‘শেয়ারবাজারে প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ আনার প্রচেষ্টা থাকবে’

shibli-rubayat-ul-islam_0স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিনিয়োগবান্ধব শেয়ারবাজার গঠন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। রবিবার (১৭মে) বিএসইসিতে যোগদান করে তিনি একথা জানান।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘আমরা ইনভেস্টর ফ্রেন্ডলি একটি সুন্দর ক্যাপিটাল মার্কেট ক্যারেক্টারিস্টিক পরিবেশ তৈরি করবো। এতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা প্রকৃতপক্ষে উপকৃত হবেন। এছাড়া সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো কিছু করবো, যাতে শেয়ারবাজারে গতি ফিরিয়ে আনতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারকে আন্তর্জাতিক সমমানের করে গড়ে তোলা হবে, যাতে প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পারি। আমাদের সেই প্রচেষ্টা থাকবে।’

বিএসইসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘বন্ড মার্কেট নিয়ে আমরা অনেক কাজ করবো। করোনার এ সংকটময় পরিস্থিতিতে ব্যাংকখাতের ওপর চাপ কমিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বন্ড দিয়ে আমরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিজ ও সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করবো।’

বিএসইসি’র নতুন চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী বা যারা সঞ্চয়কারীদের এফডিআরের রেট কমে যাওয়ার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে দিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া যায় কি-না সে চেষ্টা করা হবে। এতে সবার জন্যই উইন-উইন পরিবেশ তৈরি হবে। যারা বন্ড ইস্যুর জন্য আবেদন করবে, তাদেরকে আগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে। আমরা যাচাই বাছাই করেই বন্ডের অনুমোদন দেবো। সেখান থেকে ফিক্সড রিটার্ন ও সিকিউরিটি থাকবে। সুতরাং সঞ্চয়কারীরা এফডিআরের বিকল্প হিসাবে বন্ড ব্যবহার করতে পারবেন। সেজন্য ওভার দ্য কাউন্টার ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রবিবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিএসইসি ও বিআইসিএম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব ড. নাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামকে চার বছরের জন্য বিএসইসি’র চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর বিকেল ৪টার দিকে তিনি বিএসইসিতে যোগদান করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর

অতিরিক্ত মাশুল নিচ্ছে শিপিং কোম্পানিগুলো: ডিসিসিআই

dcciস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটকালে সরকারের আদেশ উপেক্ষা করে শিপিং কোম্পানিগুলো বাড়তি মাশুল নিচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়।

ব্যবসায়ী সংগঠনটি বলছে, এই কারণে আমদানি করা পণ্যের দাম দেশের বাজারে বেড়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “লকডাউন চলা অবস্থায় কিছু বিদেশি শিপিং কোম্পানি বা এজেন্ট আমদানিকারকদের উপর তাদের মর্জিমত অতিরিক্ত কন্টেইনার ডিটেনশন বা ডেমারেজ চার্জ আরোপ করছে।

“কোনো নির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার দরুন শিপিং কোম্পানিগুলো বা এজেন্ট বা তাদের মনোনিত ফ্রেইট ফরওয়াডার্সরা এ অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করতে পারছে।”

অতিরিক্ত মাশুল আরোপের ফলে আমদানি করা উৎপাদনমুখী শিল্পের কাঁচামালের মূল্য যেমন বাড়ছে, তেমনি বিশ্ববাজারে রপ্তানি সক্ষমতাও কমিয়ে দিচ্ছে বলে ডিসিসিআইর ভাষ্য।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ইডিএফ থেকে ৩ কোটি ডলার ঋণ পাবেন পোশাক রপ্তানিকারকরা

garmetnsস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ও বস্ত্র শিল্প মালিকদের জন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখন থেকে বিজিএমইএ এবং বিটিএমএর সদস্যরা এই তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবেন। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা পাওয়া যাবে। এত দিন এই সীমা ছিল আড়াই কোটি ডলার।

আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
রপ্তানি খাতে সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে মাত্র তিন কোটি ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে এই তহবিলের পরিমাণ এখন ৫০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল ইডিএফের আকার ৩৫০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। শুধু তহবিলের আকারে নয়, এ তহবিলের সুদের হারও কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে এই সুবিধা কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

বিজিএমইএ, বিটিএমইএ সদস্যরা ছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, ওষুধসহ বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম,/আর

মাস্ক, পিপিই আমদানিতে শুল্ক-কর প্রত্যাহার

nrbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার প্রকোপ কমাতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু পণ্য উৎপাদনে কাঁচামাল আমদানিতেও ছাড় মিলেছে।

ছাড় পাওয়া ওই পণ্যের তালিকায় আছে আইসোপ্রপাইল অ্যালকোহল, ননওভেন ফিলমেন্টস, কোভিড টেস্ট কিটস, জীবানুনাশক, ফেস শিল্ড, সার্জিকাল মাস্ক, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, গগলস, সারা শরীর আবৃত করার পোশাক ইত্যাদি।

এসব পণ্য আনতে কোনো আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, আগাম ভ্যাট, অগ্রিম কর ইত্যাদি দিতে হবে না।

শনিবার এই সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) শুল্ক বিভাগ।

তবে আমদানিকারককে অবশ্যই ইন্ডাষ্ট্রিয়াল আইআরসিভুক্ত ওষুধ কোম্পানি, মেডিকেল ইন্সট্রুমেন্ট উৎপাদক ও পোশাক উৎপাদক হতে হবে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ ছাড় সুবিধা মিলবে।

এর আগে ৬ মে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও সার্জিক্যাল মাস্কের (ফেইস মাস্কসহ) স্থানীয় উৎপাদন, ব্যবসায়ী ও জোগানদার পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য উৎপাদন করলে এই কর সুবিধা পাবে।

গত ২২ এপ্রিল পিপিইসহ আনুষঙ্গিক সব সামগ্রীর উপর আমদানি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাটসহ যাবতীয় শুল্ক-কর প্রত্যাহারে প্রজ্ঞাপনটি রহিত করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/