ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৬ : লাখ টাকা পেলেন পারভীন আক্তার

‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৬’ এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১ লাখ টাকার চেক ক্রেতা পারভীন আক্তারের হাতে তুলে দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন আরো এক ক্রেতা। তিনি হচ্ছেন ঢাকা সাভারের পারভীন আক্তার। দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৬ এর আওতায় ফ্রিজ কিনে স্ক্র্যাচ কার্ডে এই ক্যাশব্যাক পান তিনি। ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে থেকে ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়ে মহাখুশি পারভীন এবং তার পরিবার।

অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-১৬। এই সিজনে ক্রেতাদের জন্য রয়েছে ‘স্বস্তির অফার’ শীর্ষক বিশেষ সুবিধা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিন ক্রয়ে স্ক্র্যাচ কার্ডে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। রয়েছে অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর, ২০২২) সাভার রোডে ওয়ালটন এক্সক্লুসিভ পরিবেশক ‘সাঈদ ইলেকট্রনিক্স’- এ পারভীন আক্তারের হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্বনামধন্য অভিনেতা আজিজুল হাকিম।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক ঢাকা ওয়েস্ট জোনের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার তারেকুল হক, সাঈদ ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী মো. সাঈদুর রহমান সিদ্দিক প্রমুখ।

ক্রেতা পারভীন আক্তার জানান, তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে সাভার বাজার রোডে থাকেন। স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। অনেক বছর ধরে বাসায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, ব্লেন্ডার, আয়রন, মোবাইল ফোন, ফ্যান ইত্যাদি পণ্য ব্যবহার করছেন। বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতেও ওয়ালটন ফ্রিজ উপহার দিয়েছেন। সাশ্রয়ী দামে কেনা ওয়ালটনের এসব পণ্যে খুব ভালো সার্ভিসও পাচ্ছেন। তাই বাসার জন্য সম্প্রতি সাঈদ ইলেকট্রনিক্স থেকে ওয়ালটনের আরেকটি নতুন ফ্রিজ কেনেন। এরপর তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ফ্রিজের মডেল, বারকোড ইত্যাদি তথ্য ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে যুক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে একটি স্ক্র্যাচকার্ড দেয়া হয়। সেই স্ক্র্যাচ কার্ডে পেয়ে যান এক লাখ টাকা ক্যাশব্যাক।

পারভীন আক্তার বলেন, ‘ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার আগে স্ক্র্যাচ কার্ডের অফার সম্পর্কে জানতাম না। ফ্রিজটি কিনে রেজিস্ট্রেশন করার পর শোরুম থেকে আমাকে একটি স্ক্র্যাচ কার্ড দেয়া হয়। সেই স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে দেখি- ১ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক। যা দেখে আমি খুবই অবাক হয়ে যাই। সাশ্রয়ী দামে ভালো মানের পণ্য পাওয়ায় অনেক বছর ধরে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি। ফ্রিজ কিনে ১ লাখ ক্যাশব্যাক পাওয়ায় ওয়ালটন ব্র্র্যান্ডের উপর বিশ্বাস ও আস্থা আরো বেড়ে গেলো। ক্রেতাদের জন্য এমন সুযোগ দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

জানা গেছে, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্যাশব্যাকসহ নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

কাঁচা পাট সংগ্রহে উৎসে কর প্রত্যাহার চান মিল মালিকরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের মতো পাটপণ্য রপ্তানিতেও ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তন করা হয়। এ ছাড়াও কৃষক পর্যায় থেকে পাট সংগ্রহের সময় ২ শতাংশ হারে কর কর্তন করা হচ্ছে। বাড়তি এই ৩ শতাংশ হারে উৎসে করের কারণে ঠিক সমপরিমাণ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মার খাচ্ছে দেশের পাটপণ্য। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক।

এ পরিস্থিতিতে কৃষক পর্যায় থেকে পাট সংগ্রহের সময় উৎসে কর প্রত্যাহার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করে পাট খাতের সমস্যা এবং তাঁদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বিজেএমএ নেতারা। একই বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গেও দেখা করেছেন তাঁরা।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পাটকলগুলো সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহ করে শতভাগ মূল্য সংযোজন করে থাকে। এর মাধ্যমে পাটপণ্য রপ্তানি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা হয়। পাট বুনন থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পাঁচ পর্যায়ে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্থ সরবরাহ হয়ে থাকে। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা পান চার থেকে পাঁচ কোটি কৃষক-শ্রমিক। তবে ২০১৯ সাল থেকে ২ শতাংশ হারে উৎসে করারোপের কারণে পাটচাষি, শ্রমিক ও উদ্যোক্তারা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই দেশের গরিব কৃষক-শ্রমিককে বাঁচাতে পাট সংগ্রহ পর্যায়ে আরোপিত ২ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা দরকার।

বিজেএমএর মহাসচিব আব্দুল বারেক খান সমকালকে বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। কারণ ব্যয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই কৃষকের কাছ থেকে পাট সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও তিনি বলেন, ২০১৬ সালে পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করা হলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর করা হয়নি। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএএফ) থেকে পাট খাত ঋণ পায় না। এটিও বৈষম্য। এমনিতেই ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক্ক আরোপের কারণে সংকটে আছে পাট খাত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

খেলাপি ঋণ আদায়ে আরো ছাড় দেওয়ায় সিপিবির ক্ষোভ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জোরদারের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। পার্টির প্রেসিডিয়ামের সভায় ঋণ খেলপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়, পাচারের টাকা ফেরত আনার দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং খেলাপি ঋণ আদায়ে আরো ছাড় দিয়ে খেলাপিমুক্ত থাকার বিরুদ্ধে সুযোগ করে দেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ সোমবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। বক্তৃতা করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান ও অধ্যাপক এ এন রাশেদা।

সভায় ঋণ খেলাপি ও টাকা পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ, টাকা উদ্ধার এবং যাদের পরামর্শে-অনুমোদনে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানানো হয়। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে ঋণ আদায়ে ছাড় দেওয়া হলেও পর্যাপ্ত টাকা পাওয়া যায় না, বরং নতুন নতুন আর্থিক জালিয়াতির পথ তৈরি করা হয়। অথচ ব্যক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থে এ ধরনের সুযোগ দান সাংবিধানিক ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

সভায় বলা হয়, ভুলনীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয় বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম কমানো সম্ভব। এটি না করে দাম বাড়ালে শুধু মাসের খরচ নয়, সেই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়, যাতায়াতসহ সর্বত্র খরচ বাড়বে। মূল্যবৃদ্ধিতে বিরক্ত সাধারণ মানুষের আরো দুর্ভোগ বাড়বে। সভায় জ্বালানি খাতের দায় মুক্তি আইন বাতিল, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বন্ধ, বিদ্যুত-গ্যাস খাতের দুর্নীতির সাথে জড়িতদের জড়িতদের বিচারের দাবি জানান হয়।

সভায় চলমান দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম জোরদার করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, দুঃশাসনের অবসান, ভোট ও ভাতের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ১০ দফার বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

দ্যা পেনিনসুলা চিটাগংয়ের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও প্রণোদনা খাতের কোম্পানি দ্যা পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড লভ্যাংশ কম দেওয়ায় ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে কোম্পানিটি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে উভয় শেয়ারবাজারে।

জানা গেছে, কোম্পানটি সর্বশেষ অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

এর আগে কোম্পানিটি লেনদেন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

লেনদেনের শীর্ষে মুন্নু সিরামিকস; ২য় ইন্ট্রাকো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে মুন্নু সিরামিকস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৭০লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার।

ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড ১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-  জেনেক্স ইনফোসিসের ১২ কোটি ৭০ লাখ, মুন্নু এগ্রোর ১০ কোটি ৮৮ লাখ, বসুন্ধরা পেপার মিলসের ৯ কোটি ৪৪ লাখ, বেক্স ফার্মার ৭ কোটি ২১ লাখ, জেমিনী সী ফুডসের ৭ কোটি ৯ লাখ, বিডি অটোকারসের ৬ কোটি ৩৬ লাখ ও মনুস্ফল পেপার প্রসেসিং লিমিটেডের ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. মুন্নু সিরামিকস
  2. ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং
  3. ওরিয়ন ইনফিউশন
  4. জেনেক্স ইনফোসিস
  5. মুন্নু এগ্রো
  6. বসুন্ধরা পেপার মিলস
  7. বেক্স ফার্মা
  8. জেমিনী সী ফুডস
  9. বিডি অটোকারস
  10. মনুস্ফল পেপার প্রসেসিং লিমিটেড।

দিনশেষে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্স‌চে‌ঞ্জের (ডিএসই) দিনশেষে সূচকের পতন হয়েছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬.৬২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬২৩৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২.১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩৬৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২.৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২২০১ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৩০টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৫৪টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ২৪১টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – মুন্নু সিরামিকস, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, জেনেক্স ইনফোসিস, মুন্নু এগ্রো, বসুন্ধরা পেপার মিলস, বেক্স ফার্মা, জেমিনী সী ফুডস, বিডি অটোকারস ও মনুস্ফল পেপার প্রসেসিং লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪১.৯৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ১৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৪৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮১টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ২০ টাকা। গতকাল রবিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২৩ লাখ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ও লূব-রেফ বিডি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

আমন সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে সরকারের ১৭ নির্দেশনা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ কর্মসূচি সফল করতে ১৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এসব নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়।

১৭ নির্দেশনা হলো 
১. ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে অবিলম্বে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা সম্পন্ন করতে হবে। কৃষকের অ্যাপের বাইরে উপজেলায় লটারি করে ধান সংগ্রহ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে। কৃষকের অ্যাপভুক্ত উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন দ্রুত সম্পন্ন করে সিস্টেমে লটারি করে কৃষক নির্বাচনপূর্বক দ্রুত ধান সংগ্রহ করতে হবে।

২. ধান সংগ্রহের বার্তাটি মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, স্থানীয় কেবল টিভি ফলে প্রদর্শনের মাধ্যমে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ অনুসারে নির্দেশসম্মত ২০২২ সালের আমন মৌসুমে উৎপাদিত ধান ও চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪. ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই মিলারদের অনুকূলে চুক্তি করা পরিমাণ চালের বরাদ্দপত্র ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুলিপি প্রদানপূর্বক স্ব স্ব জেলার ওয়েব পোর্টালে প্রকাশ করতে হবে।

৫. চুক্তিযোগ্য যেসব মিল মালিক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করবেন না অথবা চুক্তি সম্পাদন করে কোনো চাল সরবরাহ করবেন না- এমন মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ‘অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০২২’ এবং ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’-এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৬. যেহেতু চলমান সংগ্রহ মৌসুমে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অপেক্ষা বরাদ্দ কম তাই জাতীয় পর্যায়ে চাল সংগ্রহ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৭০ শতাংশ, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ৯০ শতাংশ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করার জন্য (তারিখ, পরিমাণ, সময়ভিত্তিক) সিডিউল প্রস্তুত করে জেলা, উপজেলা ও গুদামভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি ও সে অনুসারে সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে।

৭. হাস্কিং মিলারদের ক্ষেত্রে চুক্তিকৃত চাল সটিং করে সংগ্রহ করতে হবে।

৮. খাদ্য গুদামে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যেন কোনোক্রমেই হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

৯. সংগৃহীত সব চালের বস্তায় সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী স্টেনসিল প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

১০. ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম যুগপৎভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

১১. গুদামে স্থান সংকুলান না হলে ‘চলাচলসূচি প্রণয়ন নীতিমালা, ২০০৮’ অনুসারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মহাপরিচালক (খাদ্য) স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক স্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলাচল সূচি জারি করবেন।

১২. খালি বস্তার স্বল্পতা দেখা দিলে স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বস্তার স্বল্পতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৩. সংগ্রহ কার্যক্রমে সর্বোচ্চ জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

১৪. সংগ্রহ ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সর্বদা সর্বোচ্চ তৎপর ও সতর্ক থাকবেন।

১৫. প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহের তথ্য ই-মেইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগে প্রেরণ নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. জাতীয়ভাবে ১৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে বিধায় স্থানীয়ভাবে পুনরায় কোনো আনুষ্ঠানিকতার অজুহাতে কোনোক্রমেই সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্বিত করা যাবে না।

১৭. অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ ২০২২-২৩ মৌসুম চলাকালীন সংগ্রহ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

একমি ল্যাবের ঋণমান প্রকাশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রসায়ন ও ঔষুধ খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ঋণমান প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি এই রেটিং প্রকাশ করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্রটি জানায়, উক্ত সময় কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান এসেছে ‘এএ’। আর স্বল্প মেয়াদে ঋণমান এসেছে ‘এসটি-২’।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন এবং চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য আর্থিক উপাত্তের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সিআরআইএসএল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি