‘সয়াবিন মিল’ রপ্তানি বন্ধের দাবি ডেইরি ফার্মারসদের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রাণিখাদ্য তৈরির প্রধান উপকরণ ‘সয়াবিন মিল’ এর ‘কৃত্রিম সংকট’ সৃষ্টির অভিযোগ এনে এর রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটি। তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ ফিশ ফার্মারস অ্যাসোসিয়শন।

প্যাকেটজাত হিমায়িত মাংস আমদানি বন্ধ করা, খামারিদের বিদ্যুৎ বিল কৃষি শ্রেণির আওতায়ভুক্ত করা, তরল দুধের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, পশুখাদ্যের দাম কমাতে টিসিবির মাধ্যমে সরবরাহ করারও দাবি জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলন থেকে।

ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইরমান হোসেন বলেন, সরকার ‘সয়াবিন মিল’ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর উৎপাদনকারীরা এর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।

ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের এই নেতা জানান, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্যের পেছনেই খামারিদের সবচেয়ে বেশি খরচ করতে হয়। যা মোট খরচের ৬৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা প্রাণিখাদ্যের প্রধান উপকরণ হল ‘সয়াবিন মিল’ বা ‘সয়াবিন এক্সট্রাকশন’, চালের গুঁড়া, গমের ভূষি, ডালের ভূষি ইত্যাদি। পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর দেহ গঠনে অন্যতম খাদ্য উপকরণ ‘সয়াবিল মিল’।

ইমরান বলেন, পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রাণিখাদ্য তৈরিতে যে কাঁচামাল ব্যবহার হয়, তার মধ্যে ভুট্টা, সয়াবিন মিল, গম, আটা ময়দা, ভাঙ্গা চাল, চালের কুড়া, ফিশ মিল, সরিষার খৈল, তৈল, ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি অন্যতম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় ভুট্টা ও ‘সয়াবিন মিল’।

তিনি জানান দেশের ‘সয়াবিন মিল’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ‍শুল্কমুক্তভাবে সয়াবিন বীজ আমদানি করে। সেখান থেকে সয়াবিন তেল উৎপাদনের পাশাপাশি উপজাত হিসেবে পাওয়া ‘সয়াবিন মিল’ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন ‘সয়াবিন মিলের’ চাহিদার রয়েছে। এর ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ দেশেই উৎপাদিত হয়। বাকি ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়।

‘সয়াবিন মিল’ আমদানি করতে বেশ কিছু সমস্যা পোহাতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন মিল আমদানি করতে এলসি করা থেকে শুরু করে বন্দরে মাল এসে পৌঁছানো পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ৫০ দিন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সময় লাগে ৭০ দিন। ভারত থেকে সড়ক পথে ৭ থেকে ১০ দিন, কনটেইনারে ১৫ থেকে ২০ দিন।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আলী আজম রমহান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান, অর্থ সম্পাদক জাফর আমমেদ পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহসহ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *