এফবিসিসিআই সভাপতির শোক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

আজ শনিবার (১০ জুলাই) সংগঠনটির জনসংযোগ বিভাগের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জসিম উদ্দিন নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের উদ্ধারে যথেষ্ট আন্তরিক ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সব কর্মীর প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ আটক ৮

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক শ্রমিকের নিহত হওয়ার ঘটনায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে আটক করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) লাগা আগুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও।

শনিবার (১০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

সৌদি-আমিরাত দ্বন্দ্বে অস্থির বিশ্ব তেলের বাজার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। তেল উৎপাদনের কোটা নিয়ে তাদের মধ্যে গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে তিক্ত মতবিরোধের পর বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসের আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। এর ফলে জ্বালানি বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং তেলের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির বরাতে জানা যায়, ওপেকের মূল সদস্য এবং এর বাইরে রাশিয়া, ওমান, বাহরাইনের মতো আরও ১০টি তেল উৎপাদনকারী দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে ওপেক প্লাস। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত দেড় বছর যাবৎ বিশ্ববাজারে তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে এই জোট। কিন্তু এর দুই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ সৌদি ও আমিরাতের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় এখন ওপেক প্লাস টিকবে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।

গত সপ্তাহে ওপেক প্লাসের নেতা সৌদি আরব এবং রাশিয়া তেল উৎপাদনের মাত্রা কম রাখার মেয়াদ আরও আট মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে বিরোধিতা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ থেকেই সমস্যার শুরু। আমিরাত চায়, উৎপাদনের যে মাত্রাকে এখন মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হচ্ছে, তা পুনর্র্নিধারণ হোক। অর্থাৎ, উৎপাদন কতটা কমানো বা বাড়ানো হবে তা হিসাব করার জন্য যে মাত্রাকে ভিত্তি ধরা হচ্ছে, তা বাড়ানো হোক, যাতে তেলের উত্তোলন বাড়ানোর ব্যাপারে দেশগুলোর স্বাধীনতা থাকে। কিন্তু সৌদি আরব ও রাশিয়া এই দাবির বিপক্ষে। ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র- সৌদি ও আমিরাতের জ্বালানি মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে এ নিয়ে মতভেদ ব্যক্ত করলে ওপেক প্লাসের আলোচনায় অস্বাভাবিক মোড় নেয়।

ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেন কাহিল বলেন, তাদের এই মতভেদ সবাইকে চমকে দিয়েছে, যদিও এই বিভেদটা হয়তো অবশ্যসম্ভাবী ছিল। তিনি বলেন, ওপেক যে কোটা বেঁধে দিয়েছে তা আমিরাতের উৎপাদন সক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আবুধাবি তার তেল উৎপাদন শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এখন চাহিদাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।

ফলে দেশটি তাদের উৎপাদন বাড়াতে না পেরে গত বছর হতাশ হয়েছে। বহু বছর ধরে আরব বিশ্বে ভূ-রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখে আসছে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধুত্ব। আর তাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদের মধ্যকার ব্যক্তিগত বন্ধনও। এ দুই যুবরাজই মূলত তাদের দেশ শাসন করেন এবং তাদের লক্ষ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এ কারণে বহু বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বিষয়ে গভীর সহযোগিতা বজায় ছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বিদেশিদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করলো সরকার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আগমনী (অন-অ্যারাইভাল) ভিসা স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা এ নিয়মের বাইরে থাকবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এ নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে গত ১৬ জুন এক চিঠিতে শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী ছাড়া সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আগমনী (অন-অ্যারাইভাল) ভিসা প্রদান স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, অনেক ব্যক্তি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে আগমনী ভিসা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী আগমনী ভিসা প্রদান স্থগিত থাকায় তারা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে অনেকেই বিমানবন্দর থেকে ফেরত যেতে বাধ্য হন।

এর আগে মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৫ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘ভিসা অন-অ্যারাইভাল’ সুবিধা স্থগিত করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ফান্ডে টাকা স্থানান্তরে সময় চায়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা ফান্ডে টাকা স্থানান্তরের জন্য সময় চেয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফোরাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি)। গত বুধবার শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ সময় চেয়েছে সংগঠনটি। বিএপিএলসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।

এর আগে গত ৬ জুলাই বিএসইসি এক নির্দেশনায় সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ব্রোকারহাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের কাছে থাকা (যদি থেকে থাকে) অদাবিকৃত লভ্যাংশ, অবণ্টিত লভ্যাংশ, আইপিওর রিফান্ড প্রভৃতি শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে জমা দেয়ার কথা বলে। বিএসইসির নির্দেশনায় টাকা জমা দেয়ার জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।

বিএপিএলসি এই টাকা জমা দেয়ার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছে। তবে কতদিন সময় প্রয়োজন তা তারা উল্লেখ করেনি।

সংগঠনটির মতে, দুটি কারণে তাদের বাড়তি সময় দেয়া দরকার। প্রথমত, এ ধরনের টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডার/সিকিউরিটিহোল্ডার অথবা তাদের নমিনিকে ৩০ দিনের আগাম নোটিস দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইপিওর সাবস্ক্রিপশনের টাকা রিটার্নের ক্ষেত্রে বহু বছরের পুরনো নথিপত্র ঘাঁটতে হবে। তাই ৩০ জুলাইয়ের মধ্য কাজটি করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছর শুরুর দিকে বিএসইসি আলোচিত ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২১ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি নোটিশিকেশন জারি করে বিএসইসি। গত ৩ মে অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭৭২তম নিয়মিত কমিশন সভায় ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড নামে ওই ফান্ড গঠন ও পরিচালনা-সংক্রান্ত বিধিমালা অনুমোদন করা হয়। গত ২৭ জুন এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।

তহবিল থেকে বাজারের মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানকে শেয়ার কেনাবেচা করা তথা বিনিয়োগের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয়া হবে। শেয়ার কেনাবেচা করতে গিয়ে যাতে তহবিলের কোনো লোকসান না হয়, সেজন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করা হবে; থাকবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অডিট কমিটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

দাম বেড়েছে চালের, কমেছে মুরগি-সবজির

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে ১৪ দিনের ‘বিধি-নিষেধ’ বা ‘কঠোর লকডাউন’। নবম দিনের লকডাউনে প্রভাব পড়েছে কাঁচা-বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চলের। কিন্তু দাম কমেছে মুরগি ও সবজির।

অপরদিকে, অপরিবর্তিত রয়েছে অন্য পণ্যের দাম। চাল বিক্রেতারা বলছেন, বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়াও বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ক্রেতা কম আসায় সবজির ও মুরগির দাম কমেছে।

শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির কেজিতে দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে প্রতি কেজি বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ভেন্ডি ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৫০ টাকা,

এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। পিয়াজে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারে সবজি বিক্রেতা আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউনের আগে সবজির দাম বেড়েছিল। লকডাউনে বাইরে থেকে বাজারে অন্য পাইকার ঢুকতে না পারায় সবজির দাম কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে নোয়াখালী ও চাঁদপুরের পাইকাররা বাজারে সবচেয়ে বেশি সবজি সাপ্লাই করে থাকে। বাজারে ক্রেতা কম আসায় এখনও সবজির দাম কম।

এছাড়াও শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, আদার দাম বেড়ে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।

বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। দাম বাড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা আমিন হোসেন বলেন, বন্যা বৃষ্টি ও করোনার কারণে বেড়েছে চালের দাম। বাজারে চালের দাম বাড়ার মূলত এই তিনটি কারণ। চালের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামীতে চালের দাম আরো বাড়তে পারে।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম বেড়ে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি ২৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, লকডাউন এর কারণে বাজারে ক্রেতা কম আশায় মুরগির দাম কমেছে। সামনে কোরবানির ঈদের বাজার। ঈদবাজারে মুরগির দাম আবারও বাড়তে পারে।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আহমেদ

তিনদিন বন্ধ থাকবে বীমা অফিস

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে চলমান লকডাউনে বীমা খাতেও ৩ দিন অফিস বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। একইসঙ্গে অফিস খোলা রাখার সময়সীমা ৩০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

নতুন এই নির্দেশনা অনুসারে, আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ লকডাউন চলাকালে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ রোববারও বন্ধ থাকবে বীমা কোম্পানিগুলোর অফিস। প্রধান কার্যালয় ও জরুরি গুরুত্বপূর্ণ শাখা অফিস সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেন সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সাপ্তাহিক দর বাড়ার শীর্ষে সোনালী লাইফ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সমাপনী দরের ভিত্তিতে সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড।

সপ্তাহ শেষে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ৩১ দশমিক ১১ শতাংশ দর বেড়েছে।

দর বৃদ্ধির তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির ২৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ দর বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ২৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে আমান ফিড লিমিটেড। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়ে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড। তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। ১৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে আইটি কনসালট্যান্টস লিমিটেড। তালিকায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে রেকর্ড

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। মহামারি করোনার এই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েছে। মানুষ ঘরে বসেই বিভিন্ন লেনদেন সারছেন। ফলে প্রতি মাসেই লেনদেনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সর্বশেষ মে মাসেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। ওই মাসে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় দুই হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। মূলত করোনার সংক্রমণ রোধে বিধি-নিষেধ আরোপ ও রোজার ঈদের কারণে মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে এই উল্লম্ফন হয়।

দ্বিতীয় দফায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত এপ্রিল থেকেই সারা দেশে বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। রোজার ঈদের আগে বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করে বিপণিবিতানগুলো সীমিত সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে রোজার ঈদের পর পর্যন্ত দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখা হয়। ফলে ওই সময় পরিবার-পরিজনের কাছে টাকা পাঠানোসহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বেশি হয়। এতে বেড়ে যায় লেনদেনের পরিমাণও। শুধু লেনদেনই নয়, এই সেবায় গ্রাহকও বাড়ছে দ্রুতগতিতে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, তাৎক্ষণিক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, শহর থেকে গ্রামে বা গ্রাম থেকে শহর সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুবিধার কারণে সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং। শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন নতুন সেবাও মিলছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব সুবিধার কারণে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছে। চলতি বছরের মে মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩১ হাজার। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলের গ্রাহক রয়েছে পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ৪২ হাজার। আর শহরের গ্রাহক তিন কোটি ৯৪ লাখ ৮৩ হাজার। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৬৭১ জন।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, মে মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৭১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ২৯৮ কোটি টাকা, যা একক মাস ও দৈনিক লেনদেনে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর আগের মাস এপ্রিলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয় ৬৩ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। আর দৈনিক লেনদেন হয় দুই হাজার ১১৫ কোটি টাকা, যা এখন পর্যন্ত একক মাস হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। আর গত বছরের জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৬২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। ওই মাসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৩২ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয় ৪৭ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। ওই মাসে দৈনিক লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় টাকা জমা পড়ে (ক্যাশ ইন) ১৯ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। আর ১৯ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়। রোজার ঈদ থাকায় মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কেনাকাটার বিলও পরিশোধ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মাসে তিন হাজার ৬৫০ কোটি টাকা কেনাকাটা বিল পরিশোধ করেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা। এর আগের মাস এপ্রিলে কেনাকাটার বিল পরিশোধ ছিল দুই হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে ব্যক্তির হিসাব থেকে আরেক ব্যক্তির হিসাবে ২১ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা পাঠানো হয়। এ ছাড়া মে মাসে কর্মীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয় দুই হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ হয় এক হাজার ১০৭ কোটি টাকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

করোনা পরিস্থিতিতে পতন এশিয়ার শেয়ারবাজারে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

এশিয়া অঞ্চলে খারাপ হচ্ছে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এশিয়ার শেয়ারবাজারেও। আজ শুক্রবার বেশির ভাগ শেয়ারবাজারেই সূচক কমেছে।

জাপানের শেয়ারবাজারের নিকেই সূচক কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। টোকিও শেয়ারবাজারের টপিক্স সূচক কমেছে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দেশটিতে কোভিড-১৯–এর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জাপান সরকার। এ অবস্থায় টোকিওতে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। জরুরি অবস্থা আগামী ২২ আগস্ট অবধি চলবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি সূচক কমেছে ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপের তথ্য অনুযায়ী, আজ থেকে সিওলের ৪ স্তরের কঠোর সামাজিক দূরত্বের নিয়ম স্থাপন করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান সূচকও কমেছে। এএসএক্স ২০০ সূচকটি কমেছে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এটির ক্ষেত্রেও মূল প্রভাব করোনা। সিডনি কর্তৃপক্ষ এই সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা করে যে কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হবে।

চীনের শেয়ারবাজারও ছিল আজ পতনের ধারায়। সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ। শেনজেং কম্পোনেন্ট কমেছে ১ দশমিক শূন্য ২৯ শতাংশ। তবে বেড়েছে হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচক। এই সূচকটি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের জিনজিয়ানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হাইটেক নজরদারি করার অভিযোগে মার্কিন বাইডেন প্রশাসন তার অর্থনৈতিক কালো তালিকায় আরও বেশি চীনা সংস্থাগুলো যুক্ত করবে। এই সংবাদ আগামী দিনের লেনদেনে শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/