ইউনিয়ন ব্যাংকের নব গঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা অনুষ্ঠিত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

১৬জুন, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংকপিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভা ব্যাংকের প্রধানকার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাবমুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সর্বজনাব শফিউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ ইকবাল কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের ব্যবসা বাণিজ্য, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ আদায়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

মূলধন বাড়াতে ৬০ তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে চিঠি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আবারও ৬০টি তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে স্পষ্ট রোডম্যাপ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে, যেখানে উল্লেখ থাকবে তারা কীভাবে শেয়ারবাজারের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত থাকার জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ করবে।

ঈদুল আজহার ছুটির আগে কমিশন এই সংক্রান্ত চিঠি কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠিয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এর তালিকাভুক্তি বিধি অনুযায়ী, কোনো কোম্পানিকে মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত থাকতে হলে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। এই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে তা সিকিউরিটিজ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিএসইসির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কমিশন আগেও এসব কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগই তা মানেনি। এবার আমরা আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূলধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে, সেগুলোকে এসএমই বা অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)-তে স্থানান্তর করা হতে পারে।”

তবে প্রতিটি কোম্পানির ব্যাপারে আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা যেসব রোডম্যাপ জমা দেবে, তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে এবং কমিশন তাদের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে।

তিনি জানান, কিছু বহুজাতিক কোম্পানিও এই তালিকায় রয়েছে, তবে তাদের পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকায় তারা সহজেই এই শর্ত পূরণ করতে পারবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

“নিয়ম অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে আমরা কোনো স্বল্প পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি দেখতে চাই না, কারণ এতে বাজারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়,” বলেন ওই কর্মকর্তা।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন তহবিল সংগ্রহসহ বিভিন্ন উপায় রয়েছে মূলধনের শর্ত পূরণ করার। যদি কোনো কোম্পানি নতুন তহবিল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়, তবে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“আমরা এমন কোম্পানিগুলোকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করতে পারি। আর যদি কোনো কোম্পানি এসএমই প্ল্যাটফর্মের যোগ্য না হয়, তাহলে আরও বিকল্প খুঁজে দেখা হবে,” তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, স্বল্প মূলধনের শেয়ারগুলো সাধারণত অত্যন্ত অস্থির হয় এবং কিছু অসাধু বিনিয়োগকারী এগুলোতে কারসাজি করে থাকেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র স্টক ডিভিডেন্ড ইস্যু করে মূলধনের শর্ত পূরণ করা যাবে না, কারণ এতে মূলধন বাস্তবে বাড়ে না, শুধু শেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কমিশন চায় কোম্পানিগুলো বাস্তব অর্থ সংগ্রহ করুক এবং তাদের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করুক।

এর আগে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কমিশন ৬৪টি কোম্পানিকে মূল বোর্ডে থাকার জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

সে বছর কমিশন একটি কমিটি গঠন করে এসব কোম্পানির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এবং স্বল্প মূলধনের কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের উপায় খুঁজতে বলা হয়।

চিঠি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়।

এই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটির নিচে, ১৫টি কোম্পানি ১০ কোটির নিচে, ২১টি কোম্পানি ২০ কোটির নিচে এবং বাকি কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটির নিচে রয়ে গেছে।

এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে কিছু ভালো পারফর্ম করছে, তবে অনেকেই লোকসানে রয়েছে এবং কিছু কোম্পানি তাদের কারখানা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। তবুও কিছু কোম্পানির শেয়ারমূল্য অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে, যার পেছনে কোনো গ্রহণযোগ্য তথ্য বা কারণ নেই—এ নিয়ে বিনিয়োগকারী ও বাজার বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বল্প মূলধনের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ার অত্যন্ত অস্থির হয়ে পড়ে। কিছু বিনিয়োগকারী এতে লাভবান হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।

এছাড়া অনেক কোম্পানির প্রবর্তক ও পরিচালকগণ এই পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এবং পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে অনাগ্রহী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

৬ দিনে যমুনা সেতুতে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা টোল আদায়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আজও ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছে মানুষ। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। গত দুইদিনে যমুনা সেতুর উপর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, বিকল ও দুর্ঘটনার ফলে যমুনা সেতুর দুই পাশেই যানজট ও ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঢাকামুখী মানুষদের।

এদিকে যমুনা সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের পরিমাণ। যমুনা সেতুতে গত ৬ দিনে সেতুর ওপর দিয়ে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ১৫২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা।

এছাড়া যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৯ হাজার ১৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ২২ হাজার ৮০০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীত টোল আদায় ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

৯ ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারের সদস্যভুক্ত সাতটি ব্রোকারেজ হাউজ ও দুটি মার্চেন্ট ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে তিন সদস্য করে পৃথক ৯টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে, এর একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো সিটি ব্রোকারেজ, শান্তা সিকিউরিটিজ, জয়তুন সিকিউরিটিজ, ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, কে এইচ বি সিকিউরিটিজ, কর্ডিয়াল সিকিউরিটিজ ও ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ। আর মার্চেন্ট ব্যাংকের মধ্যে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, গঠিত পরিদর্শন কমিটি স্টক-ব্রোকার এবং স্টক-ডিলারের সামগ্রিক কার্যক্রম তদন্ত করবে। সেই সঙ্গে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে কি না, তা যাচাই করে দেখা হবে। এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

জুনের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১১৫ কোটি ডলার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১১৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৪ হাজার ১৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)।

রবিবার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তথ্য অনুযায়ী, জুনের প্রথম ১৪ দিনে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে ৮ কোটি ২০ লাখ ৭১ হাজার ৪২৯ ডলার। এ প্রবাসী আয় গত মে মাসের চেয়ে কিছুটা কম।

তথ্য বলছে, মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৬ ডলার। আর আগের বছরের জুন মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছিল ৮ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।

প্রতি ঈদের আগেই প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠায়। ঈদুল ফিতরের আগে রোজার শুরু থেকে বেশি বেশি প্রবাসী আয় পাঠান প্রবাসীরা। ঈদুল ফিতরের পর প্রবাসী আয় কিছুটা কমে। পরের মাসেই আবার আগের বাড়তি ধারাতে ফিরে যায়। একইভাবে ঈদুল আজহার আগে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, আবার ঈদের পরে তা কিছুটা কমে। সে হিসাবে এবার কিছুটা কমেছে। জুনের শেষের দিকে আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

মামুন এগ্রোর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এসএমই খাতের কোম্পানি মুন্নু এগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে মুন্নু এগ্রো প্রোডাক্টস পিএলসি রাখা হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলেই এই নাম পরিবর্তন করতে পারবে কোম্পানি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

দেশের খেলাপি ঋণ বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।

দেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যা গত ডিসেম্বর শেষে ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকেই শ্রেণিকৃত ঋণ বা খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা। মার্চ শেষে মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে। মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তিন মাস আগে তা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা। গত মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মোট ঋণের ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। তিন মাস আগে তা ছিল ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ হয়েছে। গতকাল প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই জায়গা থেকে আজ তা প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অদক্ষ তদারকি ও শিথিল নীতির ফলে এই চিত্র তৈরি হয়েছে। এতদিন ধরে ঋণ পুনঃতফসিল, ভুল নীতিমালার কারণে রাজনৈতিক প্রভাবে অনেক খেলাপিকে নিয়মিত হিসাব দেখানো হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সুবিধাগুলো স্থগিত হলে বাস্তব চিত্র বেরিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়লেও কমেছে ঋণ বিতরণ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মাত্র ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ বিতরণ কমলেও প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত ডিসেম্বর শেষে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ শেষে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। একই সময়ে বেড়েছে মন্দ ঋণের পরিমাণও। মার্চ শেষে মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে মন্দ ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।

তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। যা তৎকালীন বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য এবার মধ্যপ্রাচ্যের ৪ রুটে বিমানের ভাড়া কমলো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশি শ্রমিকদের (রেমিট্যান্স যোদ্ধা) বিদেশগমনে সহায়তা করতে এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত ও কাতার রুটে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ রেয়াতি ভাড়া চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

জাতীয় পতাকাবাহী এই সংস্থা ইতোমধ্যে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াগামী বহির্গামী ফ্লাইটে ‘টি’ শ্রেণির রিজারভেশন বুকিং ডিজাইনের (আরবিডি) আওতায় এ সুবিধা দিয়ে আসছে।

বিশেষ রেয়াতি ভাড়ায় নতুন এ রুটগুলো যুক্ত হওয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিমানের সহায়তা আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি। দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এসব শ্রমিকদের ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

সোমবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশগামী বাংলাদেশি শ্রমিকরা একমুখী যাত্রায় এই সুবিধা পাবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে যেসব প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তাদের জন্য আকাশপথে সাশ্রয়ী ও নিরবিচ্ছিন্ন যাত্রা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক ভ্রমণের মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আগামী দিনগুলোতেও তাদের চাহিদাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে বিমান।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কর্মরত লাখ লাখ প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত।

সূত্র : বাসস।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম; ২য় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার দিনশেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এদিন কোম্পানিটির ২৩.৭০ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

বিচ হ্যাচারির ১৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- অগ্নি সিন্টেমসের ১২ কোটি ৫৮ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১১ কোটি ৭২ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৭ কোটি ৬৪ লাখ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৭ কোটি ১৮ লাখ, সী পার্লস হোটেলের ৭ কোট ১০ লাখ, বিএসসির ৭ কোটি ৫লাখ ও ওআইমেক্স ইলেক্ট্রোডসের ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসবি

  1. লাভেলো আইসক্রিম
  2. ব্র্যাক ব্যাংক
  3. বিচ হ্যাচারি
  4. অগ্নি সিন্টেমস
  5. স্কয়ার ফার্মা
  6. ওরিয়ন ইনফিউশন
  7. মিডল্যান্ড ব্যাংক
  8. সী পার্লস হোটেল
  9. বিএসসি
  10. ওআইমেক্স ইলেক্ট্রোডস।