পেনিনসুলা হোটেলের শেয়ার কিনবে সায়মন রিসোর্ট

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদনা খাতের কোম্পানি দ্যা পেনিনসুলা চিটাগাং লিমিটেডের একজন শেয়ারহোল্ডার শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, সায়মন বিচ রিসোর্ট লিমিটেড নামে এই শেয়ারহোল্ডার কোম্পানিটির ২৫ লাখ শেয়ার ক্রয় করবেন।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে এই পরিচালক উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার পাবলিক মার্কেট হতে ক্রয় সম্পন্ন করবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি উচ্চমূল্যে জমি কিনবে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সদ্য আইপিও’র অনুমোদন পাওয়া জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড মুন্সিগঞ্জে কারখানা এলাকায় উচ্চমূল্যে জমি ক্রয়ের প্রস্তাব করেছে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ হতে এই ৫০ ডেসিমল জমি ও জমির উন্নয়নবাবদ ৭.৮৭ কোটি টাকা ব্যয় করবে কোম্পানিটি। অল্পদিনের মধ্যেই এই জমিগুলো ক্রয় সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির নিজস্ব ৩৯৪ ডেসিমল জমি রয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রমসহ এসব জমির মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

কোম্পানির নিজস্ব মূল্যায়ন অনুযায়ী, এসব জমির ডেসিমল প্রতি বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে একই এলাকায় আরো ৫০ ডেসিমল জমি কিনবে। এসব জমির উন্নয়নসহ ক্রয় মূল্য ধরা হয়েছে ৭.৮৭ কোটি টাকা। এতে প্রতি ডেসিমল জমির দাম পড়বে ১৫ লাখ টাকার উপরে।

এ জমিগুলাের অবস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভিটিকান্দি এলাকায় জেএমআইয়ের কারখানা সংলগ্ন। এসব জমি ২০১০ হতে ২০১৩ সালে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনেক কম দামে কেনা হয়েছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, এই এলাকায় জমির বিক্রেতা নেই বললেই চলে। তবে বিক্রেতা কম হলেও জমি দর ১৫ লাখ টাকা ডেসিমল হয় না। এখানে জমি কেনা-বেচার অলিখিত শর্ত হলো: নির্ধারিত ক্রেতা ছাড়া মালিকরা জমিই বিক্রি করতে পারেন না। কোম্পানিটির জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই সুবিধা নেওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে জেএমআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কোম্পানিটির নামে ৩৭০ ডেসিমল জমি রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় রয়েছে দুটি প্লট/ফ্লাট। এসব জমি ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দাম ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। জমির উন্নয়ন কার্যকম বলতে সাইন বোর্ড, মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীরকে বোঝানো হয়ে থাকে।

জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিং লিমিটেড শেয়ারবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা ইত্তোলন করবে। এই অর্থ থেকে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে। আর ৪৫ কোটি টাকা জমি, ক্রয়, ভবন নির্মাণসহ বিএমআরই প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা দিয়ে প্রকল্প এলাকায় ৫০ ডেসিমল জমি ক্রয়ের প্রস্তাব করেছে কোম্পানিটি। অর্থ্যাৎ এক ডেসিমল জমির ক্রয়ের প্রস্তাবিত মূল্য ধরা হযেছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

আর এসব জমি ক্রয় করা হবে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের ৯০ দিনের মধ্যেই।

এছাড়াও কোম্পানিটির আইপিও পক্রিয়ার খরচ ধরা হয়েছে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক ফি বাদ দিয়ে এই খরচকেও বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনায় অতি মূল্যায়িত করা হযেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ফুয়াং ফুডের ২য় প্রান্তিকের আয় কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভূক্ত খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক শিল্প খাতের কোম্পানি ফুয়াং ফুড লিমিটেড চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.১০ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির আয় কমেছে।

একই বছর ৬ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.০৯ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.১৭ টাকা।

এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১.৬৯ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ১১.৭১ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এস এস স্টিলের ২য় প্রান্তিকের আয় কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভূক্ত প্রকৌশল শিল্প খাতের কোম্পানি এস এস স্টিল লিমিটেড চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৬৯ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০.৭৬ টাকা। এ সময় কোম্পানিটির আয় কমেছে।

একই বছর ৬ মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৩৭ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.৪৪ টাকা।

এই প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩.০৮ টাকা। যা গত বছরের ৩০ জুন ছিল ২৩.৫৮ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জেএমআই হসপিটালের দেনার পরিমাণ ১৩৩ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সদ্য আইপিও’র অনুমোদন পাওয়া জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি ম্যানুফেকচারিং লিমিটেডের ঝণসহ বিভিন্ন খাতে মোট দেনার পরিমাণ রয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের একটা বড় অংশই এসব দেনা পরিশোধে ব্যয় করবে কোম্পানিটি।

সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৩০ জুন ২০২১ সালে কোম্পানিটির মোট দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা আগের বছর ২০২০ সালে ছিল ১২৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এই দেনা ছিল ১৪৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। উক্ত বছর কোম্পানিটি ২০ কোটি টাকার উপরে এসব দেনা পরিশোধ করে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ কোম্পানিটির বন্ধককৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে রয়েছে ৯০ লাখ টাকা। যা আগের বছর ছিল ১ কোটি ৪ লাখ টাকা।

৩০ জুন ২০২১ সালে কোম্পানিটির মেয়াদী ঋনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা আগের বছরও ছিল ২২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সালে এই মেয়াদী ঋনের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি টাকা। অথ্যাৎ ২০১৯ সালে ২ কোটি টাকার টার্ম লোন পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েও পরের বছর কোনো অর্থ পরিশোশ করেনি কোম্পানিটি।

৩০ জুন ২০২১ সালে ওয়ার্কি মূলধন ঋণের পরিমাণ ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২০ সালে ছিল ৭০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সালে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি টাকার উপরে।

সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির নামে এলসির বিপরীতে পাওনা রয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আর অন্যান্য খাতে কোম্পানির পাওনাবাবদ দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। যা আগের বছর এসব দেনাবাবদ দেখানো হয় ১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

২০২১ সালে কোম্পানির আয়কর বাবদ দেনা দেখানো হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ বাবদ ও পরিচালক নিকট হতে লোন বাবদ ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার দেনা দেখানো হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা দিয়ে একটি ব্যাংকের স্বল্প মেয়াদি ঋণ পরিশোধ করবে। অর্থ উত্তোলনের ৩ মাসের মধ্যে উত্তরা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখাকে লোন পরিশোধের জন্য এই টাকা প্রদান করা হবে।

এছাড়া কোম্পানিটির নামে রয়েছে ৮৩ কোটি টাকার আন্ত:কোম্পানি ঝণ। এই ঝণের ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট অডিট কোম্পানি ও ক্রেডিট রেটিং কোম্পানির আপত্তি/অনাপত্তি তুলে ধরা হবে স্টকমার্কেটবিডি.কমের পরের রিপোর্টে। ……চলমান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

করোনার ক্ষতি থেকে সুরক্ষায় নগর স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং আগামীতে এ ধরনের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশের অনুকুলে ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ওয়াশিংটনে সংস্থার সদর দপ্তর থেকে আজ শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘দ্য লোকাল গভর্নমেন্ট কভিড-১৯ রেসপন্ড অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি নগরবাসী উপকৃত হবেন।

বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে কার্যকরভাবে পুনরুদ্ধারে নগরকেন্দ্রিক স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা দেওয়া হবে এ ঋণের অর্থে। দেশের ১০টি সিটি করপোরেশন এবং ৩২৯ পৌরসভা এ প্রকল্প থেকে দুই বছর ভিত্তিতে তহবিল পাবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করবে। এছাড়া অর্থনীতির পূনরুদ্ধার ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও দুর্যোগ এবং আগামীতে রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে পারবে। করোনাকালে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত নগরদরিদ্র এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জীবিকা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক কার্যক্রমে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন এক বিবৃতিতে বলেন, করোনাকালে নগরদরিদ্ররা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারা আয় হারিয়েছেন। তাদের জন্য মৌলিক সেবা বিঘ্নিত হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলো এসব মানুষকে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় ফরচুন সুজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ২৯৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ফরচুন সুজ লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।

১৩২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) র ৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬২ কোটি ৪২ লাখ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৫৮ কোটি ৩৬ লাখ, বিএটিবিসির ৫৬ কোটি ৯৮ লাখ, ড্রাগন সোয়েটারের ৫৫ কোটি ১৬ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ৫২ কোটি ৪১ লাখ সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৪ দিনে বাজার মূলধন কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এসময় সেখানে লেনদেন ও সবগুলো সূচকও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ৫ হাজার ৯৬৭ কোটি ১২ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৩.১৭ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৯৯৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ১৬.৪৬ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫১.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৫৮.৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৫১৪ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৩২.৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৭৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ২৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৫টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ১০,৫৭৪ কোটি টাকা বা ১.৮৯ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজে ওয়ালটন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের সফলতার গল্প এবার আসছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে। চ্যানেলটির জনপ্রিয় ‘সুপারফ্যাক্টরিজ’ সিরিজে প্রচারিত হতে যাচ্ছে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়ে নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি)। যা ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজ প্রচার করতে যাচ্ছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল।

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল একটি প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক বাণিজ্যিক টেলিভিশন চ্যানেল। চ্যানেলটির অনুষ্ঠানগুলো মূল ইংরেজিসহ বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগু ইত্যাদি ভাষায় ডাবিং করা অডিও ফিডসহ প্রচারিত হয়। বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটরের (ডিশ সংযোগ) গ্রাহক এবং ডিটিএইচ ব্যবহারকারীরা চ্যানেলটির অনুষ্ঠানমালা দেখতে পান।

৪৪ মিনিট দৈর্ঘ্যরে প্রামাণ্যচিত্রটিতে দর্শকরা বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পেছনে ওয়ালটনের যাত্রা এবং এর পরিচালনা কার্যক্রম দেখতে পাবেন। এতে উঠে আসবে কিভাবে ইলেকট্রনিক্স ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য থেকে শুরু করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এমনকি এলিভেটর উৎপাদন, বিপণন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিপণ্যের হাব বা কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে ওয়ালটন।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের অনুষ্ঠানটিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জগতে ওয়ালটনের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে একটি কৃষিভিত্তিক দেশকে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বদরবারে উপস্থাপনে ওয়ালটনের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনামাফিক তা বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপ এ প্রামাণ্যচিত্রে উঠে আসবে।

‘সুপারফ্যাক্টরিজ: ওয়ালটন’ অনুষ্ঠানটি আধুনিক প্রকৌশলবিদ্যার সফল প্রয়োগ এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ওয়ালটন পণ্যের অপ্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে ওঠার পেছনের গল্প দর্শকদের সামনে উন্মোচন করবে। প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের জগতে ওয়ালটনের পথিকৃত হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রার গল্প তুলে ধরবে। দর্শকরা ওয়ালটন কারখানার অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে পাবেন। পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে ওয়ালটনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম সম্পর্কেও জানতে পারবেন। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ওয়ালটনের স্বপ্নযাত্রার কথাও এতে উঠে আসবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ালটনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ওয়ালটন অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে ওয়ালটন। এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের সফলতার গল্প আমরা দর্শক-শুভানুধ্যায়ীদের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের হাব হিসেবে বিশ্ববাসী নতুন এক বাংলাদেশকে দেখতে পাবে। প্রামাণ্যচিত্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের জনপ্রিয় সুপারফ্যাক্টরিজ সিরিজ হাই-টেক ফ্যাক্টরিগুলো সম্পর্কে দর্শকদের আরো গভীরভাবে বুঝতে সাহায্য করে, যা তাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। এই প্রামাণ্যচিত্রে ওয়ালটন গ্রুপের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা এবং দেশটির ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পখাতে তাদের অবদানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা আশাপ্রকাশ করেন এর ফলে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা এবং বিশাল কর্মযজ্ঞের বিষয়ে দর্শকরা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

জানা গেছে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের এইচডি এবং এসডি উভয় ফরমেটে অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রামাণ্যচিত্রটি যথাক্রমে ৬ মার্চ (রোববার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.৩০, ১২ মার্চ (শনিবার) রাত ৮.৩০, ১৩ মার্চ (রোববার) সকাল ১০.৩০, ১৯ মার্চ (শনিবার) রাত ৮.৩০, ২৭ মার্চ (রোববার) সকাল ১০.৩০, ২ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০.৩০ এবং ৩ এপ্রিল (রোববার) সকাল ১০.৩০ মিনিটে পুনঃপ্রচারিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এডিপিতে চূড়ান্ত বরাদ্দ দুই লাখ সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

উন্নয়নে চূড়ান্ত বরাদ্দ দুই লাখ সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা
সরকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছিল। তবে অনেক প্রকল্পে সব টাকা ব্যয় হচ্ছে না। ফলে সংশোধিত এডিপি বা চূড়ান্ত বরাদ্দে কমছে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা চূড়ান্তভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ দিতে যাচ্ছে সরকার। ১ হাজার ৭৫৪ প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় হবে।

মোট বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং দেশীয় অর্থায়ন ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মোট প্রকল্প সংখ্যা ১০৭টি। এসব প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। মূল এডিপি থেকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বরাদ্দ আলাদা করা হয়।

এদিকে চলতি অর্থবছর এডিপি থেকে আরএডিপিতে (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস অনেক আগেই পাওয়া গেছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরের ২ মার্চ আরএডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপির অনুমোদন দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।

এর প্রস্তুতি হিসেবে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে আরএডিপি রিভিউ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কৃষি, শিল্প ও সমন্বয় উইং) মো. ছায়েদুজ্জামান বলেন, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন ধরে চূড়ান্ত আরএডিপি ২ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ছাড়া উন্নয়ন বরাদ্দ ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।

বরাদ্দ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশীয় অর্থায়ন ঠিকই খরচ হচ্ছে কিন্তু বৈদেশিক অর্থায়নে কমছে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা । অনেক প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থায়ন খরচ হয়নি।

থোক বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চূড়ান্ত এডিপিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ থাকবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড