কাঁচা পাট সংগ্রহে উৎসে কর প্রত্যাহার চান মিল মালিকরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের মতো পাটপণ্য রপ্তানিতেও ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তন করা হয়। এ ছাড়াও কৃষক পর্যায় থেকে পাট সংগ্রহের সময় ২ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হচ্ছে। বাড়তি এই ৩ শতাংশ হারে উৎসে করের কারণে ঠিক সমপরিমাণ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মার খাচ্ছে দেশের পাটপণ্য। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক।

এ পরিস্থিতিতে কৃষক পর্যায় থেকে পাট সংগ্রহের সময় উৎসে কর প্রত্যাহার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করে পাট খাতের সমস্যা এবং তাঁদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বিজেএমএ নেতারা। একই বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গেও দেখা করেছেন তাঁরা।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পাটকলগুলো সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহ করে শতভাগ মূল্য সংযোজন করে থাকে। এর মাধ্যমে পাটপণ্য রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা হয়। পাট বুনন থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পাঁচ পর্যায়ে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থ সরবরাহ হয়ে থাকে। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা পান চার থেকে পাঁচ কোটি কৃষক-শ্রমিক। তবে ২০১৯ সাল থেকে ২ শতাংশ হারে উৎসে করারোপের কারণে পাটচাষি, শ্রমিক ও উদ্যোক্তারা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই দেশের গরিব কৃষক-শ্রমিককে বাঁচাতে পাট সংগ্রহ পর্যায়ে আরোপিত ২ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা দরকার।

বিজেএমএর মহাসচিব আব্দুল বারেক খান সমকালকে বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। কারণ ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই কৃষকের কাছ থেকে পাট সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও তিনি বলেন, ২০১৬ সালে পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর করা হয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএএফ) থেকে পাট খাত ঋণ পায় না। এটিও বৈষম্য। এমনিতেই ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক্ক আরোপের কারণে সংকটে আছে পাট খাত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *