বৈষম্য কমাতে প্রয়োজন প্রবৃদ্ধির গুণগতমানের উন্নতি : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

deboprioস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেলেও আয় বৈষম্য, সম্পদের বণ্টন বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমছে না। ফলে প্রবৃদ্ধির গুণগতমানের উন্নতি না হলে সম্পদের বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমবে না।

শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০১৭-১৮; প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন মতামত তুলে ধরেন অর্থনীতিবিদরা।

সিপিডি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ বিগত দশক ধরে শোভন প্রবৃদ্ধির হার ধরে রেখেছে। এই শোভন প্রবৃদ্ধির ভেতরে অন্ধকার রয়েছে, তা হলো- কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়নি, দারিদ্র্য কমেনি। এর ফলে দারিদ্র্য, সম্পদের বৈষম্য ও ভোগের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা হয় না, বড় বড় প্রকল্পের টাকা অন্যত্র পাচার করা হয়।

তিনি বলেন, আগে আমরা প্রবৃদ্ধির পরিমাণ নিয়ে চিন্তিত থাকতাম। এখন প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগতমান নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। কারণ, আমাদের প্রবৃদ্ধি গরিব মানুষকে উপরে তুলতে পারছে না। গুণগতমান ছাড়া প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেলে ক্রমাগত বৈষম্য বৃদ্ধি পায়।

দেশের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে দুর্বল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে একটা প্রতিশ্রুতির ভেতর দিয়ে বছর শুরু হয়েছে।  কিন্তু শেষে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাইনি।

প্রবৃদ্ধির গুণগতমান বৃদ্ধি না পাওয়ার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আসা কমে যাওয়া। ফলে গ্রামাঞ্চলে ভোগের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিকভাবে বলা চলে, দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বছর শেষে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

২০১৭ সালকে ব্যাংকিং খাতের কেলেঙ্কারির বছর উল্লেখ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ২০১৭ সালে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট সংকট ২০১৮ সালে নিরসন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে ব্যাংকিংখাত চরম দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকের অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ বেড়েছে, ব্যক্তিগত ঋণ বেড়েছে, করের টাকায় পুঁজিকরণ করা হয়েছে, ব্যক্তিগত টাকা পাচারের ঘটনাও ঘটেছে।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার এমন দুর্বলতার পরও কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং সরকার উল্টো পথে হেঁটেছে। ব্যাংকিং আইন সংস্কার করে ব্যাংক পরিবারে সদস্য বৃদ্ধি করেছে।

তিনি বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির এমন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে দায়ী হতে পারে বৈশ্বিক পরিস্থিতি বা বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামো। তবে বড় যে কারণ দায়ী, তা হলো দেশের  অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের যে সম্ভাবনার জায়গা, প্রতিশ্রুতি ছিলো তা ব্যবহার করতে পারে নি।

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি করতে হলে সরকারকে রক্ষণশীল অর্থনীতির দিকে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক পর্যালোচনা প্রবন্ধ তুলে ধরেন রির্সাচ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। আরো উপস্থিত ছিলেন সিডিপি ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

সর্বশেষ সপ্তাহে ডিএসই পিই রেশিও কমেছে

PEস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে (৭-১১ জানুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কিছুটা কমেছে।

জানা গেছে, শেষ সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। অর্থাৎ পিই রেশিও দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমেছে।

মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও হলো একটি কোম্পানির শেয়ার তার আয়ের কতগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তার পরিমাপ। পিই রেশিও যত কম হয়, বিনিয়োগে ঝুঁকি তত কম। ধরে নেয়া হয় পিই রেশিও ২০ এর কম হওয়া ভালো।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, শেষ সপ্তাহে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। আর আর্থিক খাতের ১৮ দশমিক ৯২ পয়েন্ট।

সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও সব থেকে বেশি রয়েছে সিমেন্ট খাতের। এ খাতের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২৯ দশমিক ২৩ পয়েন্ট এবং তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতের পিই রেশিও ২৭ দশমিক ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অন্য খাতগুলোর মধ্যে পিই রেশিও খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট, আইটির ২৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট, সিরামিকের ২৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগের ২৩ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট, প্রকৌশলের ২০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে, বীমার ১৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট, ওষুধের ১৮ দশমিক ১৬ পয়েন্ট, বস্ত্রের ১৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসনের ১৬ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট, চামড়ার ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১১ দশমিক ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি/এমএ

সপ্তাহ জুড়ে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

DSE_CSE-smbdস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

টানা দুই সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বিগত সপ্তাহে (৭ থেকে ১১ জানুয়ারি) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। তবে বেড়েছে মোট ও দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ৫৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৩ শতাংশ।

অপর দুটি সূচকের মধ্যে শেষ সপ্তাহে ডিএসই-৩০ কমেছে ৪১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১১ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৩ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছিল ১৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৩৮টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৭৮টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ২৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দাম।

মূল্যসূচকের বড় পতনের মধ্যেও শেষ সপ্তাহে বেড়েছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

গড় লেনদেনের পাশাপাশি মোট লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ২৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ২ হাজার ৭৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে ১৫৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন বেড়েছে।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৬ দশমিক ৫৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।

এদিকে গত সপ্তাহে মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ কোটি টাকা।

এ সময়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোস লিমিটেডের শেয়ার। গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটির মোট ৯৬ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ৭২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ন্যাশনাল টিউবস, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, ড্রাগন সোয়েটার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সিটি ব্যাংক, আলিম ম্যানুফ্যাকচারিং এবং ব্রাক ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি/এমএ

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মার্চে উৎক্ষেপণ করা হবে

2018-01-13_8_699259স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে। মন্ত্রী বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী ২৬ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশেরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে একটি উল্লেখযোগ্য দিন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত চার বছরে আইসিটি সেক্টরের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পাওয়ার পয়েন্টে তুলে ধরেন।

মুস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দিনটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সময়সীমা হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশ ২০৪১ সালে ডেভলোপভড ন্যাশন ক্লাবের সদস্য হবে। তার মানে তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চান।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

মোস্তফা জব্বার বলেন, সরকার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করেছে। আমরা আইসিটি রফতানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিচ্ছি। আইটি কোম্পানিগুলোর জন্য ২০২৪ সাল পযর্ন্ত ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা গাজীপুরে আর্ন্তজাতিক মানের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার তৈরি করছি। আগামী মার্চের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ৬৩১ জন প্রতিবন্ধীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং তাদের মধ্যে ৪৯৯ জনের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

২০ জানুয়ারি নতুন প্রশ্নে পাঁচ হাজার ৬০০ প্রার্থীর পরীক্ষা : বিআরসি

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন সমন্বিত আট ব্যাংকের পরীক্ষায় আসন সংকুলান না হওয়ায় রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার চাকরিপ্রার্থীরা কেন্দ্রে আসন না পেয়ে ভাঙচুর করে। পরে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এই কেন্দ্রের পরীক্ষা আগামী ২০ জানুয়ারি দুই কেন্দ্রে নেওয়া হবে।

ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন খান বলেন, ৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে শাহ আলী কেন্দ্রে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। পরে জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রশ্নপত্রে ওই কেন্দ্রের পাঁচ হাজার ৬০০ প্রার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

শাহ আলী মহিলা কলেজের পাশাপাশি মিরপুর বাঙলা কলেজে আসনবিন্যাস করা হবে। দুই কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, শাহ আলী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পাঁচ হাজার ৬০০ চাকরিপ্রত্যাশীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। প্রতি বেঞ্চে পাঁচ-ছয়জন করে বসানোর পরও অনেকের জায়গা হয়নি। এ অবস্থায় প্রতিবাদী হয়ে ওঠে প্রার্থীরা। ভাঙচুর শুরু করে কলেজে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

শাহ আলী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জায়গা না হওয়ায় কেন্দ্রের ভেতর ঝামেলা হয়েছে। পরে পরীক্ষার্থীরা বাইরে গণ্ডগোল করতে গেলে আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও ক্যাশ অফিসার পদে নিয়োগের এই সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগকে। এক রিট আবেদনে এ পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতের আদেশে এই নিয়োগ পরীক্ষার পথ তৈরি হয় বৃহস্পতিবার। আগের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্র গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আটটি ব্যাংকে মোট এক হাজার ৬৬৩টি শূন্যপদে নিয়োগ হওয়ার কথা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

মেয়াদ পূর্তির আগেই বিক্রি করা যাবে ট্রেজারি বিল ও বন্ড

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মেয়াদ পূর্তির আগেও সরকারের কাছে তা বিক্রি করা যাবে। বর্তমানে ক্রেতাকে বন্ডের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা ধারণ করতে হয়। এখন থেকে বিক্রি হওয়া ট্রেজারি বিল ও বন্ড পুনরায় কিনে নেবে সরকার। ট্রেজারি বন্ডের সংখ্যা কমানো এবং এগুলোর মেয়াদ অবসায়নের বিষয়টি সুষম করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক বাই-ব্যাক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করেছে।

নীতিমালাটি মঙ্গলবার সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের নির্ধারণ করে দেওয়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রিভার্জ অকশন ও ওভার দ্য কাউন্টারের মাধ্যমে ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাই-ব্যাক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এক লাখ টাকা বা এক লাখ টাকার গুণিতক অংকের বিল ও বন্ড বাই-ব্যাক করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্ট একাউন্ট আছে এমন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাই-ব্যাক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে।

বাংলাদেশে বসবাসরত ও অনিবাসী ব্যক্তি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যাদের কারেন্ট একাউন্ট নেই, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কারেন্ট একাউন্ট রয়েছে এমন কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাই-ব্যাক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

বাজেট ঘাটতি মেটানোসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার ট্রেজারি বিল ও ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করে থাকে। ট্রেজারি বিলগুলো হয় স্বল্প মেয়াদি, সাধারণত এর মেয়াদ হয় ৯০ দিন।

অন্যদিকে ট্রেজারি বন্ডের মেয়াদ দুই থেকে ২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বর্তমানে ক্রেতাকে বন্ডের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা ধারণ করতে হয়; সরকার তা কিনে নেয় না। বাই-ব্যাক চালু হলে ক্রেতাকে মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে না। দর-দাম মিলে গেলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সরকারের কাছে তা বেচে দিতে পারবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

ইউনাইটেড পাওয়ারের সাড়ে ৩২ কোটি শেয়ার পেল ইউনাইটেড এনার্জির

unitedস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮৭টি শেয়ার ইউনাইটেড এনার্জির কাছে স্থান্তান্তর করা হয়েছে।

এই শেয়ারগুলো ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ, এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের বিও হিসেবে ছিল।

তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিটির এসব শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়নি।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনের ভিত্তিতে এই শেয়ার স্থানান্তর সম্পন্ন করা হয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।

ডিপজিটরী (ব্যবহারি) প্রবিধানমালা,২০০৩ ও উপ-আইনের বিধি-বিধান এর পরিপালনসাপেক্ষে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের বিও হিসাবে ধারণকৃত ১৭ কোটি ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩২টি ইউনাইটেড পাওয়ারের সাধারণ শেয়ার এবং উক্ত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের বিও হিসাবে ধারণকৃত সর্বমোট ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৫টি ইউনাইটেড পাওয়ারের সাধারণ শেয়ার একই মালিকাধীন ইউনাইটেড এনার্জি লিমিটেডের বিও হিসাবে ডিপজিটরি অংশগ্রহণকারীর (ডিপি) মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ছাড়াই স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ