দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের একাংশের ভোট এবং তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে সভাপতি ও সাত সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার রেশ না কাটতেই ভোট কারচুপির অভিযোগ তুললেন তিন প্রার্থী। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের এই তিন প্রার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন আপিল বোর্ডের কাছে পুনরায় ভোট গণনার জন্য আপিল করেছেন।
তিন প্রার্থী হলেন বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মোস্তফা আল মাহমুদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রস্তুতকারক সমিতির প্রতিনিধি মো. মাহবুব হাফিজ ও বাংলাদেশ মিষ্টি উৎপাদক সমিতির প্রতিনিধি মো. মারুফ আহমেদ।
এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বোর্ডের আনুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী, ভোট পুনর্গণনায় আপিল করা মো. মোস্তফা আল মাহমুদের প্রাপ্ত ভোট ৮০৫। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৪৯ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর অবস্থান ২৪তম। মোস্তফা আল মাহমুদের চেয়ে মাত্র ৮ ভোট বেশি পেয়ে ২৩তম পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী হারুনুর রশীদ। তিনি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যদিকে ভোট পুনর্গণনার আপিল করা অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে মো. মাহবুব হাফিজের প্রাপ্ত ভোট ৭৯৯ ও মো. মারুফ আহমেদের ভোট ৭৭৫। তাঁরা যথাক্রমে ২৫ ও ২৬তম বিজয়ী হয়েছেন।
ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করা অপর দুই প্রার্থী মো. মাহবুব হাফিজ ও মো. মারুফ আহমেদের আবেদনের অভিযোগ প্রায় একই রকম। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, গভীর রাতে ভোট গণনার সময় সুকৌশলে কয়েকটি টেবিলে তাঁদের নামে ভোটের জায়গায় অন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নজরে এলেও মৌখিক প্রতিবাদ কেউ গ্রাহ্য করেননি; বরং তাড়াহুড়া করে গণনা শেষ করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম///