বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিংয়ের শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিএসআরএম স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের এক করপোরেট পরিচালক শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এইচ আকবরিয়া এন্ড কো: লিমিটেড নামে কোম্পানিটির এ করপোরেট পরিচালক ১৩ লাখ শেয়ার শেয়ার চলমান বাজার দরে ক্রয় সম্পন্ন করেছে।

ঘোষণার পর ৩০ দিনের মধ্যে উল্লেখিত পরিমাণ শেয়ার ক্রয় করা হয়েছে বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এ করপোরেট পরিচালক এসব শেয়ার চলমান বাজার দরে পাবলিক মার্কেট হতে ক্রয় করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় জেএমআই হসপিটাল

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার।

শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড ৩৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ের ৩৪ কোটি ৫২ লাখ, ইউনিক হোটেলের ৩৩ কোটি ৭০ লাখ, আইপিডিসির ৩০ কোটি ৯৬ লাখ, জিপিএইচ ইস্পাতের ২৫ কোটি ৮৫ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ২৪ কোটি ৬৭ লাখ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ২২ কোটি ৭৪ লাখ ও জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ২০ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি
  3. শাইনপুকুর সিরামিকস
  4. ইষ্টার্ণ হাউজিং
  5. ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট
  6. আইপিডিসি
  7. জিপিএইচ ইস্পাত
  8. ওরিয়ন ফার্মা
  9. প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স
  10. জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন সাড়ে ১২’শ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়ে সাড়ে ১২০০ কোটি টাকায় অবস্থান করছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

আজ মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৬৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৫.২৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৪৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৬২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৪৩৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২৫৮ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১২০৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৮০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৩০টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২০৫টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪৫টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিটি, শাইনপুকুর সিরামিকস, ইষ্টার্ণ হাউজিং, ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট, আইপিডিসি, জিপিএইচ ইস্পাত, ওরিয়ন ফার্মা, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ও জিএসপি ফাইন্যান্সে লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১০৭.২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৫৩১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৫৫টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে এসিআই ফরমুলেশন ও আইপিডিসি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

প্রথম প্রান্তিকে আইএফআইসির আয় কমেছে অর্ধেক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৪৪ পয়সা। এ হিসাবে চলতি বছরে প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির আয় কমে অর্ধেছে নেমেছে।

৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা। যা গতবছর একই সমযে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মুল্য ছিল ১৬.৭৩ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ঢাকা ডায়িংয়ের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি কোম্পানি ঢাকা ডায়িং মেনুফেকচারিং লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক বোর্ড সভা আগামী ১৬ মে আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটি চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৪ টায় রাজধানীতে অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ডিএসইর ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে এ বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

ডিএসইর যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন এক্সচেঞ্জটির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সামিউল ইসলাম ও মো. আসাদুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শফিকুর রহমান ও মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সিনিয়র ম্যানেজার মো. রনি ইসলাম ও মো. পাঠান।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বণিক বার্তাকে বলেন, কমিশনের কাছে কোনো অভিযোগ এলে সেটি তদন্ত করে প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। ডিএসইর ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের ১০ এপ্রিল বিএসইসির কাছে ডিএসইর এ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার একটি অভিযোগপত্র আসে। এতে ডিএসইর জিএম মো. সামিউল ইসলামের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়, তিনি তার বাসার কাজের বুয়ার নামে বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলে শেয়ার ব্যবসার পাশাপাশি ডিএসইর নিকুঞ্জের ভবন নির্মাণকালীন রড চুরি করে সে টাকা তার স্ত্রীর নামে উত্তরায় ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। সাভারে তিনি একটি বেভারেজ কোম্পানি স্থাপন করেছেন। ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের অর্ধেক শেয়ারও তার নামে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ডিএসইর জিএম মো. আসাদুর রহমানের বিষয়ে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তিনি জিএম হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্যদের বেতন না বাড়িয়ে নিজের বেতন দ্বিগুণ করে নিয়েছেন।

ডিএসইর জিএম মো. সামিউল ইসলাম ও মো. আসাদুর রহমানের অপকর্মের বিষয়ে যাতে সংবাদ প্রকাশিত না হয় সেজন্য আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে এক্সচেঞ্জটির ডিজিএম মো. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।

ডিএসইর ডিজিএম মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি লিস্টিং বিভাগে থাকাকালীন রহিমা ফুড নিয়ে জালিয়াতির কারণে তার চাকরি চলে যাওয়ার কথা থাকলেও কোনো এক অপশক্তি তাকে লিস্টিং বিভাগ থেকে মনিটরিং বিভাগে বদলি করে দেয়। তিনি এ বিভাগে আসার পর প্রভাবশালী সদস্যদের ব্রোকারেজ হাউজগুলো নামমাত্র পরিদর্শন করা হতো। হাউজের নেগেটিভ ব্যালান্স থাকলেও তা পজিটিভ করে বিএসইসিতে পাঠানো হতো।

সিনিয়র ম্যানেজার মো. রনি ইসলামের বিষয়ে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তিনি মেম্বারশিপ বিভাগে থাকা অবস্থায় হাউজে তার একটি ওয়ার্কস্টেশন ছিল এবং হাউজ বিক্রি ও অনুমোদিত প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন করতেন। ডিএসইর সিনিয়র ম্যানেজার মো. পাঠান হিসাব বিভাগে থাকার সময় এফডিআর ও ডিপোজিট চেকের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করতেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগের বিষয়ে অবহিত না হওয়ার কারণে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) গণমাধ্যমকেকে বলেন, দুজন জিএম পদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এক্ষেত্রে তদন্ত করতে হলে জিএম কিংবা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে। বর্তমানে আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি আগামী সপ্তাহে অফিসে যোগ দেয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে সাড়ে ৫০০ কো‌টি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেনের প‌রিমাণ সাড়ে ৫০০ কো‌টি টাকা ছাড়িয়েছে। এসময় এক্সচেঞ্জটির সূচকেও উল্লম্ফন দেখা গেছে।

আজ সকাল ১০ টায় লেনদেন শুরুর পর থেকেই ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে পয়েন্ট যোগ হতে থাকে। লেনদেন শুরুর ৩০ মিনিটে সূচকটি ২৫ পয়েন্টের বেশি বাড়লেও দুই ঘণ্টা শেষে তা আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট যোগ হয়ে ৬ হাজার ৭১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এদিন বেলা ১২ টা পর্যন্ত ১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৪৮ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস প্রায় ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ১২২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টি সিকিউরিটিজের বাজার দর। আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটিতে ৫৫০ কো‌টি ৩৯ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

তিন বছর পর বিদেশি ঋণ অস্বস্তিকর অবস্থায় যাবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করা অযৌক্তিক বলে মনে করেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরমের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তবে তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পর বাংলাদেশ বিদেশি দায়দেনায় অস্বস্তিকর অবস্থানে চলে যেতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্বস্তিকর (সবুজ) অবস্থানে আছে। এটি ধীরে ধীরে হলুদ অবস্থানে (অস্বস্তিকর) যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গতকাল সোমবার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সরকারি দায়দেনা’ শীর্ষক আলাপচারিতায় দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ সতর্কবার্তা দেন। ভার্চুয়ালি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, একেকটি দেশ একেক রকম বিকশিত হয়। এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশকে মেলানো যৌক্তিক নয়।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখন আমরা বিদেশি দ্বিপক্ষীয় উৎস থেকে বেশি মূল্যে বেশি ঋণ নিচ্ছি। যেমন—চীন, রাশিয়া ও ভারত। এসব দেশের ঋণের রেয়াতি সময় (গ্রেস পিরিয়ড) শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সরবরাহকারী ঋণের পরিমাণও বাড়ছে। ’

তাঁর মতে, বহুপক্ষীয় উৎসর বদলে দ্বিপক্ষীয় উৎস থেকে বেশি ঋণ নেওয়া হচ্ছে। অথচ পাইপলাইনে ৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো সাশ্রয়ী ঋণ পড়ে আছে। ব্যবহার করা হচ্ছে না।

বাংলাদেশে এ মুহূর্তে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৪৩২ ডলার বা ৩৭ হাজার ৫৮৪ টাকা বলে জানান দেবপ্রিয়। আইএমএফের হিসাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়দেনার পরিমাণ ছিল জিডিপির ৩৪.০৭ শতাংশ। আর ২০২১ সালে তা হয় ১৩১.১৪ বিলিয়ন ডলার। আর গত তিন বছরে গড় হিসাবে দায়দেনা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ বিলিয়ন করে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, হিসাবে বাংলাদেশের ঋণ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় কম হলেও ২০১৮ সালের পর থেকে দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সার্বিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়দেনা বৃদ্ধির হার ছিল ৪৪.১ শতাংশ। দায়দেনা পরিস্থিতি চলমান দশকে দেড় গুণ বেড়ে গেছে। এ মুহূর্তে মাথাপিছু ঋণ হিসাব করলে তা ৪৩২ ডলারে দাঁড়ায়।

দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর ১০ বিলিয়ন ডলার করে দায়দেনা বাড়াচ্ছি। ০.৭ বিলিয়ন ডলার করে প্রতিবছর দেনা পরিশোধ করতে ব্যয় করতে হচ্ছে। দায়দেনা অনেক বেশি হারে বাড়ছে। ’

অভ্যন্তরীণ ঋণ বৃদ্ধির হার খুবই বেশি উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণ ৬৯ বিলিয়ন ডলার। গত এক দশকে ওই দেনা বৃদ্ধির হার প্রায় ৫৪ শতাংশ। ২০১৩ সালের পর এই বৃদ্ধির হার ১৫ থেকে ১৯ শতাংশ হারে বাড়ছে। অন্যদিকে বৈদেশিক দায়দেনার পরিমাণ ৬০.১৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক দায়দেনা ১৬.৬ শতাংশ থেকে ১৪ শতাংশ এবং ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪.৭ থেকে ১৬.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মূল প্রবন্ধে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঋণের সুদ পরিশোধের হিসাব করলে দেখা যায়, ২০০৬ সালে বৈদেশিক সুদ পরিশোধ করা লাগত ৩৮.৯১ শতাংশ ও অভ্যন্তরীণ ৬১.০৯ শতাংশ। ২০১৩ সালের পর ঋণ বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের হার বেড়েছে। ২০২১ সালে এসে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হয়েছে ৬৭.৬৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৩২.৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। এর কারণ হলো ক্রমাগত উচ্চ সুদে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩৬ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

একের পর এক চমক দেখাচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) গত ১০ মাসেই পুরো অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ। এ সময় দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩৬ শতাংশ বেশি।

এই আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০.৫২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরে দেশের মোট লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল চার হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের দুই মাসে আগেই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় পূরণ হয়েছে।

গতকাল সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের গত ১০ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে গত এপ্রিল মাসে আয় হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। এই আয় গত এপ্রিলের চেয়ে ৫১.৫৮ শতাংশ বেশি।

ইপিবি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই খাত থেকে আয় বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৯ শতাংশ।

গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল এই ১০ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.৪৫ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ২৬.২৯ শতাংশ, ম্যানুফ্যাকচার পণ্যে ৩৫.৬১ শতাংশ, কেমিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ৪৫ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ৩৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া চামড়াজাত পণ্যে ৩৩ শতাংশ, কুটির শিল্পে ৩০.২৪ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে ৩৯.৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

তবে গত কয়েক মাসের মতো রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য। এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে পাট খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭.৬৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬.৬৮ শতাংশ পিছিয়ে আছে। পাট ও পাটজাত পণ্য খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরুতে ৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে সরকার। সরকার আশা করছে, পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাত থেকে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে।

চলতি বছরের রপ্তানি আয়ে বেশ কয়েকটি মাইলফলক এরই মধ্যে অর্জন করেছে বাংলাদেশ। একক মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসেছিল চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে। মার্চ মাস এসেছে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। আর এপ্রিলে যে পরিমাণ রপ্তানি আয় এসেছে তা চলতি অর্থবছরের চতুর্থ সর্বোচ্চ।

এবারের রপ্তানি আয়ের মাসিক গড় ৪.৩৩ বিলিয়ন ডলার। আর অর্থবছরের বাকি তিন মাস—এপ্রিল, মে, জুন যদি এই গড় আয় অর্জন করা যায় তাহলে এই লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন আকস্মিক নেতিবাচক কিছু না ঘটলে লক্ষ্যমাত্রার মাইলফলক পূরণ করবে বাংলাদেশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/