চীনের বৃহত্তম মুক্তবাণিজ্য জোটে চোখ বাংলাদেশের

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

চীনের বৃহত্তম মুক্তবাণিজ্য জোট রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)-এ যোগ দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করছে সরকার। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তা মোকাবিলার জন্য এই বাণিজ্যিক জোটটি কতটা কার্যকর হতে পারে এখন সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন এই জোট বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তুলছে। আর এই জোট গঠনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে এশিয়ায় বাণিজ্যের নীতি এবং শর্ত নিয়ন্ত্রণ করবে চীন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের প্রতিযোগী রাষ্ট্রগুলোর বেশিরভাগ এই চুক্তিতে থাকায় এর প্রভাব পর্যালোচনা করছে সরকারি-বেসরকারি মহল। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরসিইপির প্রভাব নিয়ে গত রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়। ওই সভায় যেটি ওঠে আসে, সেটি হচ্ছে-আপাতত এই বাণিজ্য জোটটি দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ যখন উন্নত বিশ্বে শুল্ক সুবিধা হারাবে- তখন ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর প্রতিযোগিতার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এই আশঙ্কা থেকে বৃহত্তম এই বাণিজ্যিক জোটে চোখ রাখছে বাংলাদেশ।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, “আরসিইপি একটি বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট, যাদের আয়ত্তে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ অর্থনীতি। এ ধরনের একটি জোট দেশের বাণিজ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলে- এখন সেটিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহত্তম এই বাণিজ্যিক জোটে যোগ দেওয়া যাবে কি-না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আমাদের লাভ-লোকসান পর্যালোচনা করে দেখছি।”

সচিব জানান, সাফটা ও আপটার আওতায় বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছি আমরা। এর বাইরে এলডিসি হিসেবে উন্নত দেশগুলোতে বাজার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ২০২৬ সালের পর এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সামনের দিকে চোখ রাখতে হচ্ছে। এ কারণেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি আরসিইপির মতো বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোটে যোগ দেওয়ার সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের নভেম্বরে আসিয়ান জোটসহ ১৪টি দেশের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার চীন। এতে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ ছাড়াও রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। এই চুক্তির ফলে রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) নামে নতুন যে বাণিজ্য জোট গঠিত হয়েছে তার অর্থনীতির আয়তন বিশ্বের মোট জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ। এ ধরনের একটি বাণিজ্যিক জোটে বাংলাদেশ যোগ দিতে পারলে এটি শুধু অর্থনৈতিক সক্ষমতাই বাড়াবে না, পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ ও বাণিজ্য উদারীকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বেসরকারি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগে প্রতিযোগী রাষ্ট্র ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলো এই চুক্তিতে থাকায় তারা রপ্তানি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণে আরো বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের আরসিইপি চুক্তির ফলে বাংলাদেশে তিন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। (১) চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী সাপ্লাইচেইন গড়ে ওঠবে, ফলে তাঁরা সস্তায় কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য সংগ্রহ করবে; (২) এর ফলে তাঁরা আরও কমমূল্যে পণ্য রপ্তানি করবে, যেটি বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে আরও বেশি প্রতিযোগিতায় ফেলে দেবে; এবং (৩) চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো একে অপরকে বিনিয়োগ সুবিধা দেবে, ফলে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগের বেশিরভাগই যাবে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশে, যা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সংকুচিত করবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, চীনের নেতৃত্বে যে বাণিজ্যিক জোট আরসিইপি-এটা থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখা সম্ভব হবে না বাংলাদেশের। কেন না, বাণিজ্য প্রতিযোগী একাধিক দেশ এই জোটের সদস্য। বাংলাদেশ শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে এমন বড় দেশও এই জোটে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা আর পাবে না। এ অবস্থায় নতুন যে বাণিজ্যের আলোচনা চলছে সেটা থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার উপায় নেই।

সিপিডির এই গবেষক বলেন, আরসিইপি-তে যোগ দেওয়ার আগে আমাদের যেমন লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখতে হবে, তেমনি বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের ক্ষেত্রে দরকষাকষির সক্ষমতার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। সামনের দিনগুলোতে আমদানি বাণিজ্যও উদারীকরণের দিকে যেতে হবে। এই কৌশলগুলো এ ধরনের জোটে যোগ দেওয়ার প্রাথমিক শর্ত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আলোচিত জোট থেকে সুবিধা আদায়ে কৌশলগত দক্ষতা অর্জন করা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

‘বিএসইসিতে কোম্পানিগুলোর আলাদা আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে’

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে অডিটরদের সংশ্লিষ্ট একটি কোম্পানির জন্য একটি মাত্র আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য করপোরেট প্রতিষ্ঠান তিন থেকে চার ধরনের আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।
এতে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যার সমাধানে সার্বিকভাবে একটি মাত্র আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করা প্রয়োজন।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ এবং ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ফিনান্স ফর নন ফিনান্স প্রোফেশনালস’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যসচিব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদউল হাসান খসরু এফসিএ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট সিদ্ধার্থ বড়ুয়া এফসিএ, প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু, ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্যসচিব বলেন, মূলত কোম্পানির সুবিধার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে বিএসইসির কাছে আলাদা আলাদা আর্থিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে কোম্পানির মূল সম্পদের অপমূল্যায়ন ও অতিমূল্যায়ন হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অডিটরদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছ অডিট রিপোর্ট তৈরির কাজটি অডিটর, কোম্পানি এবং সবাই মিলে করতে হবে।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, করোনার কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় এখনো আমরা পিছিয়ে আছি। তবে অর্থনীতিতে আবারও গতি ফিরতে শুরু করেছে,আমদানি-রফতানি বাড়ছে। আমরা আশা করি, দেশের অর্থনীতি খুব শিগগির করোনার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

সিএ অধ্যয়নরত মেধাবী-গরীব শির্ক্ষাথীদের কর্জে হাসানা নামের একটি প্রকল্পের অধীনে বর্তমান এবং কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের বিনা সুদে ঋণ দেবে আইসিএবি। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফল এবং পারিবারিক সচ্ছলতা বিবেচনা করে এ ঋণ দেওয়া হবে।

দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৬০ জন অর্থনৈতিক সাংবাদিক অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইসিএবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার এফসিএ ও মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন এফসিএ, কাউন্সিল মেম্বার এন কে এ মবিন এফসিএ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সমতা লেদারের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া শিল্প খাতের কোম্পানি সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি

ন্যাশনাল ব্যাংকের এজিএম স্থগিত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকি খাতের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থগিত করা হয়ে। এজিএমের তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির এই বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটা অনিবার্যকারণ বশত স্থগিত করা হয়েছে।

ব্যাংকটির এজিএমের দিন ও স্থান নির্ধারণ করে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

দেশবন্ধু পলিমারের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের দর বৃদ্ধির তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম শিল্প খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি শেয়ারটির দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি

বার্জারের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নুসরাত ফারিয়া

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের জনপ্রিয় তারকা নুসরাত ফারিয়া সম্প্রতি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে জুটিবদ্ধ হয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় পেইন্ট সল্যুশন ব্র্যান্ড বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) সাথে। এ উদ্দেশ্যে সম্প্রতি উভয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে, এই প্রখ্যাত অভিনেত্রী আগামী দুই বছরের জন্য বার্জারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, এনগেজমেন্ট সেশন এবং অন্যান্য প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নিবেন।

এ কে এম সাদেক নাওয়াজ, জেনারেল ম্যানেজার, মার্কেটিং, বার্জার, সাইদ শরীফ রাসেল, ক্যাটাগরি ম্যানেজার, মার্কেটিং, বার্জার, আহমেদ নাজিব রহমান, ব্র্যান্ড ম্যানেজার, মার্কেটিং, বার্জার, সাব্বির আহমাদ, হেড প্রজেক্টস, প্রোলিংক্স এক্সপেরিয়েন্স জোন, বার্জার; রোমিম রায়হান, কো-ফাউন্ডার, ঢাকা টকিজ; এবং নুসরাত ফারিয়া নিজে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “বার্জার নিঃসন্দেহে দেশের জনপ্রিয়তম ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে একটি। আশা করছি সামনে বার্জারের সাথে বেশকিছু ভালো কাজ করার সুযোগ আসবে এবং ভক্ত ও ক্রেতাদেরকে চমকপ্রদ কিছু ক্যাম্পেইন আমরা উপহার দিতে পারব।”

“নুসরাত ফারিয়ার মত বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন অভিনেত্রীর সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত” বলেন, বিপিবিএল’র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) এ কে এম সাদেক নাওয়াজ। “বার্জার যেমনভাবে মানুষের জীবনকে রাঙিয়ে তোলে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের ক্রেতা ও ভক্তদেরকে ঠিক তেমন কিছু রঙিন মুহুর্ত আমরা উপহার দেয়ার আশা করছি।”

বার্জার ও নুসরাত ফারিয়ার এই চুক্তি আগামীতে বার্জারের সকল ভোক্তাকেন্দ্রিক কার্যক্রমে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

‘বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে ওয়ালটন’

ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের নামফলক উন্মোচন করছেন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসটিংগুইজড প্রফেসর ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের উন্নয়নের জন্য শ্রমের পাশাপাশি প্রয়োজন মেধা ও দক্ষতার প্রয়োগ। এজন্য দরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন। উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার মাপকাঠি হলো তার রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কার্যক্রম। এ ক্ষেত্রে অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। প্রতিটি পণ্যের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আলাদা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগ। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে ওয়ালটন।

‘ওয়ালটন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সামিট-২০২১’-এ এসব কথা বলেছেন বক্তারা। ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ স্লোগানে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে দিনব্যাপী ওই সামিট বা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পে ওয়ালটনের অভাবনীয় অগ্রগতি, পণ্য উৎপাদনে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণাকর্ম আর উদ্ভাবনী কার্যক্রম প্রদর্শন এবং এসংক্রান্ত জ্ঞানের বিনিময় (নলেজ শেয়ারিং) হয়েছে। দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ওয়ালটনে কর্মরত প্রায় এক হাজার প্রকৌশলী।

সকালে ফিতা কেটে সামিটের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসটিংগুইজড প্রফেসর ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুয়েটের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, ড. মো. ফারুক হোসেন ও ড. নিরেন্দ্র নাথ মুস্তাফি, আইওটি’র অধ্যাপক ড. আশরাফুল হক, ড. এনায়েতউল্লাহ পাটোয়ারী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এএমডি আবুল বাশার হাওলাদার, ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র ইডি এস এম জাহিদ হাসান, উদয় হাকিম, কর্নেল (অবঃ) শাহাদাত আলম, তানভীর রহমান, তাপস কুমার মজুমদার, ফিরোজ আলম, আনিসুর রহমান মল্লিক, ইডি আজিজুল হাকিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান।

প্রকৌশলীদের নিয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের ফিতা কাটছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ।

সম্মেলনে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, সারা জীবন স্বপ্ন দেখেছি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ একটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার হবে। ওয়ালটনের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাজে চ্যালেঞ্জ আছে। ওয়ালটনের তরুণ ও মেধাবী প্রকৌশলীরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যত। আমি চাই তাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হোক। ওয়ালটন সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে আরো ব্যাপকভাবে তুলে ধরুক।

ড. কায়কোবাদ বলেন, ওয়ালটন কারখানায় এলে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়। বাংলাদেশের মানুষের প্রযুক্তিগত দক্ষতা আছে। ওয়ালটন সেই দক্ষতাকে আরো উন্নত করেছে। ওয়ালটনের পণ্য রপ্তানি হওয়ার সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। দেশের প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছে। তাদের মেধার প্রকাশ ঘটাতে পারছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত যে ওয়ালটনের মতো শিল্পপ্রতিষ্ঠান আমাদের আছে।

এস এম শামসুল আলম বলেন, ওয়ালটন দেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। আমরা যদি দেশের মেধা ধরে রাখতে এবং কাজে লাগাতে পারি, তবেই দ্রুত উন্নয়ণ সম্ভব। ওয়ালটনের মেধাবী প্রকৌশলীরা এ খাতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন।

গোলাম মুর্শেদ ওয়ালটনের তরুণ প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ওয়ালটনের কর্মীরা স্বপ্ন দেখতে জানে, কাজ করতে জানে। আমাদের প্রত্যেকেরই এই দেশে জন্ম নেয়ার একটি উদ্দেশ্য আছে। যা স্বার্থক করতে হবে। এ দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য আছে। সেটা পালন করতে হবে। রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারে থাকবে সৃষ্টির সুখ, আনন্দ ও উল্লাস। আমরা ইনোভেশন দিয়েই পৃথিবী জয় করবো।

এর আগে সামিটের প্রথম পর্বে অতিথিরা ওয়ালটনের প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য আলাদাভাবে সাজানো ‘রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন’ বুথগুলো ঘুরে দেখেন। সে সময় দেশীয় পণ্য উৎপাদনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, গবেষণা এবং উদ্ভাবনী কার্যক্রমসমূহ ব্যাখ্যা করেন ওয়ালটনের প্রতিটি প্রোডাক্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আরএন্ডডি প্রকৌশলীরা। সে সময় ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের নামফলক উন্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অতিথিরা রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ব্রোসিউর উম্মোচন করেন।

সম্মেলনের আহ্বায়ক ওয়ালটনের চিফ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন অফিসার প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। ওই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রিসার্চ এন্ড ইনোভেশনের রোডম্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বিভাগের প্রধানগণ। সামিটের উদ্দেশ্য ছিলো ওয়ালটন পণ্যের প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ণ সম্পর্কে সবাইকে জানানো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে পেপারফ্লাই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বকেয়া পাওনা আদায়ে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে পণ্য পরিবহন প্রতিষ্ঠান পেপারফ্লাই। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, বর্তমানে ইভ্যালির কাছে এর বকেয়ার পরিমাণ ৭ কোটি টাকা।

পেপারফ্লাইয়ের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) রাহাত আহমেদ জানান, দেশজুড়ে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার খরচ হিসাবে কয়েক কোটি টাকা বকেয়া হলেও গত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালি কোনো বিল পরিশোধ করেনি। কয়েকবার বকেয়া আদায়ে আলোচনার উদ্যোগ নিলেও ইভ্যালির কাছ থেকে তারা কোনো সাড়া পাননি।

গত সোমবার পেপারফ্লাইয়ের পক্ষ থেকে ইভ্যালির ঠিকানায় উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের জবাব পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পেপারফ্লাই।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইভ্যালির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুধু পণ্য সরবরাহকারীরা ইভ্যালির কাছে ২০৬ কোটি টাকা পায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গ্রাহক এবং ব্যবসায় অংশীদারদের কাছে ৪০৩ কোটি টাকার দেনা রয়েছে ইভ্যালির। প্রতিষ্ঠানটির অস্থাবর সম্পদের মূল্য মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।

গত বছরের আগস্টে ইভ্যালি এবং এর চেয়ারম্যান ও এমডির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এরই মধ্যে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও এমডি মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে মামলা করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

লাগামহীন ঋণ জালিয়াতি, দুর্বল অভ্যন্তরীণ শাসন ও করোনার প্রভাবে নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বড় ধাক্কা লেগেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কমেছে আয়, বেড়েছে ব্যয়। খেলাপি ঋণ ও লিজ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

এতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ ও প্রভিশন খাতে অর্থ আটকে থাকার অঙ্কও বেড়েছে। কমেছে নিট সম্পদ, মূলধন থেকে আয় ও মুনাফা। সার্বিকভাবে বেড়েছে মূলধন ঘাটতি। নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি প্রতিবেদনে এসব উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক বছরে সাতটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালকরা নামে বেনামে ঋণ নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরিচালকদের লুটপাটের কারণে সাতটি প্রতিষ্ঠানই এখন পথে বসার উপক্রম। পরিশোধ করতে পারছে না আমানতকারীদের অর্থ। এসব ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এদিকে আদালতের নির্দেশে তিনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের একজন সদস্য বলেন, ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫-৭টি অনিয়মের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাকিগুলো বেশ ভালো আছে। কিন্তু দুর্বলগুলোর কারণে পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই বছরে গড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও ব্যবসা কমেছে। বিতরণ করা ঋণ ও লিজ খেলাপি হওয়ার প্রবণতা বাড়ায় তারল্য সংকট বেড়েছে।

এই ধাক্কা সামলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্ধার করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার করেছে। অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে নীতি কাঠামোতে দেওয়া হয়েছে ব্যাপক ছাড়, যাতে দুর্বলতা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো আবার উঠে দাঁড়াতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক খাতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেসব অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।

তহবিল সংকট : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট তহবিলের ৮৪ শতাংশই আসে ব্যাংক থেকে। বাকি ১৬ শতাংশ সঞ্চয়ীদের আমানত ও অন্যান্য উৎস থেকে আসে। অর্থাৎ তহবিলের জন্য তাদের ব্যাংকের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। লিজিং কোম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে স্থায়ী আমানত, মেয়াদি আমানত ও কলমানির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করত। গত দুই বছর ধরে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে নেওয়া আমানত ও কলমানিতে নেওয়া ধার সময়মতো পরিশোধ করতে পারছিল না। পরে বাধ্য হয়ে দফায় দফায় এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তার পরও তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নালিশও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এগুলো নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। এতেও অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংকেত পেয়ে ছয়টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) রিপোর্ট করেছে। ফার্স ফাইন্যান্সের ৩০ কোটি টাকার একটি এফডিআর বন্ধক রেখে প্রাইম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি টাকা করে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এই ঋণ পরিশোধে প্রথমে ব্যর্থতা, পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নতুন আমানত রাখা, আগের আমানতের মেয়াদ বাড়ানো এবং কলমানিতে অর্থ ধার দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিলের বড় উৎস সঙ্কুচিত হয়ে গেলে তারল্য সংকট বেড়ে যায়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বিনিয়োগ কমেছে : ২০১৯ সালে মোট ঋণ ও লিজ ছিল ৬৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। গত বছরের তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ২০ কোটি টাকায়। অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ৮১০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকায়। আমানত ৪৫ হাজার ১৯০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা।

শেয়ারহোল্ডার ইকুইটি ১১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা থেকে কমে ৯ হাজার ৯০ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ আলোচ্য সময়ে বিনিয়োগ ও মূলধন কমেছে। কিন্তু দেনা বেড়েছে। ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও দুর্বল হয়েছে। বেড়েছে সংকট।

কমেছে মুনাফা : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়ের বড় অংশই আসে সুদ বা মুনাফা থেকে। এ খাতে আয় ভয়াবহভাবে কমে গেছে। ২০১৯ সালে সুদ আয় ছিল আট হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। গত বছর এ খাতে আয় কমে হয়েছে ছয় হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। আমানতের বিপরীতে সুদ পরিশোধের পর নিট আয়ও কমে গেছে। তবে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিপরীতে আয় বেড়েছে।

এর মধ্যে সুদবহির্ভূত আয় ৪৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৫৯০ কোটি টাকা হয়েছে। সব মিলে আলোচ্য সময়ে মোট পরিচালন আয় তিন হাজার ৩০০ কোটি টাকা থেকে কমে দুই হাজার ১৮০ কোটি টাকা হয়েছে। অথচ পরিচালন ব্যয় এক হাজার ৬০ কোটি টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে। নিট মুনাফা ২০১৯ সালে ছিল এক হাজার ২৮০ কোটি টাকা। গত বছর হয়েছে ৬৪০ কোটি টাকা। এক বছরে মুনাফা কমেছে ৫০ শতাংশ। গত জুন পর্যন্ত হিসাবে পরিচালন মুনাফা কমেছে ৩২ শতাংশ।

কমেছে মূলধন : মৌলিক মূলধন ২০১৯ সালে ছিল ১১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। গত বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মূলধন কমেছে ২৭ শতাংশ। তবে প্রচ্ছন্ন মূলধন বা বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগ এক হাজার ৩৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ৩৪০ কোটি টাকা হয়েছে।

বেড়েছে খেলাপি ঋণ : ২০১৯ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৪০ কোটি টাকা। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫০ কোটি টাকা। গত জুন পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে খেলাপি ঋণ ১১ হাজার কোটি টাকা ছড়িয়ে গেছে। আলোচ্য সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪০ শতাংশ। খেলাপি লিজ ও ঋণের হার ছিল ২০১৯ সালে সাড়ে ৯ শতাংশ। গত বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশে। ২০১৯ সালে প্রভিশনের প্রয়োজন ছিল তিন হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণ বাড়ায় ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১৮০ কোটি টাকায়। প্রভিশন সংরক্ষণ দুই হাজার ৩৪০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে চার হাজার ৪৪০ কোটি টাকা হয়েছে। প্রভিশন ঘাটতি ৭৪০ কোটি টাকা। গত জুনে তা সামান্য বেড়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়ায় সম্পদের বিপরীতে আয় কমে গেছে। ২০১৯ সালে এ খাতে আয় ছিল ১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর তা আরও কমে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে মূলধনের বিপরীতে আয় ১০ দশমকি ৮ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। গত জুনে এ দুই খাতেই আয় সামান্য কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/