সিএসইতে লেনদেন হঠাৎ ৪ গুণ বৃদ্ধি

DSE_CSE-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের মোট পরিমাণ আগামী দিনের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেড়ে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে কম। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে রবিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার সেখানে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা বিগত কয়েক মাসের যে কোনো দিনের চেয়ে ৩/৪ গুণ বেশি।

এদিন সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৫০ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১ টির।

এদিকে দিনভর ডিএসইতে ২৬৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ৩১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ হিসাবে দিনের লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ৪৬ কোটি টাকা কমেছে।

এদিন ডিএসইতে ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১.২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৩৮১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১০৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৭১৪ পয়েন্টে।

এদিন দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮১ টির, কমেছে ১৯৩ টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার দর।

এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলো হচ্ছে- অলিম্পিক এক্সেসরিজ, একমি ল্যাব., আমান ফিড, ন্যাশনাল ফিডস, রেনেটা, স্কয়ার ফার্মা, ইবনে সিনা, বিবিএস, ইসলামী ব্যিংক ও অরিয়ন ফিউশন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে

এজিএম অনুমোদনের জন্য আদালতে ওয়েস্টার্ন মেরিন

weastaernস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড ২০১৫ বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কোম্পানির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত আগামী ১৪ জুলাই শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

ওয়েস্টার্ন মেরিন উচ্চ আদালতে করা এই আবেদনে কোম্পানিটি দেরিতে এজিএম করার কারণ উপস্থাপন করেছে এবং দ্রুত কোম্পানিটির এজিএম সম্পন্ন করার অনুমতি চেয়েছে।

কোম্পানিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত ২০ জুন শুনানির আদেশ দেন।

একই সাথে আদালত কোম্পানিটিকে এজিএমের বিষয়ে দুইটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে বলেছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এআর/সি

রূপালী ব্যাংকের ইপিএস কমেছে

rupaliস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি রূপালী ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস কমেছে। ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদেনে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।

চলতি বছরের গত ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ১.৪৬ পয়সা।

এই প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ার সম্পদ মূল্য হয়েছে ৫৩.৭৭ টাকা। আগের বছর একই সময়ে এই ন্যাভ ছিল ৫৩.৪৭ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এআর/সি

সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ৩০ জুন

sandani-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বোর্ড সভা আহ্বান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী ৩০ জুন বেলা সোয়া ২ টায় নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং)আইন-২০১৫ অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় ২০১৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি এজিএম ও রেকর্ড ডেট নির্ধারণ হতে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/জেড

বিএফআইসির বোনাস বিওতে জমা

bifcস্টকমার্কেট ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট (বিএফআইসি) কোম্পানি লিমিটেড গত হিসাব বছরের লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা দিয়েছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আজ ২৬ জুন কোম্পানিটির এসব বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

বিএফআইসি গত ২০১৫ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডাদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমআর

ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের বোনাস বিওতে দিল সিডিবিএল

eastland-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক:

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত হিসাব বছরের লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা দিয়েছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আজ ২৬ জুন কোম্পানিটির এসব বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়েছে।

ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স গত ২০১৫ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডাদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমআর

একদিনে বিশ্ব শেয়ারবাজার মূলধন কমেছে ২ ট্রিলিয়ন ডলার

HONG KONG-Britain-EU-voteস্টকমার্কেট ডেস্ক :

উরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের মানুষ। ৩০ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসেছে ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় হার। ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’ হিসেবে সুপরিচিত কিছু বন্ড ও স্বর্ণ ছাড়া অস্বাভাবিক বিক্রয়চাপের শিকার হয়েছে বিশ্বের সব প্রান্তের আর্থিক বাজারের সব ধরনের সিকিউরিটিজ। বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে একদিনের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমে গেছে ২ ট্রিলিয়ন ডলার। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

শুক্রবার সকালে ভোটের ফলাফল জানার পর থেকেই ইউরোপের অন্যান্য অংশের মতো লন্ডনের শেয়ারবাজারেও দরপতন শুরু হয়। মূল ধাক্কাটা গেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যাংকগুলোর শেয়ারে। লেনদেনের শুরুতেই প্রায় ৩০ শতাংশ দর হারিয়েছে বার্কলেস, আরবিএস ও লয়েডসের মতো ব্যাংকগুলো। ৫ থেকে ১০ শতাংশ দরপতনে কেনাবেচা শুরু হয় ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ সব শেয়ারবাজারে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাত্রা কিছুটা কমে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক এফটিএসইর পতন ৪ শতাংশে সীমিত হয়ে এলেও ৭-৮ শতাংশ হারে কমে প্যারিস ও ফ্রাংকফুর্টের সূচক। দুপুর পর্যন্ত ইউরোপের সমন্বিত শেয়ারসূচক স্টক্স ইউরোপ-৬০০ প্রায় ৭ শতাংশ হ্রাস পায়।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, দিনের লেনদেন শুরু হলে ওয়াল স্ট্রিটের গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো কমবেশি ৪ শতাংশ কমে যাবে। দুপুরের আগে ইউরোপের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর সম্মিলিত বাজার মূলধন অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লেনদেন শুরুর আগেই ২ ট্রিলিয়ন ডলার খুইয়েছে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার।

ইউরোপের অস্থিতিশীল অবস্থার ধাক্কা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলেও লেগেছে। যুক্তরাজ্যের গণভোটকে কেন্দ্র করে এক মাসের বেশি সময় ধরেই টানাপড়েনে ছিল বাজার। গতকাল চীন, হংকং, ভারত, অস্ট্রেলিয়ায় শেয়ারসূচক ১ থেকে ৩ শতাংশ কমেছে। কিন্তু জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইইউ ছেড়ে দিলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রভাবিত হবে, লন্ডনের পাশাপাশি ফ্রাংকফুর্ট, প্যারিস ও ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শেয়ারবাজারগুলোয় যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করলে মূল দুঃশ্চিন্তাটি ইউরোপের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে কেন্দ্র করে তীব্রতর হচ্ছে।

ডলারের বিপরীতে সকালে প্রায় ১০ শতাংশ কমে ১৯৮৫ সালের পর সর্বনিম্নে নেমে যায় ব্রিটিশ পাউন্ডের মান। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্মকর্তাদের আশ্বাসের পর দুপুরে তা কিছুটা বাড়তে থাকলেও পাউন্ডের দরপতন ৮ শতাংশের আশপাশেই ছিল। চলমান ডামাডোল থেকে বাজার ও অর্থনীতিকে সুরক্ষা দিতে প্রয়োজনে নতুন প্রণোদনার আশ্বাস দিচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য অংশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ব্রেক্সিট ইস্যুর ধাক্কায় পড়বে বাংলাদেশের পোশাক খাত

(JPEG Image, 290 × 174 pixels)নিজস্ব প্রতিবেদক :

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্তের সারা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে এটি বড় ধাক্কা। এই ধাক্কা আসবে বাংলাদেশেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দার পর বিশ্ব অর্থনীতির জন্য নতুন করে বড় শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে নতুন করে আলোচনার টেবিলে বসতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়তে পারে, মন্তব্য জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকাস্থ প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে তাত্ক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের রেমিটেন্সে বিরূপ প্রভাব পড়বে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স কমে গেলেও এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে বড় অঙ্কের রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসছে। কিন্তু পাউন্ড যেভাবে দর হারাচ্ছে তাতে রেমিটেন্সে বড় ধাক্কা আসছে। তাছাড়া এ ধরনের পরিস্থিতিতে ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টির ফলে সেদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো কমে যেতে পারে। শুধু ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নয়, অভিবাসনের ক্ষেত্রেও তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

গনমাধ্যমকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা হচ্ছে তৈরি পোশাকের রফতানি বাজার। ইইউতে শুল্কমুক্ত সুবিধা এখন আর যুক্তরাজ্য দিতে বাধ্য নয়। গণভোট হলেও সম্পূর্ণরূপে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসতে আড়াই থেকে তিন বছর সময় পাওয়া যাবে। বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হলো আমাদের রফতানির বড় বাজার হলো ইউরোপ।

ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে অন্যান্য দেশও ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে রফতানির নতুন বাজার সন্ধান করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে। বর্তমানে পর্তুগাল, স্পেন, ইতালির অর্থনীতি দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে হলে আমাদের কূটনৈতিক তত্পরতা জোরদার করতে হবে। অনিশ্চয়তা বিনিয়োগের বড় শত্রু। অনিশ্চয়তা আরো বাড়লে বিশ্বে বিনিয়োগও কমে যেতে পারে। সবমিলিয়ে বিষয়টি আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। কেননা গণভোটের ফল প্রকাশের দিনই দেশটির মুদ্রা পাউন্ডের দর কমে গেছে । এটি অব্যাহত থাকলে তাদের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা কমতে পারে। ফলে রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দেশটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। তবে তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের ফলে কি ধরনের প্রভাব পড়তে পারে – তা নিশ্চিত হতে হলে আরো অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তৃতীয় বড় গন্তব্যের দেশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যুক্তরাজ্য হতে ৩২০ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের রফতানি আয় হয়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পরেই বাংলাদেশের বড় রফতানি আয়ের দেশ হলো ব্রিটেন। সবচেয়ে বেশি রফতানি হচ্ছে তৈরি পোশাক। এছাড়া হিমায়িত পণ্যের বড় বাজার হলো যুক্তরাজ্য। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের পরেই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এর পরেই আসে যুক্তরাজ্য থেকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যুক্তরাজ্য থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৮১ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ।

রয়টার্সের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর আন্তর্জাতিক অর্থবাজারে সবচেয়ে বড় ঝাঁকুনি দিয়েছে এ গণভোট। এ অবস্থায় নীতিনির্ধারকরা কী করবেন তা নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন। ব্রিটেন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। এই সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখতেও বাংলাদেশকে আলোচনা করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ব্রিটেনের অর্থনীতিকে মূল্য দিতে হবে। এখন দেখতে হবে এই মূল্য দিতে তারা কতটা প্রস্তুত। তবে ব্রিটেনের অর্থনীতি যে রকম শক্তিশালী তাতে পাউন্ডের এই দর পতন সাময়িক। কেননা, মুদ্রামান সবসময় সেই দেশটির অর্থনীতির কিছু শক্ত ভিতের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ বেশিরভাগ লেনদেন করে ডলারে। তাই পাউন্ডের দর পতনের ফলে আমাদের খুব একটা সমস্যা হবার কথা নয়। তাছাড়া আমাদের বৈদেশি মুদ্রার রিজার্ভে সিংহভাগ রয়েছে ডলারে। এরপর ইউরো এবং পাউন্ড। সম্প্রতি আমরা চীনা মুদ্রা রেনমিনবিও রিজার্ভ হিসেবে রাখছি। পাউন্ডের দর পতনে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি রিজার্ভে বড় প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

অবসায়নকৃত মিউচুয়াল ফান্ডে বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা

mutualনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পুরো অর্থ ফেরত দেওয়া নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যে রশি টানাটানি চলছে। এ কারণে মোট ৩৩৬ কোটি টাকার এইমস প্রথম ও গ্রামীণ ওয়ান স্কিম-১ মিউচুয়াল ফান্ড অবসায়ন হলেও বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এখনও প্রায় ৩১ কোটি টাকা ফেরত পাননি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা।

এনবিআরের দাবি, অবসায়নের পর এ দুটি ফান্ডের সম্পদ মূল্যের পুরোটাই ‘লভ্যাংশ আয়’, যা থেকে উৎসে কর আদায় করতে হবে। তবে বিএসইসি এর বিপরীত ব্যাখ্যা দেওয়ায় ফান্ড দুটির ট্রাস্টি এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ও বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধ করেনি।

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, এর আগে বিএসআরএস প্রথম নামের একটি মিউচুয়াল ফান্ড অবসায়িত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে এনবিআর কর আদায় করেনি। এবার নিয়মবহির্ভূতভাবে কর দাবি করা হচ্ছে। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোনো ফান্ডের সম্পদ মূল্য লভ্যাংশ আয় নয়। তাই উৎসে কর কাটার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার সনজিত কুমার বিশ্বাস সমকালকে জানান, বিএসইসির আপত্তির বিষয়টি এনবিআরে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই এর সুরাহা হবে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি। এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ জানান, কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড এক নয়। অবসায়িত ফান্ড থেকে প্রাপ্য অর্থকে লভ্যাংশ হিসেবে গণ্য করতে এনবিআরের দুই কর অফিসের নির্দেশনার মধ্যে অস্পষ্টতা আছে। এ ছাড়া বিএসইসির যুক্তিগুলো আমলেও নেওয়ার মতো। তাই এনবিআরের কর দাবি আরও বিচার-বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একটি মহল বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার তথা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট শাখাকে ভুল বুঝিয়ে কর আদায়ের চিঠি ইস্যু করিয়েছে।

এর আগে ফান্ড দুটির সম্পদ ব্যবস্থাপক এইমস বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করে বিএসইসির এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি অবসায়িত ফান্ডগুলোর যাবতীয় সম্পদ ট্রাস্টির কাছে হস্তান্তর করেছে এবং এ সম্পদের ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা ব্যক্তি শুধু বিনিয়োগকারীদের অর্থপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

সম্প্রতি এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ও কর কমিশনার অফিস-কোম্পানি সার্কেল থেকে পৃথক দুটি চিঠিতে অবসায়িত দুই মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থকে লভ্যাংশ আয় হিসেবে গণ্য করে উৎসে কর কর্তনের জন্য ট্রাস্টিদ্বয়কে নির্দেশ দেয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ফান্ড দুটির ট্রাস্টি যথাক্রমে বিজিআইসি ও গ্রামীণ ফান্ড নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশনা চায়। এ অবস্থায় এনবিআরের দাবি করা টাকা কর্তন করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তবে তা কমিশনের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়ার আগ পর্যন্ত এনবিআরের কাছে হস্তান্তর না করারও নির্দেশনা দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম