‘নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি কাজ করবে সোনালী ইনভেষ্টমেন্ট’

images (1)নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লিটারেসি নলেজ বাড়ানোর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি-ডিএসই সাথে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা ধরণের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি সোনালী ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেডও বিনিয়োগকারীদের জ্ঞানের গভীরতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী হাতে নিয়েছে এবং এসব বাস্তবায়ন করবে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সে যেন সব বুঝে -শুনে নিজেদের অর্থ বিনিয়োগ করে, এটাই চায় প্রতিষ্ঠানটি। একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন সোনালী ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত সিইও সুরজিৎ কুমার সাহা । স্টকমার্কেটবিডি.কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু তারা যেন সেটা জেনে বুঝে করে। কোনো কিছু সম্পূর্ণ না বুঝে সমালোচনা করা ঠিক নয়। আমরা যারা শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমালোচনা করি তাদের তাত্ত্বিক জ্ঞান বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে শেয়ারবাজারে কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির পক্ষ কারসাজি করা কঠিন। কেউ কারসাজি করার চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা কঠোরভাবে বাধা দিচ্ছে।

আইপিও অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন নিয়ে আগে সমালোচনা থাকলেও এখন আর নেই। প্রিমিয়াম নিতে কোম্পানিগুলোকে বিডিং করতে হচ্ছে। সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা থাকছে। সেখানে এখন অনেক বড় সিন্ডিকেট। এত বড় সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করে আইপিও তে কারসাজি করে প্রিমিয়াম বাড়ানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।

এসময় বিনিয়োগকারীদের আশার বাণী শোনান তিনি। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার নিযে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ২০১০ সালের পর ৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক এগিয়েছে। বাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে অচিরেই ঘুরে দাড়াবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা। সেকারণে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বড়ধরণের ক্ষতির সম্মূখীন হওয়ার পরেও বাজার ছাড়ে যাননি। বাজারে তারা রয়ে গেছে, হয়তো বা নিয়মিত না, তবে তাদের অবস্থান এখানো আছে।

কোম্পানির লভ্যাংশ নিয়ে তিনি জানান, তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ এখন অনেক ভালো। কিছু কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিচ্ছে। অধিকাংশ কোম্পানির লভ‌্যাংশই আশা ব্যঞ্জক।

শেয়ারবাজারে যারা নতুন ব্যবসা করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান বাজারে যে কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে বছর শেষে যে লভ্যাংশ পাবে তা ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে অনেক বেশি। নিজেদের অর্থ ব্যাংকে জমা না রেখে শেয়ারবাজারে দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ করলে অবশ্যই তারা লাভবান হবে।

তিনি আরো বলেন, ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৫ হাজারের কাছাকাছি অবস্থান করলে শেয়ারবাজারে প্রাণ ফিরে পাবে। এ অবস্থা বিরাজ করলে লেনদেন এখনকার চেয়ে বাড়বে, বাজারে নতুন মূলধন আসবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *