নিস্তেজ হয়ে পড়ছে সূচক ও শেয়ার দর

dseনিজস্ব প্রতিবেদক :

বেশ কিছু দিন থেকে একই অবস্থানে রয়েছে শেয়ারবাজার। মাঝেমধ্যে শেয়ারদরে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও সে ধারা স্থায়ী হচ্ছে না। লেনদেনও আটকে রয়েছে দুশ’ থেকে তিনশ’ কোটি টাকার ঘরে। আর প্রধান বাজার ডিএসইর মূল্যসূচক ৪৭০০ পয়েন্ট থেকে ৪৮০০ পয়েন্টের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না শেয়ারবাজার। বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, টানা অবরোধে অর্থনীতি গতি হারানোয় দেশের শেয়ারবাজারও কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।

গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও ডিএসইতে প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ২৭৭ কোম্পানির মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২৬৯টির। এর মধ্যে ২৫৬টির শেয়ার লেনদেনের কোনো না কোনো সময়ে আগের দিনের তুলনায় দর বেড়ে কেনাবেচা হয়েছে। একইভাবে ২৩৫টি আগের দিনের তুলনায় দর কমে লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পুরো সময়ে ৩১টি দর বেড়ে কেনাবেচা হয়েছে। বিপরীতে ১৭টি আগের দিনের তুলনায় কম দরে কেনাবেচা হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের তুলনায় এদিন দুই বাজারে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণও কিছুটা কমেছে। উভয় বাজার মিলে গতকাল লেনদেন হয়েছে ২৬৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড, যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা কম।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী জানান, বাজারে শেয়ারদর ওঠানামায় বেশ অস্থিরতা রয়েছে। তবে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদরের ওঠানামা খুবই কম। যেমন গতকাল ডিএসইতে বৃহস্পতিবারের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় ১৮৪ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের গতকালের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দরের ব্যবধান ছিল ২ শতাংশের কম। ব্যবধান ৫ শতাংশের বেশি ছিল কেবল ২০টিতে। আর সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ ব্যবধান ছিল শাহজীবাজার পাওয়ারে।

অন্যতম প্রধান ব্রোকারেজ হাউস লংকা বাংলা সিকিউরিটিজের দিনের লেনদেন সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে_ প্রকৌশল, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ খাতের সার্বিক শেয়ারদর বৃদ্ধি বাজারকে ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সহায়তা করেছে। অন্যতম প্রধান মার্চেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের প্রতিবেদনে যথারীতি লেনদেনে গতিহীনতার জন্য রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করা হয়েছে।

ডিএসইর খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, সিমেন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ, টেলিযোগাযোগ এবং বিবিধ খাতের দরবৃদ্ধি পাওয়া শেয়ার সংখ্যা দরহ্রাস পাওয়ার তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি ছিল। বাকি খাতগুলোর অধিকাংশের শেয়ারদর কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *