মালিকানায় আসছে চীনা ২ স্টক এক্সচেঞ্জ : চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

dseস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

এক হাজার ২৯০ কোটি টাকার বিনিময়ে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মালিকানায় আসছে চীনের সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ।

আজ শনিবার ডিএসই’র বোর্ড সভায় চীনা এ প্রতিষ্ঠান দুটিকে মনোনীত কর‍া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী।

তিনি বলেন, গত বোর্ড সভায় প্রতিষ্ঠান দুটির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। শনিবার বোর্ড সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) কাগজপত্র পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএসই’র মালিকানায় বিদেশি কোম্পানি আসলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন। এতে ডিএসই কারিগরিভাবে শক্তিশালী হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবেও মর্যাদা পাবে। যা দেশের শেয়ারবাজারে নতুন দিগন্ত খুলবে।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের মূল উদ্দেশ্য ছিলো ডিএসই’র মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করা, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে মালিকানা দেওয়া। সেই লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন করা হয়। আইনে শতভাগ মালিকানা থেকে ডিএসই’র বর্তমান সদস্যদের মালিকানা রাখা হয় ৪০ শতাংশ। বাকি ৬০ শতাংশের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয় ৩৫ শতাংশ শেয়ার। সেখানে ডিএসই’কে ১৮০ কোটি শেয়ারে কনভার্ট করা হয়।

এদিকে, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের হিস‍েবে ডিএসই’র ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার ২২ দামে ৯৯০ কোটি টাকায় কিনতে প্রস্তাব দেয় চীনা প্রতিষ্ঠান দুটি। পাশাপাশি ডিএসই’র কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা (৩৭ মিলিয়ন ডলার) খরচ করবে বলে প্রস্তাব আসে। সব মিলে দাঁড়ায় এক হাজার ২৯০ কোটিরও বেশি টাকায়।

এর তিন মাস আগে কৌশলগত বিনিয়োগকারী পেতে ডিএসই দরপত্র আহবান করে। উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা, ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসা উন্নয়নে পরামর্শক সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে করা এই দরপত্রে সাড়া দেয় চীনের এই দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম। তাদের সঙ্গে ভারত, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি কনসোর্টিয়ামও প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সাংহাই ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবই আকর্ষণীয়।

চীনের প্রধান তিনটি স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে সাংহাই ও শেনজেন রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে। বাজার মূলধনের দিক থেকে বিশ্বের সেরা ১০টি স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাতেও রয়েছে তারা।

সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন দুই দশমিক দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অপরদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন চার লাখ ১৩ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

পরিবারের ৪ জনকে বোর্ডে থাকার সুযোগ কার্যকরের নির্দেশ

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারের চার সদস্যের থাকার সুযোগ দিয়ে করা সংশোধিত আইন অনুযায়ী ব্যাংক পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ০৪ নং আইন) ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছে এবং একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

উক্ত আইনের ধারা অনুযায়ী ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩, ধারা ৭, ধারা ৮, ধারা ১৫, ধারা ১৫কক, ধারা ১০৯ এবং ধারা ১১৮-এর বিধানগুলোয় কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

“পরিবর্তিত বিধানগুলোর নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি ও পরিপালন নিশ্চিত করতে ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮ এর গেজেট মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হল।”

এছাড়া প্রত্যেক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮ অবগতির লক্ষ্যে উপস্থাপনের জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।

গত ১৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বাইরে সমালোচনা এবং সংসদে বিরোধীদলীয় সদস্যদের ওয়াকআউটের মধ্যে সংশোধন হয় ব্যাংক কোম্পানি আইন, এতে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারের চার সদস্যের থাকার সুযোগ তৈরি হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০১৮ পাসের প্রস্তাব করলে এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

তার আগে বিলের উপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়। এসময় ওয়াকআউট করেন জাতীয় পার্টির সদস্যরা।

বিরোধী দলীয় সদস্যদের অভিযোগ, সংশোধিত আইন দেশের ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করবে।

আইনে এই সংশোধন ব্যাংকগুলোকে ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের পথ তৈরি করবে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

অ্যাডভেন্ট ফার্মার আইপিও আবেদন শুরু রবিবার

adventস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সদ্য অনুমোদন পাওয়া অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শুরু হবে আগামী রবিবার অথাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি। আবেদন চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। আর উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ক্রয়, ভবন নির্মান এবং আইপিওর খরচ বাবদ ব্যয় করবে বলে জানাগেছে।

এদিকে, ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১২ টাকা ৪৫ পয়সা। এছাড়া, বিগত চার বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) গড় হারে হয়েছে ৯১ পয়সা।

কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড, আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম এ্যাডভাইজরি লিমিটেড।

উল্লেখ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬২২তম সভায় এ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

সংশোধিত আইনে ব্যাংক চালানোর নির্দেশ

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকএখন থেকে সংশোধিত আইন অর্থাৎ ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’অনুযায়ী ব্যাংক পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮ ’(২০১৮ সনের ০৪ নং আইন) ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছে এবং একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। ওই আইনের ধারা অনুযায়ী ‘ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১’-এর ধারা ৩, ধারা ৭, ধারা ৮, ধারা ১৫, ধারা ১৫কক, ধারা ১০৯ এবং ধারা ১১৮-এর বিধানগুলোয় কিছু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

পরিবর্তিত বিধানগুলোর নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি ও পরিপালন নিশ্চিত করণার্থে ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’-এর গেজেট মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হল। এছাড়া প্রত্যেক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ অবগতির লক্ষ্যে উপস্থাপনের জন্যও পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের আমানত কমে যাওয়ার অভিযোগ সংসদে

Perlamentস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যংকগুলোর আমানত ক্রমাগত কমে যাচ্ছে বলে সংসদে অভিযোগ তুলেছেন সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণ। বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ অভিযোগ তুলেন। তবে বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে প্রশ্নের জবাবে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অভিযোগটি সঠিক নয়। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে গত নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের ছয়টি বণিজ্যিক ব্যাংকের আমানতের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এসব ব্যাংকের সংরক্ষিত আমানতের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ১৭ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা আমানত বেড়েছে।

বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, একজন নাগরিকের বাৎসরিক আয় আড়াই লাখ টাকা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আয়কর দিতে হয়। এ বিবেচনায় কোনো কোটিপতির করের বাইরে থাকার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমান প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ নাগরিক আয়কর দিয়ে থাকেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মাথাপিছু জাতীয় আয়ের পরিমাণ এক হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৪০১ টাকা। দেশের আয় বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ প্রতিবন্ধকতা যেমন-বিদ্যুৎ, গ্যাস প্রাপ্তিতে বিলম্ব, বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকরণে প্রতিষ্ঠানিক জটিলতা, নিষ্কটক জমির অভাব, ঋণের উচ্চ সুদের হার ইত্যাদি বাধা অপসারণে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, রেকর্ড ও রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি আধুনিকায়নের কার্যক্রম দ্রুততর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের পাশাপাশি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ ও আমানত ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সম্পদ, ঋণ ঝুঁকি, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিপালন, মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত গাইড লাইন জারি করেছে এবং প্রতিনিয়ত নির্দেশনা মানছে কিনা তা প্ররিদর্শন করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে সমগ্র ব্যাংকিং খাতে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ৩০৭ টাকা। এ ঋণের বিপরীতে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩ হ্জাার ১১০ কোটি টাকা, যার হার ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের বোর্ড সভা ১৮ ফেব্রুয়ারি

Reliance-Insuranceস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের বার্ষিক বোর্ড সভা আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি আহবান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় বিমাটির ২০১৭ সালের নিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় বার্ষিক ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

এই সভায় প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

  1. স্কয়ার ফার্মা
  2. গ্রামীন ফোন
  3. মুন্নু সিরামিকস
  4. ন্যাশনাল ব্যাংক
  5. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  6. ফার্মা এইডস
  7. বিবিএস ক্যাবলস
  8. বেক্স ফার্মা
  9. ওসমানিয়া গ্লাস
  10. প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

ডিএসইতে ৩০০ ও সিএসইতে ৪৭ কোটি টাকার লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিন শেষে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। এদিন সেখানে সূচকের উত্থান হয়েছে। অন্যদিকে এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন ও সূচক দুটোই রেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯.২৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৯৬৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯.৩৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২২২৫ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হয়েছে ৩০০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৯৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৮৫টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৯০টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো – স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীন ফোন, মুন্নু সিরামিকস, ন্যাশনাল ব্যাংক, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, ফার্মা এইডস, বিবিএস ক্যাবলস, বেক্স ফার্মা, ওসমানিয়া গ্লাস ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড।

এদিকে দিনশেষে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪৫.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১২৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ৭৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।

এদিন টাকায় লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে গ্রামীন ফোন ও লংকা বাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর বাড়ার কারণ নেই

megnaস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ারের দর বাড়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। বৃহস্পতিবার ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ার ১৬.৬০ টাকায় সর্বশেষ লেনদেন হয়। যা গতকাল ৭ জানুয়ারি ৩৪.৯০ টাকা ছিল। এই সময় এ কোম্পানিটির শেয়ারের দর টানা বেড়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে গতকাল আগষ্ট ডিএসই নোটিস পাঠায়। এর জবাবে মেঘনা কনডেন্সড লিমিটেড জানায়, কোনো রকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘিরে মতিঝিল ফাঁকা

dse-1-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় ঘিরে ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলে মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে হাতে গোনা কয়েকজন বিনিয়োগকারী দেখা যায়। ব্যাকংগুলোর চিত্রও একই।

বৃহস্পতিবার সকালে মতিঝিলের ডিএসই ভবন, এনেক্স ভবন, মধুমিতা ভবন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী, জনতা ব্যাংকসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে এ দৃশ্য দেখা গেছে। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃর্পক্ষ আইডিআরএ’সহ বিমা কোম্পানিগুলোতও লোকজনের উপস্থিত কম।

বিনিয়োগকারীরা জানায়, দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক এ এলাকা কর্মদিবসে লোকজনে ঠাসা থাকলেও বৃহস্পতিবার পুরো উল্টো চিত্র। ব্রোকারেজ হাউজ লংকা বাংলা, শাকিল রিজভী এবং আনোয়ার সিকিউরিটিজের বেশির ভাগ চেয়ার ফাঁকা দেখা যায়। যে দু’একজন ব্রোকারেজ হাউজে আসছেন তারা শেয়ার কেনা-বেচার চেয়ে খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে আতংকে রয়েছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ