প্লাস্টিক খাতের উন্নয়নে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্লাস্টিক খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে টেকসই রপ্তানি বৃদ্ধি: প্লাস্টিক খাতের কৌশল নির্ধারণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। উদ্যোক্তাদের দক্ষতাও বাড়ছে। সরকার দেশের বেসরকারি খাতের অগ্রগতির জন্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের সহায়তায় আমরা সব সমালোচনা মোকাবিলা করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে পেরেছি।’

তিনি বলেন, এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি প্লাস্টিক খাতের সার্বিক উন্নয়নে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। এ খাতের উন্নয়নে শুল্ক্কমুক্ত সুবিধা সম্প্রসারণ, অন্যান্য প্রণোদনা প্রদান, রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণের মাশুল কমানো এবং সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ওপর তিনি জোর দেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে প্লাস্টিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাতের বিকাশে নীতি সহায়তা, বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন, উৎপাদিত পণ্যের পেটেন্ট স্বত্ব, নতুন পণ্য উদ্ভাবন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, এসএমইর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহে নজর দিতে হবে। কারণ এসব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, দেশের জিডিপিতে প্লাস্টিক খাতের অবদান ০.৩৩ শতাংশ। এ খাতের মাধ্যমে দেশে প্রায় ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের অংশ ০.৬ শতাংশ। তবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

মূল বক্তব্যে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্লাস্টিক খাতের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। এ খাতের স্থানীয় বাজারের পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবছর প্রায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়ছে রপ্তানি।

ওয়েবিনারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (অডিট কাস্টমস) ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিক পণ্যের স্থানীয় চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের মাধ্যমে মেটানো হয়ে থাকে। রপ্তানি বহুমুখীকরণ, মূল্য সংযোজনশীল পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরণের তাগিদ দেন তিনি।

প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্লাস্টিকের পণ্য পুনর্ব্যবহারে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। বাংলাদেশের উৎপাদিত প্লাস্টিকের পণ্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এলডিসির কাতার থেকে বের হওয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে পণ্য উৎপাদন ব্যয় কমানো দরকার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, প্লাস্টিক খাতের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা এবং সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো ; ২য় প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার।

আইপিডিসি লিমিটেড ৩১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জেনেক্স ইনফোসিসের ২৮ কোটি ৩৮ লাখ, ফরচুন সুজের ১৯ কোটি ৬৪ লাখ, লাফার্জ হোলসিম বিডির ১৮ কোটি ৫৮ লাখ, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলসের ১৮ কোটি ৪৪ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১৩ কোটি ৬২ লাখ, বিডিকম অনলাইনের ১২ কোটি ১৯ লাখ ও জেমিনী সী ফুডস লিমিটেডের ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স
  3. আইপিডিসি
  4. জেনেক্স ইনফোসিস
  5. ফরচুন সুজ
  6. লাফার্জ হোলসিম বিডি
  7. সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস
  8. স্কয়ার ফার্মা
  9. বিডিকম অনলাইন
  10. জেমিনী সী ফুডস লিমিটেড।

ডিএসইতে বাড়লেও সিএসইতে লেনদেন কমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকগুলো বেড়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১.২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬৬৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৬.২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৪৫৮ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২১৭টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১১০টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫২টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, আইপিডিসি, জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ, লাফার্জ হোলসিম বিডি, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস, স্কয়ার ফার্মা, বিডিকম অনলাইন ও জেমিনী সী ফুডস লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৪২.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১১০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও বিএসআরএম লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

অর্থপাচার নিয়ে সিআইডিকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশে অর্থপাচার বিষয়ে পানামা এবং প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ কমিটিতে আগামী ১৫ মে-এর মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসময়ের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৬ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস।

রোববার (১০ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস জানান, গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পানামা এবং প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সাত সদস্যের একটি কমিটি করেছে সিআইডি। ওইদিন আদালত এ কমিটিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়া এ বিষয়ে ১০ এপ্রিল পরবর্তী আদেশ ও শুনানির তারিখ রেখে এসময়ের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন আদালত। তারই ধারাবাহিতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

কমিটিতে সিআইডির (অর্গানাইজড ক্রাইম) উপ-মহাপরিদর্শককে সভাপতি ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপারকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন—সিআইডির দুজন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুদক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিএফআইইউ’র দুজন প্রতিনিধি এবং সিআইডির লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থা, বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করবে। অর্থপাচার মামলায় অনুসন্ধান বা তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের আগে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে এবং সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

গত ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএফআইউ-এর প্রতিবেদন দাখিলের পর এ আদেশ দেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা চার মাসে দেড় লাখ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি অর্থবছরের শেষ চার মাসে (মার্চ-জুন) দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় করতে হবে। কিন্তু প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায় হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে বাকি আছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। প্রতি মাসে গড়ে ৩৮ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক, অগ্রিম করসহ বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করতে হবে। শুল্ক-কর আদায়ে এনবিআরের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় এনবিআরের লক্ষ্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে ৩ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে শেষ চার মাসে প্রতি মাসে গড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে। এক মাসের হিসাবে এনবিআর কখনো এত শুল্ক-কর আদায় করতে পারেনি।

এনবিআরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে রাজস্ব আদায়ের ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে তিন লাখ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আদায় হবে। কোভিডের প্রভাব কমে আসায় ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হচ্ছে। আবার আমদানি পর্যায়ে অন্য বছরের তুলনায় শুল্ক-কর বেশি আদায় হচ্ছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্ক বাড়ানোর ফলে এবার আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর আদায় বেড়েছে।

আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের শুল্ক-কর আদায় করে এনবিআর। এ ছাড়া আয়করও এখন রাজস্বের বড় খাত। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক খাত থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ খাতে আদায় হয়েছে ৬৬ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এই খাতে গতবার একই সময়ে আদায় হয়েছিল ৫৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

এর পরের স্থানেই আছে আমদানি পর্যায়ে আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক খাত। এই খাতে আট মাসে আদায় হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি। এই খাতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ। আয়করসহ প্রত্যক্ষ কর খাতে আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৩০৮ কেটি টাকা। এই খাতে প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ। তবে করোনার সংকট কাটিয়ে ভ্রমণ স্বাভাবিক হতে চলেছে। তাই ভ্রমণ কর আদায়ে ১৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ খাতে এখন পর্যন্ত ৪৫৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রতনপুর স্টিলের কারখানা বন্ধ পেল ডিএসই

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রতনপুর স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানা বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি কোম্পানিটির কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে বন্ধের চিত্র দেখতে পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

গত ২৩ মার্চ কোম্পানিটির কারখানা বন্ধের এ তথ্যটি বিএসইসিকে জানায় ডিএসই। ডিএসই জানায়, রতনপুর স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে যান তারা। এসময় ডিএসই কর্মকর্তারা কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ দেখতে পান।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

ডরিন পাওয়ারের বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন এন্ড সিস্টেমস লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিক বোর্ড সভা আগামী ১৭ এপ্রিল আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় কোম্পানিটি চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা ২:৩০ টায় রাজধানী মহাখালীতে অবস্থিত নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

স্টার এ্যাডহেসিভের আবেদন চাহিদার চেয়ে ২৩ গুণ বেশি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাতের কোম্পানি স্টার এডহেসিভ লিমিটেডের ইলেক্ট্রোনিক্স সাবক্রিপশনে চাহিদার তুলনায় ২৩গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্রটি জানায়, কোম্পানিটি ৫ কোটি টাকার সাবক্রিপশন আহবান করলেও এর বিপরীতে ১১৩ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। যা মোট চাহিদার তুলনায় ২২.৬৫গুণ বেশি।

এই সাবস্ক্রিপশনে মোট ৩৩৩টি প্রতিষ্ঠান কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সম্প্রতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাতের কোম্পানি কৃষিবিদ সিডের সাবস্ক্রিপশনে মাত্র ৭২টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এই কোম্পানির চেয়ে ৪গুণ বেশি কোয়ালিফাইড প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী স্টার এডহেসিভে অংশগ্রহণ করে।

গত ২৭ মার্চ থেকে স্টার এডহেসিভ লিমিটেডের সাবক্রিপশন শুরু হয়। কোয়ালিফাইড প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এই সাবস্ক্রিপশনে অংশগ্রহণ করতে পারে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮১২তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির কিউআইও অনুমোদন দেওয়া হয়।

স্টার এডহেসিভ লিমিটেড প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

জানা যায়, কোম্পানির পুঁজি উত্তোলন করে কারখানা মেরামত, চলতি মূলধন, ঋণ পরিশোধ এবং ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে।

কোম্পানিটির ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬.০৫ টাকা এবং পুনঃমূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২.৫৬ টাকা।

স্টার এডহেসিভ লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পূবালী ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা বোর্ড শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ অর্থবছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটি।

এ সময়ে ব্যাংকটির কনসোলিডেটেড শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪.২৩ টাকা। একই সময়ে কনসোলিডেটেড শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৮.৬৯ টাকা।

ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ মে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আর