পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ১৩ হাজার কোটি টাকা : এনবিআরের চেয়ারম্যান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী হতে পারছেন না জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, ‘যদি রাজস্ব আদায়ের বর্তমান ধারা বজায় রাখতে পারি, তাহলে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যের কাছাকাছি যাব কিংবা সরকারকে একটি স্বস্তিদায়ক রাজস্ব দিতে পারব।’

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। সেগুনবাগিচার এনবিআর ভবনের সম্মেলনকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এনবিআরের তথ্য-উপাত্ত বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ১৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৬৭ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হলেও রাজস্ব আদায়ে গতবারের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে প্রতি জেলায় উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে শীর্ষ ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। এবার জেলা পর্যায়ে সেরা ভ্যাটদাতা ১০২টি প্রতিষ্ঠান সম্মাননা পাচ্ছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসকেল ডিভাইস (ইএফডি) বা ভ্যাটের মেশিন স্থাপন নিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এনবিআরের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, খুচরা পর্যায় থেকে ভ্যাট আহরণ বড় চ্যালেঞ্জ। এটি অবশ্য সম্ভাবনার খাতও। এত দিন পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। এটি করতে প্রায় সব স্তরে ইএফডি মেশিন বসাতে হবে। এক লাখ মেশিনে হবে না। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো এবং সঠিকভাবে সেটি ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা পাহারা দেওয়া এনবিআরের পক্ষে সম্ভব নয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসবে।

উল্লেখ্য, গত এক বছরের মধ্যে এনবিআর মাত্র সাড়ে তিন হাজার প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসাতে পেরেছে। দেশে পৌনে তিন লাখের বেশি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা ফেরতে চিঠি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা নেই, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ক্রেতাদের আটকে থাকা টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

গত ৩০ জুন ই-কমার্স নির্দেশিকা জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার পর বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টাকা পাবে। তবে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান পণ্য সরবরাহ না করলে টাকা কীভাবে ক্রেতার কাছে ফেরত যাবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। একটি এসক্রো সার্ভিস চালুর কথা বলা হলেও তা এখনও চালু হয়নি। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনেক গ্রাহকের টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে আটকে গেছে। জানা গেছে, ৩০ জুনের পর থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানিগুলোর কাছে ২১৪ কোটি টাকা আটকে পড়েছে। এসব টাকার একটি বড় অংশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ফ্রিজ করে রাখার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে অনুরোধ করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই টাকা ছাড় করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সিআইডিকে অনুরোধ করে। পাশাপাশি আইন মন্ত্রণালয়েরও মতামত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক মতামত পাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো মামলা নেই, তাদের গ্রাহকদের টাকা দ্রুত ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টাকা যত দ্রুত সম্ভব ফেরত দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে খোঁজ নিলে সংশ্নিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা গতকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পৌঁছেনি। এ ধরনের নির্দেশনা এলে পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানিগুলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে বেশি সময় লাগবে না বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

কেডিএস এক্সেসরিজের ৩০তম এজিএম অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেডের ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভার্চুয়ালি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানির চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান, পরিচালক তাহসিনা রহমান, স্বাধীন পরিচালক প্রফেসর সরওয়ার জাহান, প্রতিনিধি পরিচালক কামরুল হাসান এফসিএ, নিরীক্ষক প্রতিনিধি, ইনডিপেন্ডেন্ট স্ক্রটিনাইজারসহ সিইও দেবাশীষ দাশপাল, সিএফও বিপ্লব কান্তি বণিক এফসিএ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মন্জুরে খোদা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারগণ এ সভায় যুক্ত ছিলেন।

বিশেষ এক পরিস্থিতি সত্বেও শেয়ারহোল্ডারদের সরব উপস্থিতির জন্য কোম্পানির চেয়ারম্যান সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ বছর ৩০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কোম্পানির চেয়ারম্যান সকল শেয়ারহোল্ডারদেরকে সহযোগিতার জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। শেয়ারহোল্ডারদের সর্বাত্নক সহযোগিতায় কেডিএস এক্সেসরিজ লিমিটেড আগামীতে আরো ভালো করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় গত আর্থিক বছরে ১৫% নগদ লভ্যাংশ এবং কোম্পানির ৩০ জুন নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী, পরিচালক ও স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ এবং পরবর্তী বছরের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য বিষয় অনুমোদন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

২০২১ সালের সিআইপি হলেন ১৭৬ ব্যবসায়ী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে ২০২১ সালের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি-রপ্তানি) নির্বাচিত করেছে সরকার।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচিত ১৭৬ জন সিআইপি ব্যবসায়ীর তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

পণ্য রপ্তানি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন খাতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন ১৩৮ জন।

রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে- কাঁচা পাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়াজাত দ্রব্য, হিমায়িত খাদ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, এগ্রোপ্রসেসিং, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্টস, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, ফার্মাসিটিক্যাল, কম্পিউটার সফটওয়্যার, নিটওয়্যার, প্লাস্টিকজাত পণ্য, স্পেশালাইজ টেক্সটাইল বা হোম টেক্সটাইল ও সিরামিক বিবিধ।

এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের ৩৮ জন পরিচালক সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত সিআইপিরা এক বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র গাড়ির স্টিকার পাবেন।

এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সিআইপির ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে ‘লেটার অব ইন্ট্রুডাকশন’ ইস্যু করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অর্থ পাচারকারীদের তালিকা আরও বড় হতে পারে : দুদক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অর্থ পাচারকারীদের যে তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে জমা দিয়েছে, সে তালিকা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কমিশনার জহুরুল হক।

বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, অর্থ পাচারের আভিযোগ অনুসন্ধানে আইনি জটিলতায় দুদক। ২৮টি ধারার ২৭টি দুদকের কাছে নেই। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি। দুদক আদালতে যে ৪৩ জনের তালিকায় দিয়েছে, সেই তালিকায় দুদকের আইনের যা করার সুযোগ আছে করা হবে। তালিকা আরও বড় হতে পারে।

মানববন্ধনে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‌আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অনুসন্ধান ও তদন্তে যে দীর্ঘসূত্রিতা আছে, ওটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেই পরিকল্পনা করা। আমরা বাস্তবভাবে পরিকল্পনা করছি, দুর্নীতি নিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা এর কাছাকাছি যাওয়া।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর অর্থ পাচারকারী ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা আদালতে জমা দেন, এর মধ্যে ১৪টি নাম এসেছিল ‘পানামা পেপার্সে’। আর ‘প্যারাডাইস পেপার্সে’ এসেছিল ২৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের পাশাপাশি বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের নাম রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬১ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এ জন্য আজ বৃহস্পতিবার ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা।

ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে একটি দল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ২০১৩ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৭ সালেল ডিসেম্বর পর্যন্ত তদন্ত করে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল তদন্তের স্বার্থে দলিলাদি দাখিলের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে তলব করে।এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দাখিল বার্ষিক সি.এ. রিপোর্ট, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমা ট্রেজারি চালানের কপি ও অন্যান্য দলিলাদি হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের আড়াআড়ি যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।
এ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য বিমার ওপর ১,০৯,৭৬,০০১ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৯,৭৮,৫১,৯৫৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে। এতে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৮,৬৮,৭৫,৯৫৪ টাকার ফাঁকি উদঘাটন করা হয়। এই ফাঁকির উপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক ২% হারে ১০,০১,১১,৮৫৩ টাকা সুদ হিসেবে প্রযোজ্য হবে।

তদন্ত অনুসারে নিরীক্ষা মেয়াদে সি.এ. ফার্মের রিপোর্ট মোতাবেক উৎসে ভ্যাট ৬,৩৪,০৭,৮০৩ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাট এর পরিমাণ ছিল ৯,২২,৩৭,২৫২ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ২,৯৫,০৮,৫৮৯ টাকার ফাঁকি উদঘাটিত হয়।

উৎসে কর্তনের ওপর প্রযোজ্য এই ফাঁকি ভ্যাটের ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২% হারে ৩,৪৪,৮৯,৬৯৭ টাকা সুদ টাকা আদায়যোগ্য হবে।

অন্যদিকে, তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির স্থান ও স্থাপনার ভাড়ার বিপরীতে ৩,১৮,১৮,৬৯১ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৩,১৭,৫১,৫০৬ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১২,৪৯,৭১৯ টাকার ফাঁকি উদঘাটন করা হয়।

এই ফাঁকির উপরও ভ্যাট আইন অনুসারে মাসভিত্তিক ২% হারে ১২,০৯,২৫০ টাকা সুদ টাকা প্রযোজ্য হবে। বর্ণিত তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি সর্বমোট অপরিশোধিত ভ্যাটের পরিমাণ ১১,৭৬,৩৪,২৬২ টাকা এবং সুদ বাবদ ১৩,৫৮,১০,৭৯৯ টাকাসহ সর্বমোট ২৫,৩৪,৪৫,০৬১ টাকা রাজস্ব পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়।

তদন্তে আরও দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যে নানা ধরনের জালিয়াতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে, যা ভ্যাট আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তদন্তে উদ্ঘাটিত পরিহারকৃত ভ্যাট আদায়ের আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রতিবেদনটি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা উত্তরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মূসক সার্কেল, বিভাগীয় দফতর, কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়মিত নজরদারির জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেসার্স ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি গুলশান -২ এ ডেল্টা লাইফ টাওয়ারে অবস্থিত। এর মূসক নিবন্ধন নং: ০০১৩২৩১০৩-০১০১। সূত্র : বিডি প্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার মামলা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফনান সুমির আদালতে এ মামলা করেন তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১০ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে সমন জারি করেন। মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী মিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার ছয়শত পয়ঁত্রিশ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী। বাদীকে মোটর সাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন। আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী বরাবর ইস্যু করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়।

উল্লেখ্য, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় জিএইচপি ফাইন্যান্স

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা জিএইচপি ফাইন্যান্স লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ১৯ লাখ টাকার।

২৮ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৯ কোটি ৭ লাখ, বিএটিবিসির ১৭ কোটি ৮৭ লাখ,ফার্ষ্ট সিকিউরিটিজ ব্যাংকের ১৭ কোটি ৬৩ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১৬ কোটি ৩০ লাখ, ওয়ান ব্যাংকের ১৫ কোটি ৭৬ লাখ, আলিফ মেনুফেকচারিংয়ের ১৫ কোটি ও ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ১৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস