ন্যাশনাল টিয়ের ১ম প্রান্তিক ইপিএস ১৫.৩২ টাকা

nationa-tea1স্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুসাঙ্গিক শিল্প খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

শনিবার অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ১ম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ১৭) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫.৩২ টাকা । গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি (ইপিএস) আয় ছিল ১৫.১৭ টাকা । এ হিসাবে চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস বেড়েছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের দায় মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫৮.৩০ টাকা।যা ২০১৬ সালের ৩০ জুন ছিল ১৫৪.৮৮ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএইচ

‌‌নাঈমুর রহমান দূর্জয় পরিচালনা বোর্ড হতে পদত্যাগ করেনি : ফু-ওয়াং ফুড

fuwanনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ফু-ওয়াং ফুড নিয়ে নানা অভিযোগের জল্পনা-কল্পনা উঠেছে। সম্প্রতি এক বিনিয়োগকারী করা এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা সংবাদ তুলে ধরেছে ফু-ওয়াং ফুড।

পরিচালনা বোর্ড হতে এম নাঈমুর রহমান দূর্জয় এমপির পদত্যাগের অভিযোগে কোম্পানিটি দাবি করছে, তিনি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড এর পরিচালনা বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেননি। তিনি গত ২৯-১০-২০১১ইং তারিখে কোম্পানীর বোর্ড সভায় ৩ (তিন) বছরের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন এবং ২৮-১০-২০১৪ইং তারিখে তার মেয়াদ শেষ হলে একই তারিখে তিনি পুনরায় পরবর্তী ৩ (তিন) বছরের জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২৮-১১-২০১৬ ইং তারিখের বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। এ এম নাঈমুর রহমান গত ২৮-১০-২০১৭ইং তারিখে তার দ্বিতীয় মেয়াদে ৩ (তিন) বছর পূর্ন করেন।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্পোরেট গভর্নেন্স এসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০১৬-১৫৮/১৩৪/এডমিন/৪৪ তারিখ ০৭-০৮-২০১২, ধারা ১.২(৬) অনুযায়ী একই ব্যক্তি একটি কোম্পানীতে পর পর ২ (দুই) মেয়াদ অথার্ৎ ৬ (ছয়) বছরের বেশী স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে থাকিতে পারিবেন না।

এ এম নাঈমুর রহমান, এমপি ফু-ওয়াং ফুডস লিঃ-এর পরিচালনা পর্ষদ ও চেয়াম্যান এর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। পর পর ২ (দুই) মেয়াদ অর্থ্যাৎ মোট ৬ (ছয়) বছর মেয়াদ কাল পূর্ন হওয়ায় তাকে আর স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড প্রতি বছর ৩টি (তিন) কোয়াটারলি একাউন্স করে সময়মত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ, চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ-এ জমা দিচ্ছে এবং শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে পাবলিস্ট করছে। বাংলাদেশ একাউনটিং ষ্ট্যান্ডার্ড , ইন্টারন্যাশনাল একাউন্টিং ষ্ট্যান্ডার্ড, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম মেনে সঠিক তথ্য তুলে ধরে বাৎসরিক হিসাব করা হচ্ছে এবং পরিচালক পর্ষদ দ্বারা গঠিত, অডিট কমিটির রিপোর্ট নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তালিকাভুক্ত অডিট ফার্মকে দিয়ে অডিট করে সময়মত বার্ষিক সাধারণ সভা করা হচ্ছে, শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে এবং শেয়ারহোন্ডারদের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এর প্রতিটি নিয়ম মেনে পরিচালকরা তাদের পদে বহাল আছেন।

পরিচালনা বোর্ড প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকৃত মুনাফা তুলে ধরছেন এবং তার উপর লভ্যাংশ দিচ্ছেন এবং সিকিউরিটিজ আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল আছেন।

আর আদালত সংক্রান্ত যেসকল নির্দেশনা রয়েছে এখন পর্যন্ত কোম্পানির কাছে কোনো অফিসিয়াল চিঠি পাওয়া যায়নি।

কোম্পানির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে ২ শতাংশ শেয়ার না থাকায় গত ২২-০৫-২০১২ইং তারিখে ফু-ওয়াং ফুডস লিঃ এর ৩ জন পরিচালক, যথাক্রমে বেগম রোকেয়া আশরাফ, সু-চিন-হুয়া, মোঃ শাহাদাত হোসেন তাদের পরিচালক পদ হারান।

বর্তমানে পরিচালক বোর্ডে যারা আছেন, তারা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এর প্রতিটি নিয়ম মেনে পরিচালকরা তাদের পদে বহাল আছেন।

এছাড়া এ এম নাঈমুর রহমান, এমপি ফু-ওয়াং ফুডস লিঃ এর স্বতন্ত্র পরিচালক থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র পরিচালক-এর শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কমল কান্তি মন্ডল ও বিপ্লব চক্রবর্তী উভয়েই সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত পরিচালক (শেয়ারহোল্ডার পরিচালক)। সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইন অনুযায়ী সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত পরিচালকদের ২ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক নয়।

সুতরাং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এর প্রতিটি নিয়ম মেনে পরিচালকরা তাদের পদে বহাল আছেন।

বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জের লিষ্টিং রেগুলেশন, কোম্পানীজ আইন ১৯৯৪ এবং অন্যান্য যেকোন রেগুলেটরি আইনের প্রতি ফু-ওয়াং ফুড সব সময় শ্রদ্ধাশীল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ধারাবাহিকভাবে কমছে ডিএসইতে বিদেশিদের লেনদেন

dse1স্টকমার্কেট প্রতিনিধি :

বিগত কয়েক মাস ধরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশিদের লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই সূত্রে আরো জানা যায়, অক্টোবর মাসে ডিএসইতে বিদেশি ও প্রবাসীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৬৪২ কোটি ২ হাজার ৭৩২ টাকার। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৯৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। তার আগের মাস আগস্টে লেনদেন হয়েছিলো ৮৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার।

শুধু তাই নয়, অক্টোবরে ৬৪২ কোটি ২ হাজার লেনদেনের মধ্যে বিদেশিরা শুধু শেয়ার বিক্রি করেছেন ৩৯৬ কোটি টাকার। তার বিপরীতে ২৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৮ টাকার শেয়ার কিনেছেন। অর্থাৎ এই মাসে ডিএসইতে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ১৫১ কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৫ টাকা।

অথচ সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ও প্রবাসীদের মোট লেনদেন হয়েছিলো ৯৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। এর মধ্যে ৫৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছিলো। তার বিপরীতে ৩৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন।

তার আগের মাস আগস্টে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছিলো ৮৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। এর মধ্যে ৪৩২ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছে। আর বিক্রি করেছেন ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক ৯৪.৫৪ ও লেনদেন বেড়েছে ৫৬৩ কোটি টাকা

index upস্টকমার্কেট প্রতিনিধি :

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহেও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৯৪.৫৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ডিএসইর দিনের লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৫৯১ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৪ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৭ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫৬৩ কোটি ৫০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৫৪ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ২০৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দর।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৪.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১৯৩ পয়েন্টে। এ ছাড়া শরিয়াহ সূচক ১২.১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৪১ পয়েন্টে ও ডিএসই-৩০ সূচক ৪২.৬৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৪৪ পয়েন্টে।

সপ্তাহ শেষে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্যাংকিং খাতের সিটি ব্যাংক। টার্নওভারের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইফাদ অটোস, কোম্পনিটির ১২১ কোটি ৬৪ লাখ টাক্র শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক।

এ ছাড়াও টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো-লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, ঢাকা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বিবিএস ক্যাবলস, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক, গ্রামীণফোন ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

বিবিএস ক্যাবলসের সাথে বিআরডিবি’র ১১৩ কোটি টাকার চুক্তি

bbsস্টকমার্কেট প্রতিনিধি :

শেয়ারবাজারের প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত বিবিএস ক্যাবলসের সাথে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে কোম্পানিটিকে সম্মতিপত্র (নোটিপিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড) দেয় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এ চুক্তির আওতায় বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্ক বর্ধিতকরণের পণ্য সরবরাহ করবে। এর জন্য ১১২ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ২৬০ টাকার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

সম্মতিপত্র পাওয়ার পর ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে এ কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী ৪ মাসের মধ্যে এ ১১২ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার ২৬০ টাকার পণ্য সরবারহ করা হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ