি কিনে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও কোটি কোটি টাকার ফ্রি পণ্য পেতে পারেন ক্রেতারা। তবে ‘সারপ্রাইজিং সামার ডিল’-এর আওতায় ই-প্লাজা থেকে এসি কিনলে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে দেওয়া সুবিধা পাবেন না গ্রাহক।

এসির গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৭টি সার্ভিস সেন্টার। পাশাপাশি সার্ভিস পার্টনারদের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসি গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। এদিকে ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তিতে পাটের ভূমিকা অনস্বীকার্য

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট এখনো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস।

আজ রবিবার (৬ মার্চ) জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ৬ মার্চ ২০২২ ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

এ উপলক্ষে আমি পাট চাষিসহ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’ প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের সঙ্গে রয়েছে এদেশের মানুষ আর আমাদের মহান স্বাধীনতার এক নিবিড় যোগসূত্র। দেশ বিভাগের পর থেকেই তৎকালীন পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী দেশের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হতে অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার ন্যায্য হিসাব থেকে আমাদের বঞ্চিত করে। এ অন্যায়, অবিচার ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ দফা কর্মসূচির পঞ্চম দফায় বৈদেশিক মুদ্রার ওপর প্রদেশ বা অঙ্গরাজ্যগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করেন। পাটকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিকাশের পরিকল্পনা করেন তিনি। এ কারণে দেশ স্বাধীনের পরে ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার ১৯৭২ এর আওতায় সব পাটকল জাতীয়করণ করেন।

‘একই বছর তিনি বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি পাট শিল্পের উন্নয়নে পঞ্চবার্ষিক (১৯৭৩-৭৮) পরিকল্পনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরই) প্রতিষ্ঠা করেন। পাটখাত নিয়ে তার গঠনমূলক উদ্যোগের ফলে পাট মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর পাটখাতে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। লোকসানের কারণ দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়ার নামে পাটশিল্পকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হয়। ’

সরকারপ্রধান বলেন, এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট এখনো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিক পৃষ্ঠপোষকতা পাটের হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার এবং অধিক সমৃদ্ধশালী করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পরিবেশবান্ধব সোনালি আঁশ-পাটের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।

‘ইতোমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এবং এ সংক্রান্ত বিধিমালা দেশের পরিবেশ রক্ষায় ও জনস্বার্থ সুরক্ষায় ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি করেছে। ‘পাট আইন-২০১৭’ ও ‘জাতীয় পাটনীতি-২০১৮’ পাটখাতের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করছে। পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। বহুমুখী পাট পণ্যের এ সম্প্রসারণ একদিন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি যা বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে। ’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/