অনুমোদন পেল ধানের ১০টি নতুন জাত

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বোরো মৌসুমে চাষের জন্য ধানের ১০ নতুন জাত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ২টি ইনব্রিড, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত ১টি ইনব্রিড, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ১টি ইনব্রিড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৬টি হাইব্রিড জাত নিবন্ধন ও ছাড় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কৃষি সচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৬তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

কৃষি সচিব বলেন, হাইব্রিডের ফলন বেশি। স্বল্প জমি থেকে বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এখন হাইব্রিডের জাত উদ্ভাবন ও আবাদ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো প্রায় ২১৮টি জাতের নিবন্ধন হয়েছে। এখন থেকে আরও মানসম্পন্ন ও দীর্ঘসময় ধরে কৃষককে লাভবান করবে, এমন জাত নিবন্ধনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্রি উদ্ভাবিত ছাড়কৃত ব্রি ধান-১০১ ব্যাকটেরিয়াজনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী ও ব্রি ধান-১০২ জিংকসমৃদ্ধ। ট্রায়ালে ব্রি ধান-১০১ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৭২ টন, আর ব্রি ধান-১০২ এর ৮ দশমিক ১১ টন। ব্রি ধান-১০২ ধানে জিংকের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/কেজি। বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান-২৫ ট্রায়ালে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৬৪ টন পাওয়া গেছে। এটির চাল অতি লম্বা ও সরু, ভাত সাদা, ঝরঝরে ও সুস্বাদু। জীবনকাল ১৪৫ দিন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ব্র্যাক ধান-২ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭ দশমিক ৩৬ টন। দানা চিকন, সুগন্ধযুক্ত ও আগাম জাত। জীবনকাল ১৩৯ দিন। এছাড়া, বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৬টি হাইব্রিড ধানের ফলাফল পুনরায় পর্যালোচনা করে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

গোল্ড রিফাইনারিতে ৬ ব্যাংকের ৪৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড’ নামে একটি স্বর্ণ পরিশোধনাগার নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব তহবিল এক হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। বাকি চার হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেবে দেশের ছয়টি ব্যাংক।

এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী, সোনালী, জনতা, রূপালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। এছাড়া বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকও ঋণ দেবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ওয়ার্ল্ড এরা করপোরেশনের’ সঙ্গে দুই হাজার ৬৫৮ কোটি টাকার চুক্তি করেছে বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেড।

নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারিতে দিনে ২০০ কেজি স্বর্ণবার, ১৫০ কেজি জুয়েলারি, ৭০ কেজি রৌপ্য উৎপাদিত হবে। প্রকল্পে জমির মূল্য ৮৫৫ কোটি টাকা ও পরিশোধনাগারের যন্ত্রের মূল্য ধরা হয়েছে তিন হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।

রাজধানীর ৩০০ ফুট ঢাকা-পূর্বাচল হাইওয়ের পাশে জোয়ার সাহারা এলাকায় ৪৭০ শতক জমিতে গড়ে তোলা হবে এই পরিশোধনাগার। এর নির্মাণকাজ চলছে। আমিরাতের ওয়ার্ল্ড এরা করপোরেশন এ পরিশোধনাগারটির যন্ত্রপাতি ক্রয়, প্যাকিং চার্জ, আমদানিতে পরিবহন ব্যয়সহ বিভিন্ন ধরনের খরচ দেবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

তেলের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মধ্যপ্রাচ্যে আবার শুরু হয়েছে উত্তেজনা। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে গতকাল সোমবার যে হামলা চালিয়েছেন, তাতে তিনজন মারা গেছেন। আরব আমিরাত আবার এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নেওয়ার হুংকার জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের নতুন এই উত্তেজনায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অর্থাৎ ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮৭ দশমিক ৮৫ ডলার। একই সঙ্গে ইউ.এস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ফিউচারের দাম ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৫৬ ডলার। এতে এই ধরনের তেলের দাম ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই জ্বালানি বিশ্লেষকেরা শঙ্কা করছিলেন, তেলের দাম আবারও বাড়বে। মূলত ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা এমনটা বলেছিলেন। তবে আরব আমিরাতে এই হামলার ঘটনায় সৌদি আরব বলেছে, তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা তারা চালিয়ে যাবে।

এদিকে হামলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল কোম্পানি অ্যাডনক বলেছে, এখনো তারা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্বালানি বিশ্লেষকেরা অবশ্য বলছেন, ইউরোপ ও আমেরিকায় এবার তীব্র শীত পড়ায় ঘর গরম রাখতে জ্বালানির চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণেও জ্বালানির দাম বাড়ছে।

মহামারির শুরুতে জ্বালানির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম শূন্যেরও নিচে চলে গিয়েছিল। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের দাম এখন সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেছে। কয়েক মাস আগেই ধারণা করা হচ্ছিল, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাজারে তেল ছেড়ে সরবরাহ বৃদ্ধির চেষ্টা করে। চীন ও ভারতও একই পথে হাঁটে। এতে তেলের মূল্যবৃদ্ধির ধারায় ছেদ পড়ে। এ ছাড়া ওপেকও দিনে অতিরিক্ত চার লাখ ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়।

কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে এবং ওপেকসহ সহযোগী দেশগুলো সরবরাহ বৃদ্ধির অঙ্গীকার রাখতে না পারলে জ্বালানির দাম আবারও ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে তেলের বিকল্প হিসেবে হাইড্রোজেনের ব্যবহার বাড়ছে সারা বিশ্বে। কার্বন নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যেও এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, হাইড্রোজেন পোড়ালে পরিবেশের ক্ষতি কম হয়। ২০২১ সালে বিশ্বে হাইড্রোজেন বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের। রয়টার্স, ন্যাশনাল নিউজ সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

মাসরুর আরেফিন আবারও সিটি ব্যাংকের এমডি

মাসরুর আরেফিন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মাসরুর আরেফিন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন। সম্প্রতি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার পুনর্নিয়োগে অনুমতি দিয়েছে।

সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সারের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ব্যাংকটির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মাসরুর আরেফিন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও হিসেবে প্রথমবারের মতো দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। গত তিন বছরে তিনি ব্যাংকটিকে ভিন্নতর উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এই সময়কালে ব্যাংকটির বাৎসরিক আয় ৩৫ শতাংশ বেড়ে ২০০০ কোটি টাকা অতিক্রম করে এবং পরিচালন মুনাফা ৬১ শতাংশ বেড়ে সিটি ব্যাংক ১০০০ কোটি টাকা মুনাফার সম্মানজনক ক্লাবে প্রবেশ করে। একইসঙ্গে গত তিন বছরে ব্যাংকটির আয় ও ব্যয়ের অনুপাত ৫৯ শতাংশ থেকে ৫০.৫% শতাংশ নেমে আসে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বার্ষিক ৩.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬.৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। তার নেতৃত্বে সিটি ব্যাংক মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির এজেন্ডা মাথায় নিয়ে একটি শহরভিত্তিক ব্যাংক থেকে সমগ্র দেশের আপামর জনমানুষের জন্য ডিজিটাল ব্যাংক হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ব্যাংকে ডিজিটাল ন্যানো লোন এবং প্রথাগত ক্ষুদ্র ও মাইক্রো ফাইন্যান্সের সূচনা করেন।

মাসরুর আরেফিন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ১৯৯৫ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগ দেন। ২৭ বছরের কর্মজীবনে তিনি এএনজেড ব্যাংক মেলবোর্ন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কাতার, সিটি ব্যাংক এনএ, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন।

মাসরুর আরেফিন তার ব্যাংকার পরিচয়ের পাশাপাশি একজন ঔপন্যাসিক, কবি ও অনুবাদক হিসেবেও সুপরিচিত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ফাইভ-জি বিমান চলাচলে বড় ব্যাঘাত ঘটাবে

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মুঠোফোনের আসন্ন ৫জি পরিষেবা চালু হলে আকাশপথে বিমান চালনায় উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০টি এয়ারলাইন্স। ভেরাইজন ও এটিঅ্যান্ডটি আজ বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৫জি মুঠোফোন পরিষেবা শুরু করার পরিকল্পনা করেছে।

এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনই এই সেবা শুরু হলে তা বিমানখাতে ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের’ কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, ৫জি’র সি-ব্যান্ড সিগন্যালের কারণে উড়োজাহাজের দিক নির্দেশনা তথা পথ চলার প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটবে। বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ার সময় ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোতে তা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জানিয়েছেন তাঁরা।

এতে বলা হয়েছে, বিমানযাত্রী ও মালামাল পরিবহন ছাড়াও টিকাসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত হওয়ার হাত থেকে রার জন্য এখনই জরুরিভিত্তিতে পদপে নেওয়া প্রয়োজন। আমেরিকান এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহীসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানখাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ আহ্বান জানিয়েছেন।

জরুরিভাবে যেসব বিষয় দেখা দরকার সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। চিঠিটি বিবিসি দেখেছে। এটি পাঠানো হয়েছে পরিবহন মন্ত্রী পিট বুটিগেগ, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) প্রধান, ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের প্রধান ও এবং জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালককে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

সূত্র : বিবিসি

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

এম এল ডায়িংয়ের নতুন চেয়ারম্যান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র শিল্প খাতের কোম্পানি এম এল ডায়িং লিমিটেডের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানিটির নতুন এই চেয়ারম্যান হলেন আবদুল মান্নান। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালকদের দ্বারা তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।

গতকাল সোমবার থেকে কোম্পানিটির এই নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন শুরু করছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ওয়ালটন হাইটেকের নাম পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

কোম্পানিটির নতুন নাম হবে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। কোম্পানিটির আগের নাম ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

যথাযথ আইন মেনে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। তবে এ ক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডারদেরও সম্মতি নেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি; ২য় বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৪ লাখ টাকার।

৮৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জিপিএইচ ইস্পাতের ৭৩ কোটি ৭৬ লাখ, ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪৯ কোটি ২৩ লাখ, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ৪৭ কোটি ৮৮ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ, ফরচুন সুজের ৪১ কোটি ৮১ লাখ , আরএকে সিরামিকসের ৪০ কোটি ৬১ লাখ ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসইতে ১৭১২ ও সিএসইতে ৫৯ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকের মিশ্রা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ০.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭০৫৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫০৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮.৮৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৫৯৮ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৭১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬৮৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৮৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৬টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৪৮টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো লিমিটেড, সাইফ পাওয়ারটেক, জিপিএইচ ইস্পাত, ফারইষ্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, জিএসপি ফাইন্যান্স, ফরচুন সুজ, আরএকে সিরামিকস ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৮.০১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৬৫৮ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ১১০টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গতকাল সোমবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে লাফার্জ হোলসিম বিডি ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

গ্যাসের দাম এক চুলা ২০০০ টাকা করার প্রস্তাব

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার গড়ে ১১৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৯ টাকা ৩৬ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা হবে। এই প্রস্তাব অনুসারে বাসাবাড়ির দুই চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার ১০০ টাকা, যা এখন ৯৭৫ টাকা। আর এক চুলার মাসিক বিল হবে দুই হাজার টাকা, যা বর্তমানে ৯২৫ টাকা। শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা এবং ক্যাপটিভে (শিল্পকারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত গ্যাস) ১৩ টাকা ৮৫ পয়সার স্থলে ৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে একাধিক বিতরণ কোম্পানি।

ছয়টি বিতরণ কোম্পানির মধ্যে তিতাস, বাখরাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি গত সপ্তাহে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) পৃথকভাবে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে। এই সপ্তাহে অন্য কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাব জমা দেবে। পেট্রোবাংলা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

‘ভর্তুকির চাপ’ সামলাতে গত মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আর্থিক মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল। এরপর ৩ জানুয়ারি জ্বালানি বিভাগ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে পাঠানোর জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দেয়। পরে পেট্রোবাংলা থেকে আমদানি করা এলএনজি ও দেশীয় গ্যাসের দাম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিভিন্ন তহবিলের চার্জ ধরে একটা খসড়া হিসাব বিতরণ কোম্পানিগুলোতে ৫ জানুয়ারি পাঠানো হয়। এরপর বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজেদের আয়-ব্যয় হিসাব উল্লেখ করে প্রায় একই ধরনের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনে পাঠায়। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো নিজেদের পরিচালন ব্যয় (মার্জিন) বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দিয়েছে।

কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ ও সারে ব্যবহূত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে ১০ টাকা (১২৫%) করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিল্পে ব্যবহূত ক্যাপটিভে দাম ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা (১১৬) এবং শিল্পে ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা (১১৬%) করার প্রস্তাব এসেছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে ৫০ টাকা (১১৭%), ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে ৩৭ টাকা ২ পয়সা (১১৭%), সিএনজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৭৫-৭৬ টাকা (১১৪%) এবং আবাসিক মিটারে ১২ টাকা ৬০২ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৩৭ পয়সা (১১৫%) করার প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে তিতাস তার পরিচালন মার্জিন ২৫ পয়সা থেকে বড়িয়ে ৩৮ পয়সা, জালালাবাদ ৫৫.১৮ পয়সা এবং বাখরাবাদ ২৬ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৮৪ পয়সা করার আবেদন করেছে।

বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাবে মূল্য নির্ধারণের ব্যাখ্যায় দেখিয়েছে, এলএনজি আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে দেশি-বিদেশি গ্যাস কেনা ও সরবরাহ, পরিচালন ব্যয়, ভ্যাট-ট্যাক্স এবং নানা চার্জ মিলিয়ে ৬৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে বছরে ৮৭৮ কোটি ঘনফুট এলএনজি আমদানিতে ৪৪ হাজার ২২৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটার এলএনজিতে ব্যয় ৫০ টাকা ৩৮ পয়সা, যার মধ্যে ক্রয়মূল্য ৩৬ টাকা ৬৯ পয়সা, আমদানি পর্যায়ে মূসক ৫ টাকা ৫০ পয়সা, অগ্রিম আয়কর ৭৪ পয়সা, ফাইন্যান্সিং ব্যয় ১ টাকা ৪৪ পয়সা, ব্যাংক চার্জ ও কমিশন ৫৯ পয়সা, রিগ্যাসিফিকেশন ব্যয় ১ টাকা ৮৬ পয়সা, অপারেশনাল ব্যয় ৫ পয়সা এবং ভোক্তা পর্যায়ে উৎসে কর ৩ টাকা ৫২ পয়সা (৭%)।

দেশে কার্যরত বিদেশি গ্যাস কোম্পানির (আইওসি) গ্যাস কিনতে ব্যয় হবে প্রতি ঘনমিটারে ২ টাকা ৯১ পয়সা। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (বিজিএফসিএল), সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি (এসজিএফএল) এবং বাপেক্সের পরিচলন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রতিঘনমিটারে যথাক্রমে ৮৭.৯৮ পয়সা, ৩৩.৮৩ পয়সা এবং চার টাকা ৫৫ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি ঘনমিটারে পরিচলন মার্জিন সঞ্চালন কোম্পানির (জিটিসিএল) ৮৬.৪৮ পয়সা, বিতরণ কোম্পানির ২৭.৪৯ পয়সা ধরা হয়েছে। প্রতি ঘনমিটারে পেট্রোবাংলার পরিচলন ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় পয়সা, গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে ৪৬.১৪ পয়সা এবং জ্বালানি উন্নয়ন তহবিলে ৮৮.৭০ পয়সা চার্জ ধরা হয়েছে। সরকারের হিস্যা হিসাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরা হয়েছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে তা যাচাই-বাছাই করে শুনানির আয়োজন করা হবে। গ্যাসের তিনটি বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাব পাওয়া গেছে। আরও তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ১ জুলাই সর্বশেষ গ্যাসের দাম বাড়ে। আবাসিক খাতে দুই চুলার খরচ ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা করা হয়। বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প ও চা বাগানে ব্যবহূত গ্যাসের দাম গড়ে ৩২.০৮ শতাংশ বাড়ে।

দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৪৩০ কোটি ঘনফুট। দেশি গ্যাসক্ষেত্র থেকে এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৩৩ কোটি ঘনফুট। বঙ্গোপসাগরে থাকা দুটি ভাসমান এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ টার্মিনালের মাধ্যমে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। এর মধ্যে বিদ্যুতে ব্যবহূত হয় ৬৮.৩৭ শতাংশ, সারে ৯.৩৯ শতাংশ, ক্যাপটিভে ৫.৯২ শতাংশ, শিল্পে ৭.০৬ শতাংশ, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ০.২৩ শতাংশ, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ০.২৮ শতাংশ, সিএনজিতে ৩.০৭ শতাংশ. বাসাবাড়িতে ৫.০১ শতাংশ এবং চা বাগানে ০.৬৭ শতাংশ গ্যাস ব্যবহূত হয়। সূত্র : সমকাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম/