৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে সরকার। এ সংক্রান্ত দুইটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

আজকের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য ১০টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং সড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। অনুমোদিত ১০টি প্রস্তাবে বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার ৬৪০ কোটি ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৯৯৮ টাকা।

বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে সপ্তম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি টন ইউরিয়া সার ৯৫৮ দশমিক ১৭ ডলার হিসাবে ৩০ হাজার টন সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৫ টাকা। সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে দুই লাখ ১০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর অংশ হিসেবে এই সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলো।

এছাড়া সভায় রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক প্রিল্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি টন সারের দাম ৯৫৮ দশমিক ১৭ ডলার হিসাবে ৩০ হাজার টন সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে দুই কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ১০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৪৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৫ টাকা। এর আগে সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কাতার থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তিন লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সভায় চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের (টিএসপিসিএল) জন্য ২৫ হাজার টন রক ফসফেট (৭২ শতাংশ বিপিএল মিনিমাম) আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ১২৫ টাকা। টিএসপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল রক ফসফেট বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২৫ হাজার টন রক ফসফেট আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপত্র জমা পড়ে, যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স দেশ ট্রেডিং করপোরেশন (প্রধান সরবরাহকারী- মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই, ইউএই) এই সার সরবরাহ করবে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, আজকের সভায় টেবিলে তিনটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার দুইটি প্রস্তাব এবং সড়ক বিভাগের একটি প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব ছিল। এই তিনটি ক্রয় প্রস্তাবের সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষণের পরিমাণ ৪৯৫ কোটি ১৮ লাখ ৮১৫ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সোয়ান গ্রুপের নামে ৩৬ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সোয়ান গ্রুপের তিনটি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রায় ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার মামলার পর কোম্পানি তিনটির বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটে কাগজপত্র পাঠানো হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

সোয়ান গ্রুপের গাজীপুরের মৌচাকে অবস্থিত সোয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ লি. (ফোম) ও সোয়ান কেমিক্যালস লি. এবং রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সোয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের (ম্যাট্রেস) বিরুদ্ধে বিপুল ভ্যাট ফাঁকির এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

কোম্পানিগুলো ফোম, ম্যাট্রেস, কেমিক্যালস উৎপাদন ও সরবরাহ করে।

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সোয়ান গ্রুপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের করেও সাড়া মেলেনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ বছরে কোম্পানি তিনটি ভ্যাটযোগ্য ১৩৬ কোটি টাকার পণ্য গোপনে বিক্রি করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট ফাঁকির এ অঙ্কের সঙ্গে জরিমানা যুক্ত হয়ে ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে।

ভ্যাট অধিদপ্তর জানায়, গত ২৩ নভেম্বর ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ সাজেদুল হকের নেতৃত্বে গুলশানে কোম্পানি তিনটির প্রধান কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে এবং কম্পিউটারে থাকা তথ্যাদি যাচাই করে বিক্রির বাণিজ্যিক দলিলাদি উদ্ধার করা হয়।

এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, সোয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (ফোম) ২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, সোয়ান কেমিক্যালস প্রায় পাঁচ কোটি টাকা এবং সোয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (ম্যাট্রেস) সুদসহ ১১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সয়াবিনের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সয়াবিন ও পাম তেল কিনতে আগামী শনিবার থেকে ক্রেতাদের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে। কারণ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে রিফাইনাররা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৮ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বর্তমানে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশন আগামী সপ্তাহের ৮ জানুয়ারি থেকে একই বোতলের দাম বাড়িয়ে ১৬৮ টাকা দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

সমিতি বলেছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম বাড়াতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু, সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে দাম বাড়ানো থেকে রিফাইনাররা বিরত ছিলো।

তবে, আমদানি ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান দাম বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে তাদের সর্বশেষ চিঠিতে বলা হয়েছে।

গত নভেম্বরে রিফাইনাররা প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে থেকে ১৭২ টাকা করতে চেয়েছিল।

কিন্তু, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে সমিতি ৪ টকা কমে অর্থাৎ প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নয় কার্যদিবসে বিএসসির শেয়ার দর প্রায় দ্বিগুণ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মঙ্গলবারের পর বুধবারও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দর ৯৫ টাকা ১০ পয়সায় কেনাবেচা হচ্ছে। দরবৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ।

শেয়ারদরে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে শেয়ার কেনাবেচার অর্থ হলো— আজ এর থেকে বেশি দরে শেয়ারটি কেনাবেচার সুযোগ নেই। দিনশেষ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।। যা লেনদেনের তালিকায় ২য় অবস্থান।

গত ২৩ ডিসেম্বরও বিএসইর শেয়ারটি ৪৯.১০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছিল। মাত্র নয় কার্যদিবসে শেয়ারটির দর প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

দাম কম থাকায় দুই সপ্তাহ আগেও কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ ছিল না। ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে বোর্ড সভা শেষে গত হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৩৪ পয়সা মুনাফার তথ্য বিনিয়োগকারীদের এ শেয়ারে আকৃষ্ট করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

বাণিজ্য মেলায় চার দিনে দর্শনার্থী মাত্র ৩০ হাজার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ক্রেতাখরার মধ্যেই প্রথম সপ্তাহ পার করছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী এই মেলা। তবে মেলার প্রথম চার দিনে মোট উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩০ হাজার। মেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী শুক্রবার থেকে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

মেলার প্রবেশপথের বা গেটের ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান জানান, ঢাকার আগারগাঁওয়ের তুলনায় এবারের মেলায় উপস্থিতি অনেক কম। মেলার প্রথম দিন ছিল শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ওই দিন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করেন। এটাই এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ উপস্থিতি। এরপরের তিন দিনে উপস্থিতি খুবই কমে যায়। এর মধ্যে গত রোববার মেলার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিতি ছিল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। সোমবার উপস্থিতি ছিল সর্বনিম্ন চার হাজার এবং গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে মাত্র আট হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করেছেন।

সাইদুর রহমান আরও বলেন, ক্রেতা-দর্শনার্থীরা এখনো সেভাবে আসতে শুরু করেননি। মেলার স্থান পরিবর্তনের কারণে ঢাকা শহর থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি এখনো বেশ কম। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়তে পারে বলে আশা করছেন তিনি।

মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কম উপস্থিতি নিয়ে বড় কোম্পানিগুলো চিন্তিত না হলেও ছোট ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, মেলা অংশ নিতে তাঁদের যে খরচ হয়েছে, এ রকম উপস্থিতি থাকলে সেই খরচ উঠে আসবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তাঁদের। মেলায় অংশ নেওয়া কুষ্টিয়ার নুরুল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম বলেন, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় বিক্রিও কম।

এ অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এত দূর থেকে মেলায় এসে লাভের বদলে আর্থিক ক্ষতি হবে। অন্যদিকে, ওয়ালটন কিংবা মিনিস্টারের মতো বড় কোম্পানিগুলো বলছে, মেলায় দর্শনার্থী কম হলেও মেলাকে কেন্দ্র করে ব্র্যান্ডের ভালো প্রচারণা চালানো যাচ্ছে। ফলে মেলায় বিক্রি কম হলেও রাজধানীতে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন বড় কোম্পানিগুলোর বিক্রয়কর্মীরা। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় বাংলাদেশ শিপিং

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১০০ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।

৬৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ৪৭ কোটি ৯৮ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ৪১ কোটি ৮১ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ২৭ কোটি ৭৬ লাখ, এ্যাক্টিভ ফাইনের ২৬ কোটি ৪৭ লাখ, জিপিএইচ ইস্পাতের ২৫ কোটি ১৫ লাখ, লাভেলো আইসক্রিমের ২৪ কোটি ৭৯ লাখ ও দ্যা পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেডের ২১ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

লাভেলো আইস্ক্রিমের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক শিল্প খাতের কোম্পানি তাওফিকা ফুডস ও লাভেলো আইস্ক্রিম লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ বা তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সাম্প্রতিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় তাওফিকা ফুডস ও লাভেলো আইস্ক্রিম লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্যসংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য কোম্পানটির কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  3. ফরচুন সুজ
  4. পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি
  5. সাইফ পাওয়ারটেক
  6. জিএসপি ফাইন্যান্স
  7. এ্যাক্টিভ ফাইন
  8. জিপিএইচ ইস্পাত
  9. লাভেলো আইসক্রিম
  10. দ্যা পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড।

ডিএসই ও সিএসইতে বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৯২৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪৬৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২৫৭৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২১৮টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১২১টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩৯টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ফরচুন সুজ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, সাইফ পাওয়ারটেক, জিএসপি ফাইন্যান্স, এ্যাক্টিভ ফাইন, জিপিএইচ ইস্পাত, লাভেলো আইসক্রিম ও দ্যা পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৭২.২৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৫টির, কমেছে ৬৪টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে রংপুর ডেইরি ফুডস ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

২০২১-২২ সালে ২৩ লাখ করদাতা দিয়েছেন ৩২৮১ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার প্রভাবে এবার ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা বাড়লেও আদায় কিছুটা কমে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১-২২ করবর্ষে মোট আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে প্রায় ২৩ লাখ। এর বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ৩ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। গতবার এ সময়ে ২১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৬টি রিটার্নের বিপরীতে কর আহরণ হয়েছিল ৪ হাজার ১০ কোটি টাকা।

গতবারের তুলনায় রিটার্ন ১ লাখ ৪৮ হাজার বা প্রায় ৭ শতাংশ বাড়লেও কর আদায় কমে গেছে ৭২৯ কোটি টাকা বা শতকরা ৯ ভাগ। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় ছিল ২ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত। এর এক দিন পর সোমবার হিসাব চূড়ান্ত করেছে এনবিআর।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেছেন, রিটার্নের সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ যারা সময় চেয়ে আবেদন করেছেন, তাদের হিসাবে বিবেচনায় আনা হয়নি।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এবার সময় চেয়ে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ২৮২ জন। এদের আবেদন গ্রহণ করলে রিটার্ন সংখ্যা ২৬ লাখ ৬২ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। গতবার আবেদনসহ রিটার্ন জমা পড়েছিল প্রায় ২৪ লাখ ৩১ হাজার। আয় থাকুক আর না-ই থাকুক, ব্যক্তিশ্রেণি করদাতার বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যার কোনো আয় নেই, তিনি রিটার্নে আয় শূন্য দেখাতে পারবেন। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা বাদ দিয়ে বছরে আয় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত।

এর বেশি আয় হলে প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। আয়ের স্তরভেদে সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ৭০ লাখের বেশি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/