মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করবে বিডি ফোন

image-74828-1532760917স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বিডি ফোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ২৭ জুলাই শুক্রবার রাত ৯টায় শুরু হয় বিডি ফোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাই কমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম।

প্রবাসের মাটিতে বাংলাদেশির মালিকানায় বিডি ফোনের অগ্রযাত্রার শুভ কামনা করেন তিনি। বিডি ফোন প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে এ প্রত্যাশা হাই কমিশনারের। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ সরকারের ম্যধ্য রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রম কাউন্সিলর মো: সায়েদুল ইসলাম, প্রথম সচিব ( শ্রম) মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো: রাজিবুল আহসান।

কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মুকুল, রেজাউল করিম রেজা, মনিরুজ্জামান মনির, দাতু আক্তার হোসেন, রাশেদ বাদলসহ সহস্রাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় বিডি ফোনের অনুষ্ঠান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে রাত সাড়ে ৮ টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের ভি আইপি হলে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন।

সম্মেলনে বিডি ফোনের কার্য পরিকল্পনা তুলে ধরেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবিএম নাজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম বলেন, বিডি ফোন প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

বন্ডের হিসাবায়ন পদ্ধতিকে স্পষ্ট করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কোনো ব্যাংকের ইস্যু করা সাব-অরডিনেট বন্ডের উদ্বৃত্ত দায় ব্যাংকের নগদ জমার বাধ্যবাধকতা (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ (এসএলআর) পরিপালনের উদ্দেশ্যে নিট তলবী ও মেয়াদী দায় হিসাবায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে।

এ ক্ষেত্রে একটি ব্যাংক নিজে যে পরিমাণ সাব-অরডিনেট বন্ড ইস্যু করেছে তার থেকে অন্য ব্যাংকের সাব-অরডিনেট বন্ডে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে তা বাদ দিয়ে অতিরিক্ত অংশটুকু ওই ব্যাংক তার দায় হিসেবে সিআরআর বা এসএলআর-এ দেখাতে পারবে। যদি ইস্যু করা সাব-অরডিনেট বন্ডের তুলনায় অন্য ব্যাংকের সাব-অরডিনেট বন্ডে বিনিয়োগ বেশি থাকে তাহলে ওই দায় সিআরআর বা এসএলআর-এ দেখানো যাবে না।

বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলার লেটার দিয়ে ব্যাংকের ঝুঁকি-বাহিত মূলধন পর্যাপ্ততার নীতিমালায় এ বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) মহাব্যবস্থাপক আবু ফারাহ মো. নাছের।

একই দিন বিআরপিডির অন্য এক সার্কুলার লেটারে বলা হয় সম্পদ-দায় ব্যবস্থাপনা নীতিমালায়ও কিছুটা স্পষ্টিকরণ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, ঋণ ও আমানত অনুপাত (এডিআর) হিসাবায়নের ফর্মুলা হবে মোট ঋণ এবং অগ্রিম বা বিনিয়োগ (শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য)। এক্ষেত্রে মোট মেয়াদী এবং তলবী দায়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে আন্তব্যাংকের উদ্বৃত্ত আমানত এবং উদ্বৃত্ত বন্ডের অঙ্ক।

এক্ষেত্রে একটি ব্যাংক যে পরিমাণ আমানত অন্যান্য ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত রাখবে সেই অঙ্ক থেকে ওই ব্যাংকটি নিজে অন্য ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছে সেটা বাদ দিয়ে উদ্বৃত্ত আমানতকে দায় হিসাবে দেখাতে পারবে। একই ভাবে একটি ব্যাংক বন্ডে যে পরিমাণ বিনিয়োগ দিয়েছে তার থেকে যে পরিমাণ বিনিয়োগ সে সংগ্রহ করেছে সেটা বাদ দিয়ে বন্ডের উদ্বৃত্ত দায় বের করবে। যদি এই উদ্বৃত্ত বের করতে গিয়ে অঙ্ক ঋণাতœক হয় তবে সেটা এডিআর-এ অন্তর্ভুক্ত হবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

২০১৮ অর্থবছরে সৌদি থেকে ১৭ শতাংশ রেমিটেন্স এসেছে

dollarস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিদায়ী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে মোট রেমিটেন্সের ১৭ শতাংশেরও বেশি বা ২,৫৯১.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছে। ওই সময়ে মোট প্রেরিত অর্থের (রেমিটেন্স) পরিমাণ ছিল ১৪,৯৭৮.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের সুবাদে রেমিটেন্সের প্রবাহ আবারো বেড়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান একথা বলেন।

জানা যায়, সৌদি আরব থেকে ২০১৪-’১৫ অর্থবছরে ৩,৩৪৫.২৩ মিলিয়ন, ২০১৫-’১৬ অর্থবছরে ২,৯৫৫.৫৫ মিলিয়ন ও ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে ২,২৬৭.২২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে।

২০১৮ অর্থবছরে সৌদির পর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স এসেছে ২,৪২৮.০৬ মিলিয়ন ডলার। মধ্যপ্রাচ্যের এ দু’টি দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে। আমিরাত থেকে ২০১৭ অর্থবছরে ২,০৯৩.৫৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
এছাড়া ২০১৮ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১,৯৯৭.৪৯ মিলিয়ন এবং কুয়েত থেকে ১,১৯৯.৭০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ।

একই সময়ে মালয়েশিয়া থেকে ১,১০৭.২১ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ১,১০৫.৫৫ মিলিয়ন, ওমান থেকে ৯৫৮.১৯ মিলিয়ন, কাতার থেকে ৮৪৪.০৬ মিলিয়ন, ইতালী থেকে ৬৬২.২২ মিলিয়ন, বাহরাইন থেকে ৫৪১.৬২ মিলিয়ন, সিঙ্গাপুর থেকে ৩৩০.১৬ মিলিয়ন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১৫৩.১৫ মিলিয়ন ও ফ্রান্স থেকে ১৩৪.৪০ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।

২০১৮ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ বেড়েছে ২,২০৯.৪১ মিলিয়ন বা ১৭.৩০ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

বাংলাদেশে তাল মেলাতে না পেরে ওষুধ ব্যবসা ছাড়ছে জিএসকে

glaxo-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের বাজারের ‘উপযোগী’ ওষুধ আনতে না পেরে লোকসানের কারণে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন তাদের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানালেন কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম আজিজুল হক বলেন, ঘাটতি কীভাবে পুষিয়ে আনা যায়, সেই চিন্তা ছিল তাদের মাথায়। কিন্তু তারা তা পারেননি।

১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কারখানা চালিয়ে আসা এ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বৃহস্পতিবার এক বৈঠকের পর তাদের ফার্মাসিউটিক্যাল বিজনেস ইউনিটের উৎপাদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায়।

তবে জিএসকের কনজিউমার হেলথকেয়ার ইউনিট বাংলাদেশে হরলিকস, মালটোভা, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইনের মত পণ্য বিক্রি চালিয়ে যাবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

জিএসকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট বন্ধ হওয়ার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া এক হাজারের বেশি কর্মীকে তারা যথাযথ প্রাপ্য পরিশোধ করবে এবং ইউনিসেফের মাধ্যমে সরকার গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের যে ভ্যাকসিন কিনত, তাও বাংলাদেশে পাওয়া যাবে।

কিন্তু গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন তাদের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিটের ব্যবসায় টিকতে না পারার যে কারণ দেখিয়েছে তা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে।

এর ব্যাখ্যায় চেয়ারম্যান এম আজিজুল হক বলেন, “আমরা ব্যবসা করি আন্তর্জাতিকভাবে। আমাদের বিজনেস মডেল হল- গবেষণার মাধ্যমে একটা ইউনিক প্রডাক্ট তৈরি করা হবে, যা বাজারের চাহিদা মেটাতে পারবে। এরপর ওই প্রডাক্ট আমরা সারা বিশ্বে বিপণন করব।

“কিন্তু বাংলাদেশে আমাদের ওষুধগুলো অনেক দিনের পুরনো, আর অনেক সস্তা। আমরা ব্যবসার ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে পারছিলাম না। সেই ঘাটতি পোষানোর মত নতুন কোনো ওষুধও আমাদের পাইপলাইনে ছিল না।”

এর উদাহরণ দিতে গিয়ে আজিজুল হক বলেন, জিএসকে যখন তাদের নতুন শিংগলস (কোঁচদাদ) ভ্যাকসিন চালু করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু ওই ভ্যাকসিন বাংলাদেশের বাজারে ছাড়া হয়নি কারণ বাংলাদেশের বাজারের জন্য সেটা উপযুক্ত নয়।

“আমরা নতুন কোনো ওষুধ আনতে পারিনি, যা বাংলাদেশের বাজারের জন্য উপযুক্ত।… ঘাটতিটা আমরা আর পূরণ করতে পারিনি।”

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন তাদের কারখানা বন্ধ বা বিক্রি করে দিতে পারে বলে গত কয়েক দিন ধরেই বাজারে গুঞ্জন ছিল। কারখানা বন্ধের ‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ অভিযোগ করে কোম্পানির কর্মীরা দুদিন আগে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনও করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

ডিএসই বাজার মূলধন হারিয়েছে ৩,৮২৩ কোটি টাকা

dse1স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ১.৪৫ শতাংশ। সপ্তাহশেষে বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমায় কমেছে সূচক। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসইতে ৪৪৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ৪৩৯০ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১.৪৫ শতাংশ কম।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে ৮৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ৮৭৮ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৩,৮৭,০৪৬ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষদিনে কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৮৩,৩২২ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩,৮২৩ কোটি টাকা।

এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ৩২.২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট ১৩.৯৫ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ১৮৯০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ১৩.৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১২৫৯ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৪৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ১টি শেয়ারের কোনো লেনদেনের হয়নি।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকার শেয়ার। সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ৪৩ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৯৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড